শিরোনামঃ-

» ‘ডাকাতির অর্থে জেলে থাকা জঙ্গিদের জামিনের ব্যবস্থা করা হতো’ : মো. মনিরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১৮. অক্টোবর. ২০১৬ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ ডাকাতির মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ দিয়ে জেএমবির জেলে থাকা জঙ্গি নেতাদের জামিনে বের করা এবং তাদের জন্য তদবির করাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করত জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার সময়ে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, পুরনো জেএমবির নেতা মাওলানা সাঈদুর রহমান জেলে থাকায় তারা তাদের আগের সহযোগি আবু তাসনিমকে ভারপ্রাপ্ত আমির করে নানা ধরনের অপরাধে জাড়িয়ে পড়েন।

পরবর্তীতে ২০১৪ সালে আবু তাসনিম গ্রেপ্তার হওয়ার পরে সালাহউদ্দিন সালেহীনকে ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে ঘোষণা করেন। পরে সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীনকে জেএমবির সদস্যরা ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেয়। এরপর থেকে সে আত্মগোপনে রয়েছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, তারা ডাকাতি করে অর্থ সংগ্রহ করে তাদের নেতাদের জেল থেকে জামিনে বের করে আনতে এসব করতো। কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাদের।

জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবির) ১৯৯৮ সালের দল গঠন করে এবং ২০০২-২০০৪ সালে বিভিন্ন ব্যাংকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠাণে ডাকাতি করতে দল গঠন করেছিল। একজন জাল টাকার ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও অর্থ সংগ্রহ করেছিল জেএমবি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তেরাঁ হামলায় আর্থিকভাকে সহযোগিতা করেছেন সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রোকনদ্দীন।

তিনি প্রায় ৮০ লাখ টাকা দিয়েছেন। রুপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত মেজর জাহিদুল ইসলাম মুরাদ তার পেনশনের টাকা দান করেছেন এবং পুরান ঢাকার আজিমপুরে পুলিশি অভিযানে নিহত তানভির কাদেরি তার উত্তরার ফ্ল্যাট বিক্রি করে গুলশান হামলায় অর্থ সহযোগিতা করেছেন।

জুন মাসের বনানী থানায় ও অক্টোবর মাসের তেজগাঁও থানায় ২টি ডাকাতির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এই সোমবার রাতে গ্রেপ্তার এই সাতজনের সন্ধান পায়।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিট এবং পুলিশ সদর দপ্তরের এল আই সি শাখা যৌথভাবে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ জেএমবির সক্রিয় এই সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. কাশেম ওরফে কাউছার ওরফে কাশু (২০), নাজমুল হাসান ওরফে নয়ন ওরফে নরেশ (২৩), মো. রাশেদ ওরফে কাকলির বাবা (২৭), মো. সেন্টু হাওলাদার ওরফে জাহিদ (২৬), মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে শুভ ওরফে আকাশ (২০), মো. আবদুল বাছেদ (২২) ও মো. জুয়েল সরকার ওরফে সোরহাব ওরফে সরকার (৩২)।

এ সময়ে ডাকাতদের কাছ থেকে ৬৭ ভরি স্বর্ণ, ৪টি পিস্তল, ৫টি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলি, ৬ লাখ ৮৮ টাকা, ৯টি চাপাতি, ২টি রামদা, ১০টি মোবাইল, ২টি টিভি, ৪টি ক্যামেরা, বিভিন্ন ধরনের ৮টি কেমিক্যালের বোতল, বিভিন্ন ধরনের ৩ প্যাকেট রাসায়নিক পাউডার, ৪টি স্বর্ণ মাপার যন্ত্র, ২টি ল্যাপটপ, ১টি ওয়ালটন মটরসাইকেল ১২৫ সিসি এবং ১টি ইমিটেশন বক্স উদ্ধার করা হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৩৬ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031