শিরোনামঃ-

» আহমাদিয়া সম্প্রদায়কে রাষ্টীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে পুলিশ কমিশনার বরাবরে ঊলামা পরিষদের স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ১৭. জুন. ২০২৩ | শনিবার

ডেস্ক নিউজঃ
প্রিয় নবী মুহাম্মদ স: কে শেষ নবী অস্বীকারকারী তথাকথিত আহমাদিয়া সম্প্রদায়কে রাষ্টীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে সিলেটের পুলিশ কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপী প্রদান করেছে ঊলামা পরিষদ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে সিলেটের পুলিশ কমিশনার ইলিয়াছ শরিফের কাছে উলামা পরিষদ বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি দল এক স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, উলামা পরিষদ বাংলাদেশের সহ সভাপতি মাওলানা মুস্তাক আহমদ খান, নির্বাহী সদস্য নুমানী চৌধুরি, মাওলানা সৈয়দ শামিম আহমদ, মাওলানা সাইফুল্লাহ,  প্রচার সম্পাদক মুফতি রশিদ আহমদ।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলাম। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। যিনি এক ও অদ্বিতীয়। এটা যেভাবে মুসলমানদের মুল বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত। ঠিক তেমনি আমাদের প্রিয় রাসুলুল্লাহ সঃ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী। প্রিয় নবী স: এর পর আর কোন নবী আসবেননা। এটা ও মুসলমানদের মৌল বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত।
রাসুলুল্লাহ সর্বশেষ নবী। এটাই খতমে নবুওয়ত। অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সঃ এর পর কোন নবী আসবেন না, এব্যাপারে কোন মুসলমান যদি সামান্য পরিমাণ সন্দেহ করে সে মুসলমান থাকতে পারবেনা।
এতে আরো বলা হয়, রাসুলুল্লাহকে সঃ সর্বশেষ নবী হিসেবে আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্ট ঘোষণা করেছেন। স্বয়ং প্রিয় নবী সঃ বলেছেন, আমি সর্বশেষ নবী। আমার পর আর কোন নবী নেই। ইসলামের এমন সুস্পষ্ট ঘোষণা সত্বেও প্রায় দেড় শত বছর পুর্বে তৎকালীন বৃটিশ সরকারের মদদে এক ব্যক্তি নিজকে নবী দাবি করে।অভিশপ্ত ব্যক্তিটির নাম হচ্ছে গোলাম আহমদ কাদিয়ানী। সে সময় থেকে তার অনুসারীরা নিজেদের কাদিয়ানী দাবি করে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
মুসলিম বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রে তাদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের দেশেও কাদিয়ানী ধর্ম অনুসারীরাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে ওলামায়ে কেরাম নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, কাদিয়ানীরা মুসলিম পরিচয় দেয়ার অধিকার রাখেনা, মুসলমানদের ধর্মীয় শব্দাবলী ব্যবহারের তাদের অধিকার নেই। হিন্দু খৃষ্টান ধর্মের মতো কাদিয়ানী ধর্মমত হিসেবে তারা চলতে পারে, কিন্তু কোনভাবেই মুসলিম পরিচয় দিতে পারবেনা। মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন মাযহাব, মাসলাক রয়েছে কিন্তু খতমে নবুওয়ত বিষয়ে এদেশের মুসলমানদের মধ্যে কোন বিভাজন নেই। এই অভিশপ্ত কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে বিগত ২৭ শে মে সিলেট রেজিস্ট্রারী মাঠে খতমে নবুওয়ত মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
খতমে নবুওয়ত মহাসমাবেশের প্রস্তাবাবলীর মধ্যে রয়েছে; (১) প্রিয় নবী মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহকে সঃ সর্বশেষ নবী অস্বীকারকারী কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার জোর দাবি জানাচ্ছে। (২) কাদিয়ানীরা পৃথক ধর্মের অনুসারী। ওরা মুসলিম পরিচয় দিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে।কারও ধর্মানুভুতিতে আঘাত হানা সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ। সরকারের উচিত অবিলম্বে ওদের অমুসলিম ঘোষণা করে সাংবিধানিক দায়িত্ব সম্পাদন করা। (৩) কাদিয়ানীরা মুসলমানদের ধর্মীয় পরিভাষা ব্যবহারের অধিকার রাখেনা,ওদের ধর্মীয় কাজ সম্পাদনের স্থান উপসনালয় হবে, কাদিয়ানী মসজিদ কোন মুসলমানদ বরদাশত করবেনা।এব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। (৪) কাদিয়ানীদের পণ্য বিশেষত আর এফ এল কে বর্জনের জন্য মুসলমানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। (৫) দেশে ইদানীং তথাকথিত আহলে কুরআন নামে একটি শ্রেণী হাদীসে রাসুল অস্বীকার করার ফিতনা শুরু করেছে।
বিশ্বের সমস্ত হক্কানি আলেমদের মত হচ্ছে, যারাই হাদিস অস্বীকার করবে, এরা কাফের। এদের অপতৎপরতা সম্পর্কে দেশের মুসলিম জনতাকে সতর্ক থাকার আহ্বান নেতৃবৃন্দ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৫৩ বার

Share Button

Callender

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930