শিরোনামঃ-

» প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ বিজিত চৌধুরী’র

প্রকাশিত: ২৩. নভেম্বর. ২০১৭ | বৃহস্পতিবার

বিশেষ রিপোর্টঃ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী।

বুধবার (২২ নভেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বিজিত চৌধুরী উল্লেখ করেন, ছাত্রাবস্থায় উত্থাল সময় কাটিয়েছি মুজিবাদর্শের দেশবান্ধব রাজনীতির হাত ধরে। তারপর থেকেই সকল প্রতিকুলতা মোকাবেলা করে যাচ্ছি।

সাংগঠনিক দায়বোধ এবং ব্যক্তিগত শিষ্টাচারের কারণে নিজ দলও আমার সকল বিষয়ে অবগত রয়েছে। আর এ কারণেই মহানগর আওয়ামীলীগে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদের মাধ্যমে দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে।

তিনি বলেন- বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করেছি বুধবার সিলেটের দু’একটি দৈনিকের পাশাপাশি আরো কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

আমি বলতে চাই-যে কারো বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার রয়েছে। আমিও এর বাহিরে নই। তবে, তদন্তের আগে এমন অপপ্রচার কিংবা বিদ্বেষাগার তুলে ধরা সাংবাদিকতার নৈতিকতা পরিপন্থি। তাছাড়া, এমন সংবাদ পরিবেশনা মামলার চলমান অবস্থাকেও বিব্রত করার সুযোগ রাখে।

যে লোকটি একটি সময়ে আমারই আশ্রয়ে আমার বন্ধুর দোকানে সামান্য চাকুরী করতো, সেই রাঙ্গা সিং ও তাঁর স্বামী নগেন্দ্র বর্মন আমার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছে যা নিতান্তই হাস্যকর বটে। এক সময় আমারই সহযোগীতার যার পরিবার চলতো সেই পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে জড়িয়ে মামলা দায়ের নিঃসন্দেহে ষড়যন্ত্রেরই অংশ বিশেষ।

নিম্নে সাধারণ ডায়েরী’র নমুনা স্বরুপঃ

বরাবর,
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
কোতয়ালী মডেল থানা
এসএমপি, সিলেট।

বিষয়ঃ সাধারণ ডায়েরী প্রসঙ্গে।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি বিজিত চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আমি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে সেই ছাত্রাবস্থাতেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হই। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত দিনে সকল আন্দোলন সংগ্রামে আমার সরব উপস্থিতি বিশেষ করে প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের জিঘাংসার রাজনীতি মোকাবেলায় আমার ভূমিকা সকলের নিকট ছিলো প্রশংসিত।

ছাত্রাবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানের পথে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমি ছিলাম বদ্ধ পরিকর। ফলে, সেই সময় থেকেই আমাকে অনেক প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু কেবলমাত্র দেশ এবং দেশপ্রেমের দায়বদ্ধতায় সকল প্রতিবন্ধকতা দৃঢ় মনোবল নিয়ে মোকাবেলা করতে সমর্থ হয়েছি। আমি পারিবারিকভাবে শিষ্টাচারের গ-িতে আবদ্ধ। তাই সততা এবং সাংগঠনিক একনিষ্টতাই দিনে দিনে আমার সাংগঠনিক কর্মপরিধির বলয় বৃদ্ধি করে।

রাজনৈতিক অঙ্গণে বিশেষ করে সিলেটের মাটি ও মানুষের বিরুদ্ধে যে কোনও ষড়যন্ত্র মোকাবেলায়ও আমি ছিলাম আপোষহীন। আমার রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা সর্বোপরি মুজিবাদর্শে লড়াকু মনোভাব এবং বিগত রাজনৈতিক ত্যাগের কারণেই ছাত্ররাজনীতির ধারবাহিকতায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সিলেট মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আমার উপর অর্পন করা হয়।

আপনি নিশ্চয়ই জেনে থাকবেন- সম্প্রতি আমার রাজনৈতিক সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল খুবই কৌশলের আশ্রয় নিয়ে একের পর এক আমাকে হেয় করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। চক্রটি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে দলীয় ভাবমুর্তি বিনষ্টের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত সুনাম নিয়ে মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। বর্তমানে তাদের এই অব্যাহত তৎপরতায় আমি নিজেকে নিরাপত্তাহীন বোধ করছি এবং চলমান এই ভীতিকর পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে আমার জীবন জীবীকার উপর হুমকি স্বরূপ বলে মনে করছি।

মূলত, আমি রাজনীতির পাশাপাশি একজন ব্যবসায়ী ও বটে। আমি নগরীর বন্দরবাজারস্থ রংমহল টাওয়ার এর পরিচালক। তাছাড়াও রয়েছে আরো একাধিক প্রতিষ্টান।

সম্প্রতি আমার উপর মামলা দায়েরকারি রাঙ্গা সিং ও তাঁর স্বামী নগেন্দ্র বর্মন আমার বন্ধুর প্রতিষ্টানে চাকুরী করতো। সেই সূবাধে একটি ব্যাংক থেকে রাঙ্গার নেওয়া ১০ লক্ষ টাকার ঋণের আমি একজন জামানতকারীও বটে।

এমনকি তার উল্লেখিত ফার্নিচার ব্যবসায়ও আমার টাকা বিনিয়োগ করি। শুধু তাই নয়, সব সময়ই নগেন্দ্র বর্মনের উপর আমার সাহায্য সহযোগীতার হাত প্রসারিত ছিলো। সেই কর্মচারী নগেন্দ্র বর্মন কি করে এতো তাড়াতাড়ি কোটি কোটি টাকার মালিক হলো- যেখানে আমার উপর কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হলো। আসল কথা হচ্ছে- ‘ধর্মের ঢোল বাতাসে নড়ে’। রাজনীতিতে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। দেশপ্রেম, দেশ ও দেশের প্রতি নাগরিক দায়বদ্ধতা সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমার অব্যাহত পথচলা কোনও ষড়যন্ত্রই দাবিয়ে রাখতে পারবেনা।

অতএব, আমার উপরোক্ত বিষয়গুলি বিবেচনা পূর্বক বিষয়টি সাধারণ ডায়েরী হিসেবে অন্তর্র্ভূক্ত করতে যেনো আপনার বিহীতাদেশ হয়।

বিনীত
বিজিত চৌধুরী
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক
মহানগর আওয়ামীলীগ, সিলেট।
তাং=২২-১১-১৭ ইং

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৫৮ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031