শিরোনামঃ-

» জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে রানার্স আপ সিলেট খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক থাকা উচিত না : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ১৯. জানুয়ারি. ২০২৫ | রবিবার

নিউজ ডেস্কঃ

দুই মাসব্যাপী চলা জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পর্দা নামলো আজ।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর ও সিলেটের মধ্যকার ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এই টুর্নামেন্ট। আর এই ফাইনাল দেখতে মাঠে এসেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজনৈতিক কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। একই কারণে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারও শেষের পথে।

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও জায়গা হয়নি তার। সাবিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়ে মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে ঠিক মন্তব্য করতে চাই না, এটা আমার সাবজেক্ট নয়।

কোন খেলোয়াড়ের অবসর না নেওয়া পর্যন্ত রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত না বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

এতে খেলা এবং রাজনীতির মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে। তবে ক্যারিয়ার শেষে যেকেউ চাইলে রাজনীতি করতে পারে বলে মনে করেন ফখরুল।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক থাকা উচিত না এবং যেটা চলমান অবস্থাতেও না। ভবিষ্যতে যারা খেলা ছেড়ে দেবেন তারা রাজনীতি করতে পারেন, এটা তাদের অধিকার। তবে এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার আমি মনে করি। এবং এই অধিকার মানুষের সকলেরই থাকা উচিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র সাবেক পরিচালক, সিলেটে আয়োজিত জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেটে আয়োজিত জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট দলের ম্যানেজার জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান পাপলু, সহকারী ম্যানেজার জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাসেম, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান।

রবিবার (১৯ জানুয়া মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামে টুর্নামেন্টের। এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগ। রবিবার জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে মিরপুর স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছেন বিএনপির শত শত নেতাকর্মী।

মিরপুরে সাধারণত টিকিট ছাড়া দর্শকদের জন্য ম্যাচ উপভোগের সুযোগ দেওয়া হয় না। কিন্তু জিয়া টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে হোম অব ক্রিকেট।

এ দিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক এসকে ফাহিম সিনহা, মাহবুব আনাম, কাজী ইনাম আহমেদসহ বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক।

এছাড়া বিএনপি নেতা ইসরাক হোসেন, আমিনুল ইসলাম ছাড়াও দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেছেন।

এদিন টস হেরে সিলেটে বিভাগ ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায়। ওয়াসিফ আকবরের ব্যাটে সিলেট নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে। সিলেটের এই ব্যাটার ৪১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া শাহনাজ আহমেদ ১৭ ও জয়নুল ইসলাম খেলেন, অপরাজিত ১৩ রানের ইনিংস।

সিলেটের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার অলক কাপালি। ব্যাট হাতে অবশ্য গোল্ডেন ডাক মেরেছেন তিনি। তবে বল হাতে সফল হয়েছেন তিনি। ২৫ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট।

১৪৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রংপুর। তবে যুব বিশ্বকাপ দলের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাটে চড়ে জয় পেতে সমস্যা হয়নি রংপুরের।

এক প্রান্তে উইকেট হারাতে থাকলেও মামুনের দায়িত্বশীল ইনংসের উপর ভর করে ৪ বল আগে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে রংপুর।

জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকে মামুন আউট হন। ৫৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় মামুন ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর আর কোন উইকেট হারায়নি রংপুর।

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলা একাধিক ক্রিকেটার নিয়েই রংপুর দল গঠন করেছিলো। তারা কতটা শক্তিশালী, মাঠের ক্রিকেটে সেটি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। মামুন ছাড়াও নবীনের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রানের ইনিংস।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৮৬ বার

Share Button

Callender

February 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728