শিরোনামঃ-

» বালাগঞ্জে বন্যায় তলিয়ে গেছে অর্ধ শতাধিক গ্রাম

প্রকাশিত: ২৩. জুন. ২০১৮ | শনিবার

এসবিএন বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বালাগঞ্জে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে অর্ধ শতাধিক গ্রাম। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা। কুশিয়ারা ডাইকের ৯ টি স্থানে ভাংগন দেখা দেওয়ায় পূর্বপৈলনপুরের সবকটি গ্রামই পানিতে তলিয়ে গেছে। বালাগঞ্জ সদরে বাসষ্টেশন, হাসপাতাল পূববাজার রোড, পোষ্ট অফিস রোড ও পুরাতন থানা রোড পানিতে নিম্মজ্জিত।

অাকস্মিক এ বন্যায় দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ সহ কুশিয়ারা তীরবর্তী লোকেরা। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। শনিবার ভোরে রাধাকোনা গ্রামে রাস্তাটি ভেংগে কুশিয়ারা নদীর পানি টুকতে শুরু করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ ভাংগন বন্ধের অনেক চেষ্টা করে সাকো দিয়ে জনসাধারনদের চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। খবর পেয়ে বালাগঞ্জ সহকারি কমিশনার ( ভুমি) সুমন কুমার দাস, ওসি এস এম জালাল উদ্দিন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম,সদস্য আব্দুস শহীদ, ভাংগনের স্থানটি পরিদর্শন করেন।বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বোয়ালজুড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনহার মিয়া বলেন, বোয়ালজুড় ইউনিয়নে আউশ ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে ইউনিয়নের অধিকাংশ লোকই পানিতে নিম্মজিত।

উপজেলার অধিকাংশ লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। কুশিয়ারা ডাইকে ব্যপক ক্ষতি হয়ে পূর্ব পৈলনপুর বন্যা দেখা দিয়েছে।পূর্বগৌরিপুরের ইউপি চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস জানান- কুশিয়ারা তীরবর্তী সবগুলো গ্রামই বন্যাক্রান্ত। ডাইকের বাজারে সুইচ গেইটে বাঁধ দিয়ে পানি বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে। পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন আমার ইউনিয়নের নয়টি গ্রামের লোকজনই মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

বালাগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মুনিম বলেন- আমার সদর ইউনিয়নে রাধাকোনা ও করচারপাড় গ্রামে একাধিক স্থানে ভাংগন দেখা দিয়েছে। করচারপাড়ে বন্ধ করা হলেও অন্যটি করা যায়নি।প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ এলাকায় ভাংগন রোধের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া বলেন, উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

আমি পূর্বপৈলনপুরের গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছি পর্যায়ক্রমে সবগুলো এলাকা পরিদর্শন করবো।উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন থেকে বন্যা মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হক বলেন- আমি নিজে অনেক স্থান পরিদর্শন করেছি। কুশিয়ারা ডাইকের ৯ টি পয়েন্ট ভাংগনের কারনে পুরো পৈলন পুর ইউনিয়ন বন্যা কবলিত। বালাগঞ্জ বোয়ালজুড় ও পূর্ব গৌরিপুরসহ সবকটি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে।

এদিকে দুপুরে পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের কিত্তেজালালপুর, ঐয়া, ইছাপুর, ফাজিলপুর, পৈলনপুর গ্রাম পরিদর্শন করেছেন বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. অাবদাল মিয়া।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: রেপা বেগম, পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. অাব্দুল মতিন, জাহাঙ্গীর মেম্বার, রনজিত বৈদ্য, ইমাদ উদ্দিন, নিসকন আহমদ সহ বিভিন্ন সামাজিক নেতৃবৃন্দ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৪০ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031