শিরোনামঃ-

» সিলেট  জুড়ে চালের বাজারে অস্থিরতা, বিপাকে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা

প্রকাশিত: ১৩. জানুয়ারি. ২০২৫ | সোমবার

নিউজ ডেস্কঃ

সিলেট হঠাৎ করে চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। চালের দাম গত এক সপ্তাহ থেকে বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। প্রকারভেদে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ধানের এক  মৌসুম মাত্র শেষ হলো, আরেক মৌসুম শুরু হবে কিছু দিন পরই। আর এই মধ্যবর্তী সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সংকট না থাকলেও সিন্ডিকেট করে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পরিকল্পিত ভাবে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি পাইকারি ব্যবসায়ীদের। মিলারদের দাবি হাট গুলোতে ধানের আমদানি কম, আর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবেই বাড়াতে হয়েছে চালের দাম। তবে কৃষকদের অভিযোগ, ভরা মৌসুমে কম দামে ধান কিনে এখন বেশি দামে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

সোমবার (১৩ জুনয়ারি ২০২৫) সিলেটের কালিঘাট চালের বাজার ঘুরে চালের বাড়তি দাম দেখা গেছে। চালের দাম প্রকারভেদে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, এক সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছিল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। প্রতি  কেজি ব্রি ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০  থেকে ১৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। একইভাবে প্রতি কেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানায়, কেনাবেচা নেই তাদের। চাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দিনে ৩ থেকে ৪ মণ চালও বিক্রি করতে পারছেন না তারা। এ ছাড়া মিল মালিকরাও বলছেন, গত কয়েক দিনে হাটগুলোতে হঠাৎই বেড়েছে ধানের দর। অন্য দিকে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, সব মিলিয়ে বেড়েছে উৎপাদন খরচ।

এদিকে গত কয়েক দিনে সিলেটে পাইকারি পর্যায়ে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই কঠোর না হলে বাজার আরও লাগামহীন হওয়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

গত কয়েক দিনে সিলেট পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে প্রতিবস্তা চালের দাম ১০০-৩০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে সিলেট পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ৫০ কেজি মোটা সিদ্ধ চাল ২ হাজার ২০০ টাকা, পারীজা সিদ্ধ ২ হাজার ৪০০ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ ২ হাজারে ৫৫০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা, বালাম সিদ্ধ ২ হাজার ৪৫০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা ও মিনিকেট সিদ্ধ ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি ৫০ কেজি জিরাশাইল ৩ হাজার ৩৫০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা, কাটারি সিদ্ধ ১ হাজার ৮০০  থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, ইরি আতপ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২৫০ টাকা, মিনিকেট আতপ ১ হাজার ৫৫০ থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকা, পাইজাম আতপ ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা, কাটারি আতপ ১ হাজার ৭৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, বেতি আপত ১ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫৮০ টাকা, বাসমতি ৩ হাজার ৩৫০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা ও চিনি গুড়া আতপ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮৫০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা।

সিলেট পাইকারি বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি কারণে এর প্রভাব পড়েছে গ্রাম গঞ্জের বাজারগুলোতে। হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকে বাস্তা ক্রয় করা বাদ দিয়ে ৫/১০ কেজি করে চাল ক্রয় করছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫২ বার

Share Button

Callender

February 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728