শিরোনামঃ-

» জৈন্তার মাঠে মাঠে শীতকালীন সবজির ধুম

প্রকাশিত: ২০. ডিসেম্বর. ২০১৬ | মঙ্গলবার

আল মাসুম, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:: সিলেটের জৈন্তাপুরের মাঠে মাঠে এখন শীতকালীন সবজির ঘ্রাণ। এই মৌসুমের সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন স্থানীয় কৃষকরা।

বর্তমান মৌসুমে সবজির বীজ বপন, চারা রোপণ ও পরিচর্যার কাজ হচ্ছে মাঠে-মাঠে।উপজেলায় শীতের সবজি চাষের ধুম পড়েছে। কেউ কেউ আরো আগে থেকেই সবজি চাষে নেমেছেন।

বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের প্রায় সব ধরনের আগাম সবজি। এর মধ্যে রয়েছে মুলা, শিম, বাঁধাকপি, আলু, লালশাক, ফুলকপি, টমেটো, শসা, গাজর,লাউ, মরিচ, বেগুন, বরবটি সহ নানা ধরনের সবজি।

প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শীতকালীন সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম একটু চড়া। তারপরও লোকজন নতুন সবজি ক্রয় করছেন। আগাম সবজি বাজারে তুলতে পারলে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব সেই চিন্তা মাথায় রেখে চারা তৈরি ও সবজি চাষে ব্যস্ত চাষীরা।

হেমন্তের শুরুতেই উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। দিনের গরম পড়লেও রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়ার এমন পালাবদলে জৈন্তাপুরে চাষাবাদের ধরনও পাল্টেছে। বিশেষ করে উপজেলার চারিকাটা ও নিজপাট ইউনিয়নে শীতকালীন সবজি বেশি চাষাবাদ হয়।

ফলে এসব ইউনিয়নে সবজি চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,উপজেলায় হাজারাধিক হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হচ্ছে। জরিপ করে দেখা যায় উপজেলায় সবচেয়ে বেশি শিম, লালশাক, পুঁইশাক, লাউ, টমেটো মরিচ চাষ হচ্ছে।

কৃষকরা এখন চাষের জমি তৈরিতেও ব্যস্ত হয়ে উঠছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায় শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়েছে মাসদিন আগেই।যারা পিছিয়ে পড়েছেন তারা এখন চাষে তোড়জোড় শুরু করেছেন।

তবে চাষিরা জানান,সবজি চাষে এখন খরচ বাড়ছে। কীটনাশক, সার, শ্রমিক, সেচ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।

উপজেলার থুবাং গ্রামের সবজি চাষি মখলিছ আলী জানান, শীতের আমেজ শুরু হয়েছে সে কারণে শীতকালীন শাকসবজি চাষাবাদ করছি।

লোথমহাইল গ্রামের চাষি রাহিদুজামান বলেন,যেকোনো সবজিই যদি মৌসুমের শুরুতেই বাজারে তোলা যায়,তার দাম যেমন বেশি পাওয়া যায়, তেমনি ক্রেতাদের কাছে তার চাহিদাও থাকে বেশি। সে চিন্তা মাথায় রেখেই তিনি এবার জমিতে ফুলকপি চাষ করছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৭২৮ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031