শিরোনামঃ-

» জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র জনৈক ষ্টোর কিপারের অনিয়ম ও দূর্নীতি (পর্ব -১)

প্রকাশিত: ১৮. জানুয়ারি. ২০১৭ | বুধবার

আল-মাসুম, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনই কর্ণপাত হচ্ছে না।

তদন্তকারীরা দল অনিয়মের সত্যতা পেয়ে অভিযোগের প্রতিবেদন দাখিলের পরও বহাল তবিয়তে থাকছে দূর্নীতিকারী ষ্টোর কিপার।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়- গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ভোর বেলা জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ষ্টোর কিপার শিব্বির আহমদের ব্যক্তিগত কাজে নিয়োজিত সোহাগ মিয়া নামক জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে ১২ কাটুন ঔষধ সহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রান্না ঘরের পার্শ্ব হতে সরিয়ে নেন।

ঔষধ চুরির ঘটনাটি জানা-জানি হলে ষ্টোর কিপার শিাব্বর আহমদ নিজেকে বাঁচাতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দৌড় ঝাঁপ শুরু করেন।

বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন রকমের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সমুহ গত বছরের ২৫ জুন ধ্বংস কমিটির সম্মুখে পুড়ানো হয়।

প্রশ্ন দেখা দেয় ২৫ জুন মেয়াদ উর্ত্তীণ ঔষধ পুড়ানো হলে তার ১ দিন পর ২৭ জুন ১২ কাটুন ঔষধ কোথায় হতে এলো এবং কোন ঔষধ ধ্বংস না করে গোপনে সারিয়ে রাখা হল?

সূত্র আরও জানায় ঔষধ সরিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুক মশালচী ও নাইটগার্ড জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

ষ্টোর কিপার শিব্বির আহমদ জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর হতে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে এ রকম ঘটনার প্রতিবেদন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।

এ ছাড়া তিনি জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পূর্বে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে এ রকম ঘটনার দায়ে জনরোশের শিকার হলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে বদলী করে।

সিলেটের সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান বিগত বছরের ২৪ এপ্রিল সরেজমিনে পরিদর্শনকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এন.ডি.সি কর্ণারের প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বেসরকারী এনজিও সংস্থার অনুদানের মাধ্যমে প্রাপ্ত চক্ষু পরীক্ষার যন্ত্র এবং দু’টি চক্ষু পরীক্ষার আফতাল মেশিন সরানোর অভিযোগের সত্যতা পায়।

সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান মেশিন দু’টি দেখাতে চাইলে ষ্টোর কিপার শিব্বির আহমদ তা দেখাতে পারেনি।

এছাড়া অভিযোগ উঠেছে তিনি হাসপাতালের কোয়ার্টার এক ঔষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেনটিভ এর কাছে ভাড়া দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন, সরকারী পুকুর লীজ দিয়ে টাকা আদায় সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দূর্নিতি অনিয়ম রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অপরদিকে চুরি হওয়া ১২ কাটুন ঔষধ ও যন্ত্রপাতি ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃক ঘটিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সত্যতা পায় মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ষ্টোর কিপার শিব্বির আহমদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদক-কে জানান- ঔষধ চুরির কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলা উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেদক-কে জানান- ঔষধ সরানোর ঘটনায় ঘটিত তদন্ত কমিটি সত্যতা পায় এবং প্রতিবেদন দাখিল করে।

এছাড়া তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। কিন্তু কি কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তিনি বলতে পারছেন না। (চলবে)

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৯৭ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930