শিরোনামঃ-

» ৪ বছরের রাজনীতিতেই বিএনপির বড় নেতা

প্রকাশিত: ১০. সেপ্টেম্বর. ২০১৬ | শনিবার

সিলেট বাংলা নিউজঃ বিএনপির রাজনীতি-তো দূরের কথা, বাংলাদেশের রাজনীতিতেও তার কোন অভিজ্ঞতা নেই। সম্পৃক্ততা নেই ষড়ঋতুর দেশের আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার উপরও।

কিন্তু এরপরও মাত্র ৪ বছরের রাজনীতিতে তিনিই হয়েছেন দলটির বড় নেতা। গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। এখন নিজেই নিজেকে পদ-পদবী বিতড়ন করছেন।

আর আগামী সংসদ নির্বাচনে নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর আসন থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইতিমধ্যেই নিজ জন্মস্থান ওসমানীনগর বিএনপি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। ইলিয়াস পত্নী লুনার বিরুদ্ধে দলের হাইকমান্ড এর কাছে প্রতিনিয়ত অভিযোগ করেই যাচ্ছেন।

নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে লন্ডনে অবস্থানকারী হুমায়ুন কবিরকে দলের সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে তিনি লন্ডন লেবার পার্টির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা ছিলেন। ছিলেন টাওয়ার হেমলেট বাঙ্গালী অধুষ্যিত এলাকার সাধারন সম্পাদক।

তাও মাত্র ১ বছরের মাথায় বহিস্কার। এর আগে তিনি লুইসাস সিটি কাউন্সিলের সাপোর্ট অফিসার হিসেবেও কাজ করেছেন। সেখান থেকেও তিনি বহিস্কার হয়েছেন ২০১০ সালের দিকে। এরপর লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির মাধ্যমে ২০১২ সালের দিকে পরিচয় ঘটে তার।

এ সময়ে তিনি তারেক রহমানের উপর একটি প্রকাশনার সঙ্গেও নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এক ধাপে তার উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান। এখন তিনি বিএনপির সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক। কিন্তু তিনি নিজেকে আন্তর্জাতিক সম্পাদক বলেই পরিচয় তুলে ধরছেন বিভিন্ন মহলে।

তবে এ সংক্রান্ত কোন তথ্যই নেই সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে। বিষয়টি নিয়ে একদিকে যেমন লন্ডনস্থ বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে হাস্যরসের খোরাক জুগিয়েছে অন্যদিকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। বিএনপির রাজনীতির সাথে কখনোই জড়িত ছিলেন না এমন হঠাৎ নেতাকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এত গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ায় অনেকেই ক্ষুব্ধ।

নেতাকর্মীরা জানান, হুমায়ুন কবিরের বিপরীতে মেধা-শ্রম আর সময় দিয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়ন, লন্ডন, যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশ নিয়ে নিরলস কাজ করছেন দলের অনেক পোড় খাওয়া নেতাকর্মী। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সফর করে বিএনপির পক্ষে

জনমত সৃষ্টিতে তাদের পদক্ষেপ আর কর্মসূচি বাস্তবায়নে তারা নিরলস কাজ করলেও পদ-পদবীর ভাগ্যটিকা তাদের কপালে জোটেনি। এবারের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শুধুমাত্র লন্ডনকেই প্রাধান্য দেয়ার কারনে হতাশাও কাজ করছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতাকর্মীদের মাঝে।

তারা বলেন, শুধু একটি দেশের নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সূযোগ দেয়ায় অন্যদের মাঝে বিরুপ মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে।

তার মধ্যে কোনদিন বিএনপি কিংবা বাংলাদেশের রাজনীতি করেন নাই তাদেরকে যদি মূল্যায়িত করা হয় তাহলে দির্ঘদিন ধরে যারা এই দলের পিছনে শ্রম দিচ্ছেন তাদের কাছে ভুল বার্তা পৌছাবে।

লন্ডন সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে হুমায়ুন কবির সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তি একটি রাষ্ট্র সফরে যান। সেখানে তিনি ওই দেশের ক্ষমতাসীন দলের তৃতীয় সারির নেতাদের সাথে সাক্ষাতও করেন। এরপর লন্ডনে গিয়ে নিজেকে বড় কিছু হিসেবে জাহির করতে সচেষ্ট হন। তিনি অনেক কিছু করে এসেছেন বলে তার ঘনিষ্টদের কাছেও বলে বেড়াচ্ছেন।

রাজনীতির মাঠে মাত্র হাতেখড়ি হলেও ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। মুজিব কোট শীর্ষক প্রতিবেদন তিনি আলোচনার ঝড় তুলেছেন বাংলাদেশসহ লন্ডনস্থ বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝেও। এসকল অভিযোগের বিষয়ে হুমায়ুন কবিরকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৬৩ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930