» সিলেটে মানববন্ধনে বক্তারা তুরাব হত্যাকারীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে কঠোর আন্দোলন

প্রকাশিত: ৩১. আগস্ট. ২০২৪ | শনিবার

নিউজ ডেস্কঃ
শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যাকারীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সিলেটের সাংবাদিকরা।

এ দাবিতে শনিবার (৩১ আগষ্ট) বিকেলে নগরের এটিএম তুরাব চত্বরে (সাবেক কোর্ট পয়েন্ট) সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ’র ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

দৈনিক জালালাবাদের সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস উন নূর-এর সভাপতিত্বে এবং দৈনিক সিলেটের সময়ের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম এবং দৈনিক জালালাবাদের সিনিয়র ফটো সাংবাদিক হুমায়ুন কবির লিটনের যৌথ পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি বদরুদ্দোজা বদর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবীদ কর্ণেল (অব.) আলী আহমদ, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতাউর রহমান আতা, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলজার আহমদ হেলাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) সিলেটের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিস রহমান, দৈনিক জৈন্তা বার্তার নির্বাহী সম্পাদক মো. ফয়সল আলম, দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ইমরান, সাইফুল ইসলাম তালুকদার।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ দেড় মাস অতিবাহিত হলেও তুরাব হত্যাকারীরা ধরাছোয়ার বাইরে। অথচ, তাঁরা এই শহরেই ছিল।

তাঁরা আরও বলেন, তুরাবকে কারা হত্যা করেছে তা একেবারেই পরিষ্কার। সে দিনের ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজ দেখলে প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিত করা সহজ।

আমাদের সহকর্মীদের কাছেও ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। বক্তারা তুরাব হত্যার পেছনের ইন্ধনকারীদেরও খুঁজে করতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জোর দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিগত সময়ে সারাদেশে গণমাধ্যমের মুখ চেপে রাখার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তুরাব হত্যা তারই অংশ বলে আমরা মনে করি। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাঁর অবসান হয়েছে। কিন্তু তুরাব সহ সারাদেশে যে সব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তাঁর সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা না গেলে তাদের আত্মা শান্তি পাবে না।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আমাদের ৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জুলুম-অত্যাচারের সঠিক চিত্র যাতে গণমাধ্যমে ওঠে না আসে সেটি ছিল তাঁদের লক্ষ্য।

এভাবে সময়ে সময়ে গণমাধ্যমের ঠুটি চেপে ধরতে পেশাদার সাংবাদিকদের ভয় দেখানো ও তাঁদের ওপর হামলা-নির্যাতন করা হয়েছে। এর শুরু সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যার বিচার না হওয়ায় একের পর এক সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে।

বক্তারা সাংবাদিকদের জন্য একটি সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, শেখ আশরাফুল ইসলাম নাসির, দুলাল হোসেন, নাজমুল কবির পাবেল, এইচ এম আরিফ, শুয়াইবুল হাসান, এমজেএইচ জামিল, ইয়াহিয়া মারুফ, অমিতা সিনহা, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মুহিদ দিদার, এমএ ওয়াহিদ চৌধুরী, মুন্সি ইকবাল, মুহিবুর রহমান, রজত চক্রবর্তী, উৎফুল বড়ুয়া, রাসেদুল হাসান সুয়েব, শিপন আহমদ, আজমল আলী, রেজা রুবেল, মিনাল কান্তি দাস, আহসান হাবিব, রেজওয়ান আহমদ, কৃতিশ তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফ উল্লাহ, রুবলে মিয়া, তারেক চৌধুরী রাহেল, ফারহান আহমদ চৌধুরী, রাধে মল্লিক তপন, মো. সুহেল মিয়া, ফারুক মিয়া, ফারুক আহমদ, কামাল হোসেন মিঠু, শাহিনুর রহমান জুয়েল, লতিফুর রহমান উজ¦ল, মারুফ হাসান, রফিক আহমদ, শিপন চন্দ্র জয়, মিজান মোহাম্মদ, কেএম রায়হান, মেহদী হাসার রণি, রুবেল আহমদ, সাকিব আহমদ, তারেক আহমদ, নিয়াজুল হক, জয়দীপ চক্রবর্তী, মোহাম্মদ আলী, জাবেদ আহমদ ইমরান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই শুক্রবার বাদ জুম্মা নগরের বন্দর বাজারে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব।

হত্যার বিচার চেয়ে গত ১৯ আগস্ট সিলেটের আদালতে মামলা দায়ের করে তার বড় ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ (জাবুর)।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬৪ বার

Share Button

Callender

March 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31