শিরোনামঃ-

» ডা. নুরুল হুদা নাঈমের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অগ্নিকাণ্ড

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

নিউজ ডেস্কঃ

সিলেট মহানগরের কাজলশাহ এলাকায় ডা. নুরুল হুদা নাঈমের ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চেম্বারে এনজেএল সেন্টারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

শুক্রবার (১৬ মে) রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ১০টা) আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ধোঁয়া বের করছে ফায়ার সার্ভিস টিম।

আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সিলেট ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার।

» জাহাঙ্গীরনগরের জনৈকা রুনা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মহানগর বিএনপির তদন্ত কমিটি গঠন

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

নিউজ ডেস্কঃ

সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী ও সাধারণ সম্পাদক মো ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বরাবর নগরীর ৯নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর হাউজিংয়ের জনৈকা রুনা বেগমের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

প্রেস মিডিয়ায় পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, জনৈকা রুনা বেগমের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ তদন্তে আজ শুক্রবার (১৬ মে) মহানগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট মো. আবুল ফজল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি ও সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট এজাজ আহমদকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে।

তাঁরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরজমিন গিয়ে এলাকাবাসীর আলাপ আলোচনা করে প্রতিবেদন রিপোর্ট ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পেশ করবেন।

» সিকৃবিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সনদপত্র প্রদান

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

বিদেশি শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশে কর্মক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখছে : সিকৃবি ভিসি

নিউজ ডেস্কঃ
বিদেশি শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশে কর্মক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখছে বলে জানিয়েছেন সিকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম।

ছোট বড় টিলা ঘেরা সবুজ- শ্যামল ছায়া সুনিবিড় ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আধুনিক কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণের বাতিঘর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেশিয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের ভাল লাগার চারণভূমি হয়ে উঠছে।

যার ধারাবাহিকতায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা সিকৃবিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন শেষে নিজ নিজ দেশে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখছে।

শুক্রবার (১৬ মে) স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী বারোজন নেপালী শিক্ষার্থীর হাতে সনদপত্র তুলে দেন, সিকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এটিএম মাহবুব ই ইলাহী, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. আসাদ উদ দৌলা,অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো.রুহুল আমিন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক কৃষিবিদ খসরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, এডিশনাল রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ গোলাম রসুল প্রমুখ।

সনদপত্র গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা হলেন ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের সিয়াম কুমার ইয়াদব,সুরাজ সাহা, দেবরাজ চৌধারী, ধর্ম নারায়ন ইয়াদব, অস্মিতা রাই রোজ কমল চৌধারী এবং ২০১৯- ২০২০ শিক্ষাবর্ষের অঙ্কিত গুরু, রেশমা থাপা, বিষ্ণু সাহী, মাধব কৈরালা, মিরাজ বহরা, সিরাজুল হামাল।

সনদপত্র প্রদান শেষে সিকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।

এসময় তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার পাশাপাশি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করেন ।

উল্লেখ্য, সিকৃবিতে ২০১৯ সালে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভেটেনারি, এনিমেল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদে ৬ জন নেপালি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে ১৮৯ ক্রেডিট সম্পন্ন করে ডিভিএম ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০২০ সালে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে কৃষি অনুষদে ৬ জন নেপালি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে ১৯০ ক্রেডিট সম্পন্ন করে বিএসসিএজি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

» শ্রমিকনেতা আনোয়ার হোসেনের মুক্তির দাবিতে সিলেটে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোনা জেলা হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ নেত্রকোনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে গত ১২ মে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত শ্রমিক নেতার মুক্তির দাবিতে সারা দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৫টায় সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভটি নগরির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার পয়েন্ট হয়ে পুনরায় কোর্ট পয়েন্টে এসে জেলা কমিটির সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং কোষাধ্যক্ষ মহিদুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, শাহপরান থানা কমিটির সহ-সভাপতি আলা উদ্দিন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, শাহপারন থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, চা শ্রমিক সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন রাজু, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া, বন্দরবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিনসহ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন হোটেল শ্রমিকরা কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মালিকের মুনাফা লাভে কাজ করে গেলেও তাদের দেওয়া হয়না শ্রমের প্রকৃত মূল্য।

বর্তমান দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতির বাজারে শ্রমিকদের যে মজুরি দেওয়া হয় তা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পরেছে।

হোটেল রেস্টুরেন্ট সেক্টরে নিম্নতম মজুরি ঘোষণার ৮ বছর অতিক্রম হওয়ার পর বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের ফলে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গত ৫ মে নিম্নতম মজুরি গেজেট প্রকাশ করে।

ঘোষিত মজুরি গেজেট বাস্তবায়ন ও চলমান ৭ দফা দাবিতে যখন নেত্রকোনা জেলা হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়ন আন্দোলন সংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে ঠিক তখনি মালিক গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র চক্রান্তের অংশ হিসেবে জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিকভাবে মালিকগোষ্ঠীর মদদে পরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার করা হয়।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় আওয়ামীলীগের কাঁধে ভর করে জেলার হোটেল ও রেস্তোঁরা মালিকরা শ্রমিকদের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে।

বর্তমানে বিএনপি’র কাঁধে ভর করে মালিকরা শ্রমিকদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে তার বহি:প্রকাশ ঘটছে।

সভা থেকে আনোয়ার হোসেনকে দ্রুত নি:শর্ত মুক্তি প্রদান করে তাকে মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আহবান জানানো হয়।

» এবারের শাহজালাল মাজারের ওরসে হবে না অসামাজিক-অনৈসলামিক কাজ : এসএমপি কমিশনার

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

নিউজ ডেস্কঃ
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. রেজাউল করিম (পিপিএম- সেবা) বলেছেন, এবারের শাহজালাল রাহ. মাজারের ওরস আরও সুশৃঙ্খল ও পবিত্র পরিবেশে সম্পন্নের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

পুলিশ প্রশাসন, মাজার কর্তৃপক্ষ, আলেম-উলামা ও সাংবাদিক সহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত তদারকি কমিটি ওরস চলাকালীন সর্বদা মনিটরিং করবে।

ওরসকালীন মাজারের পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে এবার ভক্তবৃন্দের প্রতি বলা হচ্ছে- সবাই যেন মাজারে সিজদা প্রদান সহ সকল শিরকি ও বিদাআতি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন।

নারীরা পর্দার সঙ্গে অবস্থান করেন। কেউ যেন মদ-গাঁজার আসর না বসান। এসব বিষয় তদারকটি কমিটি সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখবে।

এছাড়া পুলিশের বিভিন্ন টিম মাজার প্রাঙ্গনে সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানে থাকবে। ঠেকাবে সব অসামাজিক-অনৈসলামিক ও বিশৃঙ্খল কাজ।

মাজার প্রাঙ্গনে চুরি-ছিনতাই ও প্রতরণামুলক কর্মকাণ্ড রোধেও কাজ করবে পুলিশ। সাদা পোশাকে অবস্থান করবে আইনশৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শুক্রবার (১৬ মে) বাদ আসর মাজার প্রাঙ্গনে প্রেস ব্রিফিং করে এসব কথা বলেন এসএমপি কমিশনার।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নামাজ ব্যতীত কেউ যাতে কোথাও সিজদা না দিতে পারেন সেজন্য উপরে শাহজালাল রাহ. এর মাজারের সামনে ব্যানার টানানো হয়েছে। তবে মাজার এলাকার বিভিন্ন স্থানে এভাবে আরও ব্যানার টানানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে মাজার কর্তৃপক্ষকে বলা হবে।

প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মশতাক আহমদ খান, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, হযরত শাহজালাল রাহ. তাওহিদি কাফেলার সদস্যসচিব মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ ও দারুস সালাম মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ খাসদবিরি প্রমুখ।

এছাড়াও সেনাবাহিনী ও র‍‍্যাব-৯ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মাজার কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ কর্তৃক গঠিত ওরস তদারকি কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিং শেষে মাজার ও মাজার প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন এসএমপি কমিশনার। এসময় তিনি আলেম-সমাজ, মাজার কর্তৃপক্ষ, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

উল্লেখ্য, আগামী ১৮ ও ১৯ মে শাহজালাল রাহ. মাজারে ওরস অনুষ্ঠিত হবে। এরই মাঝে ভক্তবৃন্দ মাজারে আসতে শুরু করেছেন।

অনেক ভক্ত নিয়ে এসেছেন গরু-ছাগল সহ মান্নতের জিনিসপত্র।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা।

» অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হক ‘ইন্টারন্যাশনাল আইকনিক এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ ভূষিত

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

শিক্ষায় অসামান্য অবদানে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

নিউজ ডেস্কঃ
স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজ, সিলেট-এর অধ্যক্ষ জনাব মো. ফয়জুল হক শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ইন্টারন্যাশনাল আইকনিক এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ ভূষিত হয়েছেন।

দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত South Asia Development Council কর্তৃক এ সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।

আগামী ১৮ মে ২০২৫, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অবস্থিত JEN Maldives Malé by Shangri-La, Ameer Ahmed Magu-তে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁকে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে “Let’s all Forget about Discrimination and Create a Peaceful World” শীর্ষক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ডিনার পার্টির আয়োজন থাকবে। এতে মালদ্বীপ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য, বিচারপতি, শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকবেন।

অফিসিয়াল পত্রের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি, উপদেষ্টা এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট অধ্যক্ষ ফয়জুল হককে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননার জন্য নির্বাচিত করার সুপারিশ করেন এবং তাঁর অংশগ্রহণ কামনা করেন।

প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ জনাব হক বলেন, “এই সম্মাননাটি কেবল আমার প্রচেষ্টার স্বীকৃতি নয় বরং এর সাথে জড়িত সম্মিলিত সকলের প্রতিশ্রুতি ও আবেগের প্রমাণ।

এটি আমাকে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে এবং শিক্ষা ও আমার শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থপূর্ণ ভূমিকা রাখতে অনুপ্রাণিত করবে।

আমি এই সম্মান আমার শ্রদ্ধেয় সকল  শিক্ষকের প্রতি উৎসর্গ করতে চাই, শিক্ষার ক্ষেত্রে যাদের আত্নত্যাগ আমাকে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করে। আমি সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা এবং সকলের নিকট আন্তরিক দোয়া চাচ্ছি। ”

উল্লেখ্য, রোটারিয়ান অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হক এর আগেও বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে:
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পিস অ্যাওয়ার্ড, দার্জিলিং, ভারত।

সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পিস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩।

নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩।

৫ম গ্লোবাল চেঞ্জ মেকারস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া।

তিনি বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান এডুকেশন সামিট-এ ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ডেলিগেট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

» মহানগর খেলাফত মজলিসের তরবিয়তী মজলিস অনুষ্ঠিত

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

নিউজ ডেস্কঃ
“ঈমানের দাবি পূরণে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে” মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী

খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেন, শুধু ঈবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে মুমিনদের জিম্মাদারী শেষ হয়ে যায়না। ঈমান ও আমলে সালেহার শক্তি নিয়ে যাবতীয় অন্যায় অনাচার ও জুলুম নির্যাতন প্রতিরোধে সর্বোচ্চ কোরবানী পেশ করতে হবে।

ঈমানের অপরিহার্য্য দাবি পূরণে দ্বীন প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিক সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগরীর নির্ধারিত দায়িত্বশীলদের নিয়ে আয়োজিত  তরবিয়তী মজলিসে দারসে হাদীস পেশকালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ৬টায় জিন্দাবাজারস্থ একটি কনফারেন্স হলে সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাবেদুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত তরবিয়তী মজলিসে “শাখা পরিচালনায় একজন দায়িত্বশীলের ভুমিকা” বিষয়ে আলোচনা পেশ করেন, সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব ডা. এ এ তাওফিস।

“দাওয়াতে দ্বীনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি” বিষয়ে আলোচনা পেশ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সবুর।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগরী সহসভাপতি শাহ আশিকুর রহমান, মাওলানা শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলিয়াস, মাওলানা রওনক আহমদ, আব্দুল হান্নান তাপাদার, ডা. মুহাম্মদ ফয়জুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক  মাসুদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মনজুরে মাওলানা, বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ তাহির চৌধুরী, প্রশিক্ষণ সম্পদক মাওলানা মাশুক আহমদ, অফিস ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুস শহীদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির ডালিম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খায়রুল ইসলাম, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসাইন কামিল, সহকারী বায়তুলমাল সম্পাদক মাস্টার মো. ফারুক মিয়া, সহকারী অফিস ও প্রচার সম্পাদক জুবায়ের আহমদ, মহানগরী নির্বাহী সদস্য ও শাহপরান পশ্চিম থানা সভাপতি হাফিজ মাওলানা আব্দুল হামিদ, মোগলাবাজার থানা সভাপতি মাওলানা সামসুল ইসলাম শরিফ, জালালাবাদ থানা সভাপতি আ. খ. ম লোকমান, শাহপরান পূর্ব থানা সভাপতি কয়েছুজ্জ্বামান চৌধুরী  প্রমুখ।

» সিলেটে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সিলেট বিভাগের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) সিলেট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে আয়োজিত এই সভায় বিচার বিভাগের স্বার্থ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আমিরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হেমায়েত উদ্দিন।
আলোচনায় বক্তারা আইন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের অপরিহার্য ভূমিকা তুলে ধরেন এবং এ পথে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা যেমন অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও বাজেট ঘাটতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বক্তারা বলেন, জেলা আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলা বিষয়ক ক্ষমতা নির্বাহী বিভাগের হাতে থাকায় বিচার বিভাগ প্রায়শই অযাচিত প্রভাবের সম্মুখীন হয়, যা বিচারিক স্বাধীনতার পরিপন্থী।
এ প্রেক্ষাপটে বক্তারা বিচারকদের প্রশাসনিক বিষয়ের দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টে ন্যস্ত করা এবং একটি স্বাধীন ‘বিচার বিভাগীয় সচিবালয়’ গঠনের দাবি জানান।
বক্তারা আরও জানান, বিচার বিভাগের কাঠামোগত উন্নয়ন ও বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব।
তাঁরা বিশ্বাস করেন, এসোসিয়েশন একটি প্রেশার গ্রুপ হিসেবে বিচারকদের স্বার্থরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সভায় অংশগ্রহণকারী বিচারকরা বিচার বিভাগের আধুনিকায়নের আহ্বান জানান এবং বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
সভায় সিলেট বিভাগের চারটি জেলা থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞ বিচারকগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং এসোসিয়েশনের নেতৃত্বের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

» সিলেট অঞ্চল শ্রমিক কল্যাণের দায়িত্বশীল কর্মশালা সম্পন্ন

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

শ্রমিক ভাইদেরকে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে : অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান

নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে রাজনীতির সংস্পর্শে অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।
অথচ তাদেরকে রাজনীতির হাতিয়ার ও ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রচলিত রাজনীতির মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
ইনসাফভিত্তিক সমাজ ও ইসলামী শ্রমনীতিই শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে। তাই শ্রমজীবী ভাইদেরকে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের আন্দোলনে শামিল হতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা তথাকথিত রাজনৈতিক দলের মতো শ্রমজীবী ভাইদের ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইনা। আমরা শ্রমজীবী ভাইদের কুরআন ও হাদীসের আলোকে আল্লাহর সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যাদের জীবনের প্রত্যেকটি স্তরে থাকবে হালাল উপার্জন ও পরকালের ভয়। খোদাভীরু সৎ নেতৃত্বই পারে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে।

তাই শ্রমজীবী ভাইদেরকে কুরআন ও হাদীসের আলোকে মুত্তাকি হিসেবে গড়ে উঠার শপথ নিতে হবে। একই সাথে পরিবারের সদস্যদের ইসলামী অনুশাসন মেনে চলায় উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। তাহলে ইহকালিন সাফল্য ও পরকালিন মুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

তিনি শুক্রবার (১৬ মে) বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট অঞ্চলের দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

ফেডারেশনের সিলেট অঞ্চলের সহকারী পরিচালক হাফেজ মাওলানা ফারুক আহমদের সভাপতিত্বে এবং মহানগর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
কর্মশালায় দারসুল কোরআন পেশ করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর সভাপতি এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, ফেডারেশনের সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মোমতাজুল হাসান আবেদ, সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান দুলাল, জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক  আব্দুল আলীম ইমতিয়াজ, মৌলভীবাজার  জেলা সভাপতি শাহ মো. আলাউদ্দিন, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি কাজী আব্দুর রউফ বাহার, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, ফেডারেশনের মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক কফিলউদ্দিন আলমগীর, সহ-সাধারণ সম্পাদক আক্কাছ আলী, নজরুল ইসলাম মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিলশাদ মিয়া, প্রচার সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক আব্দুল জলিল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুর রহমান শামীম, ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমদ হাওলাদার ও আল মোমিন প্রমূখ।

কর্মশালায় ফেডারেশনের সিলেট মহানগর ও বিভাগের ৪ জেলা নেতৃবৃন্দ ছাড়াও মহানগরের আওতাধিন বিভিন্ন থানা ও ৫৫টি ট্রেড ইউনিয়ন শাখার বিপুলসংখ্যক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, অর্থনীতির মুল চালিকাশক্তি হয়েও আমাদের সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠী হলেন শ্রমজীবী মানুষ।

তাদের চাকুরীর কোন নিশ্চয়তা নাই, কাজের ন্যায্য পরিশ্রামিক নেই। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।

» রয়েল মার্ক আন্তর্জাতিকমানের হোটেল হতে পারে : মুশফিকুল ফজল আনসারী

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

নিউজ ডেস্কঃ
সিলেট নগরের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে যাত্রা শুরু করা হোটেল রয়েল মার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এই হোটেল একটি আন্তর্জাতিকমানের হোটেল হবে, এখানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যক্তিত্বরা আসবেন এমনটা আমাদের প্রত্যাশা।

শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর ১২টায় নগরের মিরবক্সটুলায় হোটেল রয়েল মার্কের উদ্বোধনী অণুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা) মুশফিকুল ফজল আনসারি এসব কথা বলেছেন।

রয়েল মার্ক হোটেলের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেন, ‘এই হোটেল যারা করেছে তারা সিলেটের ব্যবসাবাণিজ্যে মোটামুটি জায়ান্ট। তাদের পাওয়ার সেক্টর, হসপিট্যালসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ রয়েছে। এটাও একটা সেবা খাতের প্রতিষ্ঠান।’

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আশা করি এই হোটেল একটি আন্তর্জাতিক মানের হোটেল হবে এবং এখানে অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব আসবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি রয়েল মার্ক আন্তর্জাতিকমানের হোটেল। এটা খুব আধুনিকমানের হোটেল এবং ৫০টি রুম রয়েছে, সেখানে দুটি বল রুম রয়েছে, ‘ক্রিমজ’ কফি লাউঞ্জ, ‘সুফরা’ রেস্টুরেন্ট এবং রুফটপ রেস্টুরেন্ট। আমি বলব- হোটেলের মানের দিকে যেনও ঠিক থাকে, এতে করে ব্যবসা আর উন্নতি এবং সমৃদ্ধি হবে।’

এসময় স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন সিলেটে একটাই হোটেল ছিল-হিলটাউন। সেখানে ম্যাডামও (খালেদা জিয়া) এসে উঠেছেন। এখন তো সিলেটে অনেক হোটেল।’

দশ-এগারো বছরে সিলেটে অনেক পরিবর্তন হয়েছে  মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দশ-এগারো বছর আগে রাষ্ট্রদ্রোহী ছিলাম, রাষ্ট্রের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। যেহেতু এখন সেই তকমা লাঘব হয়েছে। এখন এই শহরে আসার পর দেখতে পাচ্ছি-অনেক উন্নতি হয়েছে।’

বেসরকারি পর্যায়ে উন্নতি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই উন্নতিগুলো বেসরকারি উদ্যোগে হয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে উন্নয়ন। আমি বলছি না যে সরকার করেছে, বা অন্য একটা সরকার করেছে।’

সিলেটকে নান্দনিক একটি শহর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেউ একজন বলেছিলেন, সিলেট নাকি বাংলাদেশের দ্বিতীয় পরিচ্ছন্ন নগর। যেটা যদিও যাচাই করা হয়ে উঠেনি। যদি এটা সত্যি হয় তার কৃতিত্ব আরিফ ভাইকে (আরিফুল হক চৌধুরী) দিতেই হবে। তিনি মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙেটেঙে যেভাবে রাস্তাঘাট বড় করেছেন।

অবশ্যই তাঁর সঙ্গে কাউন্সিলরা যারা ছিলেন, তাঁর একটি ভালো টিম ছিল বলে তিনি এটা করতে পেরেছেন।’

সিলেটবাসীর মূল্যবান জমি ছেড়ে দেওয়াকে বিরল ঘটনা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা বিরল ঘটনা। কারণ সিলেটের বাইরে আপনাকে যদি এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে হয়, যথাযথ মূল্য পরিশোধ করে সেটা নিতে হবে।

বিনা পয়সায় জায়গা ছেড়ে দিয়েনেছ এটা ব্যতিক্রমী-সে বিষয়টি অন্যান্য অঞ্চলের অনেকে বলেন। তাদের মতে, সিলেট কিছুটা ব্যতিক্রমী। এখানকার একটা হারমনি আছে, আমরা হিংসাকাতর নই, কারো অনিষ্ট কামনা করি না।’

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে রয়েল মার্ক হোটেলের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেন, আপনারা জানের উপরে আমাদের একটা লাইভ রুফটপ কিচেন আছে। আপনারা যে কোন সময় আমাদের কিচেন পরিদর্শন করতে পারবেন। আমরা ফুল হাইজিন মেন্টইন করে ভালো ফুড সরবরাহ করব।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটে থ্রী স্টার মানের মর্যদায় ‘রয়েল মার্ক’ হোটেলটি ওপেনিং হতে যাচ্ছে। প্রোগ্রামের সময় যা যা বলেছেন, শেষদিন পর্যন্ত যেন সেটা বজায় থাকে। এই হোটেল আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত রইল।’

এ সময় রয়েল মার্ক হোটেলের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা থ্রি স্টার মানের একটি হোটেল করেছি ও হোটেলে সামগ্রী পর্যটন পরিচালনা করতে আপনার সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

আমরা আশা করি আগামীদিনের এই সিলেটে পর্যটক বলেন আর বিদেশি বলেন আর দেশের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে আসা সিলেটকে দেখার জন্য জানার জন্য বা সিলেটের যেকোনো কাজে যারা আসবেন, তা আমাদের সিলেটে আবাসন সমস্যা রয়েছে। আবাসন সমস্যা সমাধন লক্ষে আমরা এই হোটেলের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। এই যাত্রাকল্পে আমরা আপনার সহযোগিতা কমনা করছি।’

মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদি বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানে সাফল্য কামনা করছি এবং যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে সিলেট একটি পর্যটন নগর সেটি আমরা সবাই বলি। যারা এই প্রতিষ্ঠানটি করেছেন অথবা সিলেটে এই মানের যে হোটেলগুলো আছে সেই হোটেলগুলোতে যাতে আমাদের পর্যটকরা নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ থাকতে পারেন এই পরিবেশ যাতে এনসিওর করা হয় এই বিষয়ে প্রতি আমি কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় যেটি হচ্ছে আমরা এই নগরকে সবার বাসযোগ্য একটি নগর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিষয়টি সব দিক থেকে গুরুত্ববহন করে, সেটি হচ্ছে পর্যটকরা যখন আসবেন সিলেটে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে আসবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তাদের নিরাপদে চলাচল নিশ্চিত করা এই বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি দেওয়া উচিত।’

সাধারণ সম্পাদক মহানগর বিএনপি এমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘রয়েল মার্ক’ হোটেলের সাফল্য কামনা করি। এবং যারা এই রয়েল মার্কসহ এই গ্রুপটি যেভাবে দেশের মানুষের কাজ করছে অর্থাৎ দেশের কর্মস্থান হবে দেশের রেভিনিউ আর্নিং হবে। সেহেতু আমি তাদেরকে তাদের এই অগ্রযাত্রা শুরু হোটেল নয় আমি আশা রাখি এই সিলেটে তাদের মাধ্যমে একটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে। যেখানে  সিলেটের বেকার যুবকরা যারা লেখাপড়া করে  গ্রাজুয়েশন করে তারা কাজ পাচ্ছে না তাদের জন্য একটি কর্মস্থানের চিন্তা করে হোটেলে বাইরে যাতে এখানে বড় ধরনের ইন্ডাস্ট্রি করা যায়। যে ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে দেশের রেভিনিউ কালেকশন হবে।

ইতোমধ্যে এখন থেকে কার্গোও শুরু হয়েছে সে ধরনের কিছু চিন্তা ভাবনা আমি উনাদের কাছ থেকে আসবে আশা প্রত্যাশা করি।’

এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌস, হোসেন সিলেট মেট্রপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাওলানা খাইরুল, পরিচালক ফাহিম আহমদ চৌধুরী, সিলেট ক্লাব লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বারাকা গ্রুপের পরিচালক আফজাল রশিদ চৌধুরী, পরিচালক বারাকা গ্রুপ নাঈম আহমদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, হুজাইফা তারিক।

এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন, কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মিজানুর রহমান চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট খন্দকার সিপার আহমদ, বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান সেলিম, নাসিম হোসেইন, আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, ব্যবসায়ী নেতা এহতেশামুল হক, আলীমুল এহসান, জিয়াউল হক, মুজিবুর রহমান মিন্টু, সায়েম আহমদ, সিলেট মেট্রেপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ সভাপতি ফেরদৌস আহমদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন, রোহেনা সুলতানা।

» তারুণ্যের সমাবেশ সফলে সিলেট মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

নিউজ ডেস্কঃ
আগামী ২৭ মে (মঙ্গলবার) ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি’ শীর্ষক সেমিনার এবং ২৮ মে (বুধবার) ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’র লক্ষ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর এবং কুমিল্লা বিভাগীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের নির্দেশনায় সিলেট মহানগর যুবদলের উদ্যোগে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ মে) বেলা ৩টায় ভাতালিয়াস্থ মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকির কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক বলেন, এই আন্দোলন শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং এটি তরুণদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তারা তাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারবে।

বর্তমান সময়ে যুবসমাজকে যদি আমরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করতে না পারি, তাহলে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা আরও হুমকির মুখে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, সিলেট মহানগর যুবদল এই সমাবেশে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে অংশ নেবে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিট থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকায় যাবো আমরা।

প্রতিটি যুবক হবে পরিবর্তনের দূত, গণতন্ত্রের রক্ষক। আমরা ঢাকায় যাবো, তারুণ্যের অধিকার ও গণতন্ত্রের পতাকা উঁচিয়ে ধরবো।

তিনি সকলকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো ৩১ দফা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

সিলেট মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা মো. সম্রাট হোসেনের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা যুবদলের  সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বেলাল, মো. মুহিবুল আলম, প্রানেশ দেব, ময়নুল ইসলাম, বেলাল আহমদ, মামুন আহমেদ মিন্টু, সৈয়দ আমিন আহমদ, সোহেল মাহমুদ, মালেক আহমদ, মো. হেদায়েত উল্লাহ হিরন, বেলাল হোসেন বেলু, মো.জুয়েল আহমদ জুবের, মো. সুরুজ আলী, মালেক বক্স, মুমিনুর রহমান তানিম, সল্টি দাস, মো. জামাল উদ্দিন, মো. কুতুব উদ্দিন, সিলেট মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপন, কল্লোল জ্যোতি বিশ্বাস, মলয় লাল ধর, মো. ইসহাক আহমদ, পারভেজ খান জুয়েল, এহতেশামুল হক সবুজ, জামিল আহমদ, শামীম রেজা, এম এ মতিন, মো. সাহেদ আহমদ, ইয়ার মো. এনামুল হক সোহেল, বাবলু মিয়া, হাবিবুর রহমান, নাসির উদ্দীন রহিম, করুনাময় সিংহ, সাহেল রহমান, শহীদুজ্জামান সুমন, মো.আব্বাস উদ্দিন, আহমদ খাঁন জুনেদ, জাহিদ হাসান, এম এ সালাম, মো.আব্দুর রহিম শামীম, নাদিম হোসেন, আজিজুল হক আরজু, বাবুল হোসেন হৃদয়, মো.আব্দুল ওয়াহিদ, রায়হান আহমেদ অপু, মো. তারেকুল ইসলাম, মো. দিলাজ আহমদ, মো. নজরুল ইসলাম, মো.জাকির হোসেন কয়েস, মো. নুর উদ্দিন খাঁন হাসান, সিলেট মহানগর যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ খাঁন তাইফুর, এম এ হাসান, নাজির আহমেদ, কাওছার হোসেন খান, মাহফুজুল করিম শিপলু, হিবজুর বিশ্বাস রাজু, শাহিন উদ্দিন আহমদ, মো. রাহাত আহমদ টিপু, হোসেন আহমেদ, মো. ইকবাল আহমদ মাসুম, মো. শিমুল আহমদ, রিপন চৌ:, শরিফ আহমদ, মো. হোসেনুর রহমান রিজভী, বাবর আহমদ, মো. আনোয়ার কাদির, শাহরিয়ার মুর্শেদ খান শাকিল, মো. মেহেরাজ হোসেন রাজু, সিলেট মহানগর যুবদলের প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, দপ্তর সম্পাদক পারভেজ আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক এ কিউ এম শাহরীয়ার জালালী কাইজার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রহমত আহমদ টিটু, তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক সাদেকুর রহমান বাচ্চু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রাসেল আহমদ, সিলেট মহানগর যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাওন আহমদ ইমরান, তানভীর আহমদ, তাইম আলী কাইয়ুম, মেহেরাজ ভূইয়া পলাশ, মো. লায়েক, মো. আব্দুল মালেক সুমন, সুমায়েল আহমদ, মো. মুহিবুর রহমান ছোট মিয়া, রাজন আচার্য্য, মো. রুহেল উদ্দিন, আব্দুল মন্নান মনা, মো. দুলাল মিয়া, জাহেদ আহমদ রিপন, শাহ ছাব্বির বাবু, সঞ্জয় কুমার দাস, সাইফুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ আফজল, সহ দপ্তর সম্পাদক মো. শাহিন আলম, মো. ইমরান আলী, হাসান মোহাম্মদ মিরাশ, সহ সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক লায়েক আহমদ, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রাজু মিয়া, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিলাদ আহমদ, সহ শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো.সুহেল আহমদ, সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো.ছিদ্দিক পারভেজ, সহ-ত্রান ও পুর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম বাবু, সহ -গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক ইমাম মোহাম্মদ জহির, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসাইন সিলেট মহানগর যুবদলের সদস্য আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

» বাংলাদেশ মণিপুরি সাহিত্য সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

Published: ১৬. মে. ২০২৫ | শুক্রবার

‘মণিপুরি সাহিত্য সংসদ শেকড়ের আলোকবর্তিকা প্রজ্বলন করে রেখেছে’

নিউজ ডেস্কঃ
নিজস্ব সংস্কৃতি, কবিতা পাঠ ও আলোচনা সভাসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশ মণিপুরি সাহিত্য সংসদের ৫০তম সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে বাংলাদেশ মণিপুরি সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে নগরীর সুবিধবাজারস্থ সিলেট প্রেসক্লাবের হলরুমে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এল প্রশান্ত কুমার সিংহ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্তীপ কুমার সিংহ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও সিলেট মিরর-এর সম্পাদক আহমেদ নূর এবং সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মণিপুরি সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি নামব্রম শংকর, নীহার রঞ্জন শর্মা ও কে এইচ সমেন্দ্র সিংহের যৌথ সঞ্চালনায় সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের স্বপ্নদ্রষ্টা, গবেষক ও বাংলা একাডেমির ফেলো কবি এ কে শেরাম, কে এম চন্দ্র মোহন সিংহ এবং এম বীরেন্দ্র সিংহ।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়াজ উদ্দিন, শিক্ষক নাসিমা চৌধুরী, বামাসাস কমলগঞ্জ শাখার সভাপতি এল ইবুংহল সিংহ শ্যামল এবং বিশগাঁও শাখার সহ-সভাপতি শেরাম অঞ্জন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আয়োজিত কবি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কবি রওশন আরা বাঁশী খুৎহৈবম এবং সঞ্চালনা করেন কবি অয়েকপম অঞ্জু। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সুমন বণিক ও কবি রাহনামা শাকীর চৌধুরী।

সম্মেলনে মণিপুরি ও বাংলা ভাষার প্রায় অর্ধশতাধিক কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।

সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পঞ্চাশ বছরের এই পথচলা শুধুই একটি সময়ের হিসাব নয়, এটি একটি জাতির ভাষা, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের দৃঢ় অভিব্যক্তি।

বাংলাদেশ মণিপুরি সাহিত্য সংসদ যে আলোকবর্তিকা প্রজ্বলন করেছে, তা আগামী প্রজন্মকে নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগাবে।

বক্তারা বাংলাদেশে বসবাসরত মণিপুরি জনগোষ্ঠীর সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সংসদের ৫০ বছরের ঐতিহাসিক পথচলায় আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

সাংস্কৃতিক পর্বে সংগঠনের শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর পরিবেশিত হয় দুটি কোরাস সংগীত এবং একাডেমি ফর মণিপুরি কালচার অ্যান্ড আর্টস (এমকা)-এর শিল্পীদের পরিবেশনায় মণিপুরি নৃত্য।

সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক সংকলন ‘মৈরা’-র ৬৫তম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একইসাথে মোড়ক উন্মোচন করা হয় সাধারণ সম্পাদক কবি নামব্রম শংকরের ‘মানুষ তুমি’ দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের লেখক, গবেষক, সাংস্কৃতিককর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Callender

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031