- সিসিকের অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি : সিলেট মহানগর বিএনপির নিন্দা ও প্রতিবাদ
- সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন সিলেট বিভাগের সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সোমবার
- সিলেটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি
- তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের আহ্বান সিসিক মেয়রের
- লতিফা-শফি চৌধুরী ডিগ্রি কলেজে ওরিয়েন্টেশন বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই : অধ্যক্ষ আমিরুল আলম খান
- সিলেটে লালন প্রেমীদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ
- বিভাগীয় বইমেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুক্তাক্ষর
- অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে সভা সোমবার
- জাতীয় উন্নয়নে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা
- দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের আলোচনা সভা
» কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ও শব্দময় পৃথিবী
প্রকাশিত: ২০. জুলাই. ২০১৬ | বুধবার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডেভলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ’ এর কর্মসূচি পরিচালক ও ইমপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাত জোয়ারদারের নেতৃত্বে একটি টিম ২০১০ সাল থেকে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি ব্যবস্থাপনা করে আসছে।
দেশের দরিদ্র ও সাধারণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রতি পর্যায় তিনবছর মেয়াদী মোট দু’টি পর্যায়ে ছয় বছর যাবত্ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডেভলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ’ নামক কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
এই কর্মসূচির আওতায় জুন ২০১৬ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক, কান ও গলা বিভাগে মোট ১১০ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস প্রদান ও সার্জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০টি কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস সরকারি খরচে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি সহায়তার বাইরে বাকি ২০টি ডিভাইস সামর্থ্যবান রোগীরা নিজ খরচে ক্রয় করেছে। সর্বশেষ ৩০ জুন সরকারি খরচে আরো ৪১ জন শিশুকে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট বরাদ্দ দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শহীদ ডা. মিলন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এসব শিশুর বাবা ও মায়েদের হাতে এই বরাদ্দপত্র তুলে দেন।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যন্ত্রের এক একটির দাম ১০ লাখ টাকারও বেশি। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় দরিদ্র ও সাধারণ পরিবারের শিশুদের ঈদের উপহার হিসেবে এই যন্ত্র দেওয়া হয়। ‘ডেভলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ’ কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল হাসানাত জোয়ারদার বলেন, এই যন্ত্র বিদেশে গিয়ে স্থাপনে আনুমানিক খরচ পড়ে দেশ ভেদে প্রায় ৩০-৫০ লাখ টাকা।
যা বাংলাদেশের সাধারণ দরিদ্র, স্বল্প আয়ের এমনকি মধ্যবিত্তদেরও সামর্থ্যের বাইরে। সেখানে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস প্রদানে বর্তমান সরকারের এই আর্থিক সহযোগিতা শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি অনন্য ও যুগান্তকারী ঘটনা এবং এটি সরকারের একটি মহত্ কর্মসূচি।
তাঁর মতে, জন্মগত বধিরদের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ বছর বয়সে ইমপ্লান্ট করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। অন্যদিকে জন্মের পরে ভাষা আয়ত্ত করা ব্যক্তিরা জীবনের যে কোন সময়ে কোনো কারণে সম্পূর্ণ বধির হয়ে গেলে তাদেরকে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি করলে তারাও কানে শুনতে সক্ষম হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বচ্ছ বরাদ্দ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই যন্ত্রটি দেওয়া হয়। প্রথমে বরাদ্দের আবেদন চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য, প্রার্থীর বয়স, অভিভাবকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ভাষা প্রশিক্ষণ নেওয়ার আগ্রহসহ অন্যান্য নীতিমালার আলোকে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়।
জাদুকরী বিষয় এই যে, একেবারেই কানে শুনতে না পাওয়া শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তি যারা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হিয়ারিং এইড ব্যবহার করেও কানে শুনতে পায় না, তারা কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট এর মাধ্যমে শ্রবণের জগতে প্রবেশ করতে এবং নিয়মিত ভাষা শিক্ষার প্রশিক্ষণ নিয়ে কথা বলতে পারে। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রহীতারা স্বাভাবিক জীবন আচরণে অভ্যস্ত হয়ে উঠে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট স্থাপনের পর অনেক শিশু মূল ধারার স্কুলে যেতে পারছে। এমন শিশুর অভিভাবকগণ নতুন আলোয় জীবনের স্বপ্ন রচনা করছেন মানসিক ও সামাজিক স্বস্তির মাঝে অবস্থান করে।
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাত জোয়ারদার বলেন, আমাদের সমাজে অনেক বিত্তবান ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠান আছে যারা মানুষকে সহায়তা দিতে ইচ্ছুক কিন্তু অনেক সময় সঠিক জায়গা খুঁজে পায় না।
আমি তাদেরকে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে অনুরোধ করব। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ সরকারের মহত্ উদ্যোগের পাশাপাশি সমাজের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি শব্দময় পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৩৩ বার
সর্বশেষ খবর
- সিসিকের অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি : সিলেট মহানগর বিএনপির নিন্দা ও প্রতিবাদ
- সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন সিলেট বিভাগের সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সোমবার
- সিলেটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি
- তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের আহ্বান সিসিক মেয়রের
- লতিফা-শফি চৌধুরী ডিগ্রি কলেজে ওরিয়েন্টেশন বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই : অধ্যক্ষ আমিরুল আলম খান
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক
এই বিভাগের আরো খবর
- সিলেটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন; একুশে টেলিভিশন মানুষের কথা বলে
- কপাল পুড়লো সিলেটীদের, বন্ধ হলো ব্রিটেনে কেয়ার ভিসায় পরিবার নেওয়া
- সিলেটে স্নাতক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান
- শক্তি ফাউন্ডেশন এর শীতবস্ত্র বিতরণ
- মেয়র আনোরুজ্জামান চৌধুরীর আহবানে শীতার্ত মানুষের পাশে মার্কেন্টাইল ব্যাংক