শিরোনামঃ-

» জৈন্তাপুরের ৪টি বিলে প্রকৃতি স্বমহিমায় লাল শাপলায় সজ্জিত

প্রকাশিত: ২৩. নভেম্বর. ২০১৬ | বুধবার

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি, আল মাসুমঃ পান-পানি-নারী খ্যাত সিলেটের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এবং জৈন্তিয়া রাজ্যের রাজা রাম সিংহের স্মৃতি বিজড়িত ৪টি বিল লাল শাপলার হাসিতে সজ্জিত।মনে হয় এ যেন এক মায়াবি মাঠ বাংলায় আর দ্বিতীয়টি নেই।

সরজমিনে এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায়- পাহাড়ী টিলা, ঝর্ণা, বিল, হাওর, নদী- নালা, খাল-বিল বেষ্টিত ও প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর উপজেলা জৈন্তাপুর।

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এ বিলে কোন শাপলা ছিল না। দেড় থেকে দুই যুগ পূর্বে সীমান্তের ওপারে খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন লাল শাপলা দিয়ে পূজা অর্চনা করতেন। কোন এক খাসিয়া পরিবারের লোক প্রথমে ডিবি বিলে লাল শাপলার একটি চারা রোপন করেন পূজা অর্চনায় ফুলের চাহিদা মেটাতে।

সেই হতে একে একে জৈন্তিয়া রাজ্যের স্মৃতি বিজাড়িত ঐতিহাসিক ডিবিবিল, কেন্দ্রিবিল, হয়রফকাটা বিল, ইয়ামবিলসহ পাশ্ববর্তী জানসাধারনের পুকুর নালায় পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে লাল শাপলায়।

৪টি বিল অন্তত প্রায় ৪ শতাধিক একর জায়গা জুড়ে লাল শাপলায় দখল করে আছে। ভোর হতে সকাল ১১টা পর্যন্ত বিলগুলোর ধারে দাঁড়ালে মনে হবে আপনি প্রাকৃতির এমন এক মায়বী স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যাহা বাংলার ভূখন্ডে আর দ্বিতীয়টি নেই।

যেদিকে থাকাবেন সেদিকে দেখতে পাবেন লাল শাপলা হাঁসিতে ভরে উঠেছে।ক্রমশঃ উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে লালা শাপলার এই বিল গুলো বাংলাদেশের সকল জেলার ভ্রমন ও সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষ জনের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে।

সূর্য উঠার সাথে সাথে লাল শাপলার হাঁসি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে লোকজন ছুটে আসেন বিল গুলোতে। ইতোমধ্যে লাল-শাপলার বিল হিসাবে পর্যটন খ্যাত সিলেটের দর্শনীয় স্থানের তালিকায় নাম দখল করে নিয়েছে জৈন্তাপুরের ইয়ামবিল, পাশাপশি বাকী বিলগুলোও তাদের সৌন্দর্য্য বিলিয়ে দিচ্ছে ভ্রমন পিপাসুদের মাঝে।

স্থানীয় বাসিন্দা ডিবিরহাওর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হক,খন্দকার আব্দুল মালেক, সুলেমান মিয়া, ফরিদ মিয়া, মনোরঞ্জন বাবু, নিরঞ্জন বিশ্বাস সহ ডজন খানেক ব্যক্তির সাথে আলাপকালে তারা জানান- সূ্র্য উদয়ের পর হতে বিল গুলোতে শাপলার হাসি দেখতে মানুষ বিড় জমাচ্ছে।

বিগত ২০১৫ সনে জাতীয় একটি পত্রিকায় ইয়ামবিলের ছবি সহ সংবাদ প্রকাশের পর ভ্রমনপিপাসু লোকজন একনজর দেখতে ভোর বেলা হতে বিল গুলোতে বিড় জমান।

তারা আরও বলেন- লাল শাপলার হাঁসিতে বিলের আশ পাশ এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করেছে। আমাদের ভাল লাগে শাপলার জন্য বিলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি কল কল শব্দে এবং লাল শাপলার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে।

যেহেতু বিল গুলো সরকারের লীজের অন্তভূক্ত এবং সরকার প্রতি বৎসর রাজস্ব আয় করছে বিল সমুহ হতে। সেহেতু হাওরের সৌন্দর্য্য ভ্রমন পিপাসু লোকজনদের আরও আকৃষ্ট করতে পর্যটন টাওয়ার নির্মাণ করার দাবী জানান।

এদিকে একটি গবেষক দল ইতোপূর্বে তাদের গবেষনায় প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে দাবী করেছেন ডিবিবিলে রয়েছে অতিমূল্যবান খনিজ সম্পদ ইউরোনিয়াম মজুদ রয়েছে।

এজন্য কয়েক দফায় ভারত বিল গুলো দখলনিতে চেষ্টা চালায়।তাই সর্বাধিক বিবেচনা করে প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য রক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে ৪টি বিলকে পর্যটনের আওতায় অন্তর্ভূক্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর আবেদন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১১২৭ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031