শিরোনামঃ-

» বিশ্বনাথে গভীর রাতে কতিপয় দুস্কৃতিকারী বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন ও মিটার ভাংচুর করে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে

প্রকাশিত: ২৬. আগস্ট. ২০১৮ | রবিবার

সিলেট বাংলা নিউজ বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ সিলেটের বিশ্বনাথের নতুন বাজারস্থ জনতা রেষ্টুরেন্টের বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন ও মিটার ভাংচুর করেছে কতিপয় দুস্কৃতিকারী ব্যক্তি।

শুক্রবার (২৪ আগষ্ট) ভোর ৪টা ১০ মিনিটে এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ব্যাপারে মো. আব্দুল মতিন (২৭), পিতা- মো. আব্দুল করিম বাদী হয়ে শনিবার (২৫ আগষ্ট) বিশ্বনাথ থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন।

বিশ্বনাথ থানার সাধারণ ডায়েরী নং- ১৩১৮, তারিখ ২৫/০৮/২০১৮ইং

অভিযোগে ১নং রফিক হাছান (৩৬), পিতা- মৃত জাবেদ আলী, সাং- দক্ষিণ মিরের চর-২, ২নং শামীম মিয়া (২৫), পিতা- কালাম মিয়া, সাং- জানাইয়া, উভয় থানা- বিশ্বনাথ সহ ৩নং অজ্ঞাত আরো ১ জনকে বিবাদী করা হয়।

অভিযোগে মো. আব্দুল মতিন বর্ণনা করেন যে, বিবাদীগণ খুব উচ্ছৃঙ্খল ও খারাপ প্রকৃতির লোক।

তাদের সাথে বাদী পক্ষের দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।

বিশ্বনাথ নতুন বাজারস্থ বাদী মো. আব্দুল মতিনের নিয়ন্ত্রনাধীণ জনতা রেষ্টুরেন্টটির প্রকৃত মালিক তার মামা শাহ কামাল (৪১)।

উল্লেখিত বিবাদীগণ পূর্ব হইতে তার মামা শাহ কামালের নিকট থেকে দোকান ঘরটি জোরপূর্বকভাবে দখল সহ বিভিন্ন ক্ষতি সাধণ করার কাজে লিপ্ত ছিল।

দোকান ঘরটি ২য় তলা পাকা দালান বিশিষ্ট। যার নীচ তলায় জনতা রেষ্টুরেন্ট ও ২য় তলায় ভাড়াটিয়া জমির আলী স্ব-পরিবারে বসবাস করেন।

ঐ দালান ঘরের ডান পার্শ্বের দেয়ালে একটি বৈদ্যুতিক মিটার ছিল। যা নিরাপত্তার স্বার্থে লোহার গ্রীল দিয়ে আচ্ছাদিত।

পারিবারিক সমস্যা থাকায় বিগত রমজান মাস হতে জনতা রেষ্টুরেন্ট বন্ধ ছিল কিন্তু ২য় তলায় ভাড়াটিয়া জমির আলী যথানিয়মে স্ব-পরিবারে বসবাস করছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ আগষ্ট) জনতা রেষ্টুরেন্ট বন্ধ ছিল এবং জমির আলীর পরিবারের সদস্যরা ২য় তলায় ঘুমিয়ে ছিলেন।

কিন্তু শুক্রবার (২৪ আগষ্ট) রাত ৩টা ৫৩ মিনিটের সময় কতিপয় দুস্কৃতিকারী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বাসার চতুর্দিক ঘুরাঘুরি করতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর ২য় তলার বিদ্যুত চলে যায় এবং ভাড়াটিয়ারা বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙ্গার শব্দ শুনতে পান। তৎক্ষণাৎ জমির আলী বাসা থেকে বের হয়ে দেখতে পান যে, ৩ জন লোক বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙ্গচুর করছে।

এ সময় জমির আলী ভয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকলে দুস্কৃতিকারীরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি জমির আলী শুক্রবার (২৪ আগষ্ট) ভোর ৪টা ১০ মিনিটে বাদী মো. আব্দুল মতিনকে অবগত করলে তিনি তখন ঘটনাস্হলে আসেন এবং এসব দেখতে পান। তিনি দাবি করছেন দুস্কৃতিকারীরা প্রায় ১৪ হাজার টাকার ক্ষতি সাধণ করেছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৯১৫ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031