শিরোনামঃ-

» পাউন্ডের দর পতনের ধাক্কা সিলেটেও পড়েছে

প্রকাশিত: ৩০. জুন. ২০১৬ | বৃহস্পতিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ফাইন্যান্স ডেস্কঃ ঐতিহাসিক এক গণভোটে গত ২৩ জুন যুক্তরাজ্যের প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ ইইউর বন্ধন ছিন্ন করার পক্ষে রায় দেন। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ইউরোপজুড়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে পাউন্ডের বিনিময় মূল্যে।

ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই যুক্তরাজ্যের অর্থমুদ্রা পাউন্ডের দরপতন হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সিলেটেও।

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের হাজার হাজার মানুষ বসবাস করেন যুক্তরাজ্যে। রেমিট্যান্স হিসেবে প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা দেশে পাঠান তারা। বিশেষ করে ঈদের মতো বড় ধর্মীয় উৎসবে যুক্তরাজ্য থেকে আসে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ অর্থ। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

ব্রেক্সিটের পর ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন হওয়ায় যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেটিরা দেশে পাউন্ড পাঠাতে ‘সংযম’ পালন করছেন। দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনদের কাছে পাউন্ড পাঠানো তারা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন। কেননা, যুক্তরাজ্য ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেশে পাউন্ডের বিনিময় মূল্য ছিল ১২০ টাকা (প্রতি পাউন্ড)। কিন্তু ব্রেক্সিটের পর বিনিময় মূল্য এসে দাঁড়িয়েছে ১০৪-১০৬ টাকায়।

ব্রিটিশ পাউন্ডের এই বিশাল দরপতনের কারণে এবার ঈদকে সামনে রেখে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেটিরা আগের চেয়ে অনেক কম পরিমাণ পাউন্ড দেশে পাঠিয়েছেন। ব্রেক্সিটের ধাক্কা কাটার পর পাউন্ডের বিনিময় মূল্য বাড়তে পারে, এমনটাই আশা করছেন প্রবাসীরা।

যুক্তরাজ্যের হালিফাক্সে বসবাসরত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কলছুমা বেগম মুঠোফোনে বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পাউন্ডের দাম অনেক কমে গেছে। এজন্য এবার দেশে বেশি পরিমাণ পাউন্ড পাঠাইনি। তবে ব্রেক্সিটের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর পাউন্ডের দর বাড়তে পারে। তখন আগের মতোই দেশে পাউন্ড পাঠাব।’

সিলেট নগরীর আম্বরখানায় রয়েছে অনুমোদিত ৭টি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর ঈদ মৌসুমে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার লেনদেন হতো। কিন্তু এবার পাউন্ডের দরপতন হওয়ায় যুক্তরাজ্য থেকে আসা রেমিট্যান্স কম হওয়ায় গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ টাকার মতো লেনদেন হচ্ছে।

আম্বরখানাস্থ জাহান মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপক দেবাশীষ চক্রবর্তী জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ঈদ উপলক্ষে মুদ্রা বিনিময়ের হার প্রায় ৬০ শতাংশ কমে গেছে।

একই এলাকার আলিফ মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপক হেলাল আহমদ জানান, পাউন্ডের দরপতন হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। লেনদেনের পরিমাণও অনেকটা কমে গেছে।

সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসিন আহমদ বলেন, ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনের কারণে যুক্তরাজ্যপ্রবাসীরা দেশে পাউন্ড পাঠাতে চাইছেন না।

আবার দেশে যাদের হাতে পাউন্ড আছে, তারাও তা ভাঙতে চাইছেন না। ফলে স্থানীয় মুদ্রাবাজারে এর প্রভাব পড়ছে।

 

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৬৭ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031