শিরোনামঃ-

» উচ্চ আদালতে যেতে পারে খাদিজার পরিবার

প্রকাশিত: ০৮. মার্চ. ২০১৭ | বুধবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি বদরুল আলমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে খাদিজার পরিবার। তবে বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তারা উচ্চ আদালতে যাওয়ার চিন্তা করছেন।

বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা এ রায় ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চীনে অবস্থানরত খাদিজার বড় ভাই শাহীন আহমেদের সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ কথা জানান।

শাহীন আহমেদ বলেন, ‘খাদিজা ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছে। কিন্তু ওই দিনই খাদিজাকে আলটিমেটলি হত্যা করা হয়েছে। সে স্বাভাবিকভাবে এখন বেঁচে থাকতে পারবে কি না, তা নিয়ে এখনো দুশ্চিন্তা রয়ে গেছে। তাই আমরা বদরুলের ফাঁসি প্রত্যাশা করেছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘বদরুলের ফাঁসির আবেদন করে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আমরা চাই এর একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যেন আর কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে সাহস না করে।’

খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া বলেন, ‘রায়ে আমাদের অসন্তুষ্টি নেই। তবে আমরা বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশা করেছিলাম, যা সমাজের শিক্ষণীয় একটা বিষয় হয়ে থাকবে।’

এদিকে, এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খাদিজার চাচা ও মামলার বাদী আবদুল কুদ্দুস। রায় শেষে আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘বদরুলের বিরুদ্ধে এমন রায়ে আমি, আমার পরিবার সবাই খুশি। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।’

আবদুল কুদ্দুস আরো বলেন, ‘আমরা আশা করছি, উচ্চ আদালতে যদি আসামিপক্ষ আপিল করে, তবে সেখানেও এই রায় বহাল থাকবে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এ ছাড়া ঘটনার পর শাবি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে।

গত বছরের ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

গত ৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিন বদরুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে ১৭ জন সাক্ষ্য দেন। পরে ১১ ডিসেম্বর ১৫ জন এবং ১৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দেন আরো একজন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য দেন খাদিজা। মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

গত ১ মার্চ সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ওই আদালতে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানে সীমাবদ্ধতা থাকায় জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৩৬ বার

Share Button

Callender

March 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31