শিরোনামঃ-

» প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করায় ছাতক যুবদল নেতা খায়ের উদ্দিনের ১ দিনের রিমাণ্ড

প্রকাশিত: ১৪. নভেম্বর. ২০২১ | রবিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে আটক সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও ছাতক পৌর যুবদলের আহবায়ক খায়ের উদ্দিনের একদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত সুমাগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুদরতি এলাহি এ আদেশ দেন।

রবিবার (১৪ (নভেম্বর) তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ছাতক পৌর যুবদলের আহ্বায়ক খায়ের উদ্দিনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

সুনামগঞ্জ জেলার হাতক থানার ছাতক পৌরসভা শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সভাপতি এবং ছাতক উপজেলা শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর যুগ্ম আহবায়ক জামায়েল আহমদ আইসিটি এ্যাক্টে মামলা করেন ছাতক যুবদলের আহ্বায়ক খায়ের উদ্দিনের উপর মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ছাতক থানায় মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং ০৮/২০২১। রিমান্ড আবেদনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান।

মামলার বাদী ফরহাদ আহমদ জানান, যুবদল নেতা খাররুলের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আমাদের অনুরোধ  খায়রুল কে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে।

মামলার বাদি জামায়েল আহমদ আরো বলেন, আমি মামলাতে উল্লেখ করেছি সুনামগঞ্জ জেলার হাতক থানার ছাতক পৌরসভা শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সভাপতি এবং ছাতক উপজেলা শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর যুগ্ম আহবায়ক হই। আমি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মহান আদর্শ ধারণ ও লালন করে ঐহিত্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করি। বাংলাদেশের আপামর ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ের বৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সাথে জড়িত থেকে প্রতিটি ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে নিবেদিত করে আসছি। ফলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর একজন সদস্য হিসেবে নিজেকে সম্মানিত ও মর্যাদাশীল হিসেবে মনে করি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর একটি অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভাপতি শেখ হাসিনা একই সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দায়িত্বগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ জাতীয় নির্বাচনের ২০০৯ সালের ০৬ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে অদ্যাবধি শেখ হাসিনা দায়িত্বরত আছেন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থাকাকালে শেখ হাসিনা জাতীয় আন্ত র্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক খ্যাতি-সুনাম ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মান এবং পুরস্কারে ভূষিত হন। আমি বাংলাদেশের ছাত্রলীগ-এর একজন ছাত্র আন্দোলনের কর্মী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খ্যাতি সম্মানে নিজেকে সম্মানিত গৌরবান্বিত মনে করি।

বাদী জামেল আরো বলেন, গত ০৭-১১-২০২১ খ্রিস্টাব্দ রোববার আনুমানিক সকাল ১১.৩০টার সময় ছাতক পৌরসভার মণ্ডলীভোগস্থ আমার নিজ বাসায় থেকে আমার ঔধসধুবষ ঋড়ৎযধফ নামক ফেসবুক নিজস্ব আইডি মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রবেশ করি। আমার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস স্মার্টফোন মোবাইল ব্যবহারক্রমে ফেসবুক-এ প্রবেশ করার পর দেখতে পাই ০১ নম্বর আসামি খায়ের উদ্দিন তার নিজস্ব নামে ব্যবহৃত ফেসবুক ‘কযধুবৎ টফফরহ’ নামক আইডি দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকৃত ছবি, কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল এবং নগ্ন ছবি ডিজিটাল প্ল্যাটফ্রম ইলেকট্রনিক বিন্যাসে শেয়ার করে পোস্ট করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভানেত্রীর ছবিকে কারসাজি ও বিকৃত করে নগ্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এ শেয়ার করে পোস্ট দিয়ে সারাবিশ্বে প্রকাশ ও প্রচার করে হেয় পতিপন্নের হীন চক্রান্তে অমার্জনীয় অপরাধ সংঘটন করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত ছবির সাথে বাংলা ভাষায় লেখা সংযুক্ত রয়েছে ‘রাক্ষুসি হাসিনা এবং অন্যান্য বিকৃত কারকার্য। আসামি খায়ের উদ্দিন তার নিজ নামের ফেসবুক একাউন্ট থেকে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে স্বপরিচয়ে এবং অপরাপর অজ্ঞাতনামা পদ মর্যাদার অধিকারী বাংলাদেশের বারের এবং চলমান প্রধানমন্ত্রীর মান-মর্যাদা ও সম্মানহানিসহ অপুরণীয় ক্ষতি করেছে। স্পেস’-এ এখনও চলমান রয়েছে। ফলে দেশ-বিদেশে ক্রমাগত রাষ্ট্র প্রধান ও জনগনের জনগণের মান-সম্মান ভূলুষ্ঠিত হচ্ছে। একারণে রাষ্ট্রের এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-এর সদস্য হিসেবে আমারও ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মানহানিকর বিকৃত ছবি ও তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেছে। ০১ নম্বর আসামি খায়ের উদ্দিনসহ অপরাপর অজ্ঞাতনামা আসামিগণ কর্তৃক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংঘটিত অপরাধ কর্মকান্ড ঘটানোর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ফেসবুক আইডি দিয়ে স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন। আসামিগণ কর্তৃক এধরণের নিন্দিত ও গর্হিত অপরাধ কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ প্রচারের ফলে এলাকায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার উপক্রম হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ছবি বকৃত করে প্রকাশ ও প্রচারের কারণে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে এলাকার সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়ে অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এইসব সাইবার অপরাধের সাথে জড়িত আসামিচক্র ডিজিটাল প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে সপরিচয়ে ও পরিচয় গোপন করে মিথ্যা, অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ, বিকৃত ছবি, বিকৃত তথ্য বিভ্রান্তিমূলক উক্তি সংযোজন করে প্রচার ও প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রের জনগণ এবং নাগরিক হিসেবে আমারও মান-মর্যাহানি এবং ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ অপুরনীয় ক্ষতিসাধন হয়েছে। আসামি খায়ের উদ্দিন তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি লিংক হচ্ছে- https://www.facebook.com/khayer.uddin.28

উল্লেখিত Profile link দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মানহানি ও ভাবমূর্তি ০১ নম্বর আসামি খায়ের উদ্দিন ছাতক পৌরসভা যুবদল এর আহবায়ক অব্যাহত রেখেছে।

আসামিগণকে সনাক্ত করার চেষ্টা এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে এজাহার দায়ের করতে কিছুটা বিলম্ব হলো।

এজাহারের সাথে আসামিগণ কর্তৃক প্রচারিত ও প্রকাশিত পোস্টের প্রিন্টভার্সন সংযুক্ত করেছিলাম। এরপরে ছাতক থানায় মামলা রেকর্ড করে এবং আসামীকে আজ রোববার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৭৭ বার

Share Button

Callender

July 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031