শিরোনামঃ-

» পাত্র সম্প্রদায় কল্যাণ পরিষদ (পাসকপ) এর সমাবেশ

প্রকাশিত: ০৭. সেপ্টেম্বর. ২০২২ | বুধবার

নারী সমাবেশে সমান অধিকার সহ ৭ দফা দাবি

স্টাফ রিপোর্টারঃ
পাত্র সম্প্রদায় কল্যাণ পরিষদ (পাসকপ) এর উদ্যোগে এবং দাতা সংস্থা মিজারিওর/কেজেডই এর সহায়তায় আয়োজিত সমাবেশ থেকে নারীদের সমান অধিকারের দাবি উঠে এসেছে। নারীদের সকল প্রকার আয়ের যথাযথ মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে সমাবেশ থেকে ৭টি দারি তুলে ধরা হয়েছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ‘পাসকপ’ কার্যালয়ে কর্মএলাকার নারীদের অংশগ্রহণে নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ সহ সমান অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক দিনব্যাপি “বার্ষিক নারী সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ভাড়ারহাট-সিদাইরগুল নারী উন্নয়ন সংগঠনের অর্র্র্থ সম্পাদক সুমী পাত্র ও রামনগর মিতালী পাত্র উন্নয়ন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক দেবী পাত্র এর যৌথ্য পরিচালনায় সভাপতিত্ব করেন ‘রামনগর মিতালী পাত্র উন্নয়ন সংগঠন’র নারী নেত্রী সুচিত্রা পাত্র এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাসকপ এর নির্বাহী প্রধান গৌরাঙ্গ পাত্র। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, সিলেট বটেশ^রস্ত ইউসেপ বাংলাদেশ হাফিজ মজুমদার এর সোসিয়াল ইনক্লোশন প্রকল্পের টিম লিডার মনি রানী দাশ ও মহিউদ্দন আহাম্মদ, আলাইবহর গ্রামের নারী নেত্রী পান্না পাত্র, রামনগর মিতালী পাত্র উন্নয়ন সংগঠনের সভানেত্রী সুসন্তী পাত্র, গরান্দার নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভানেত্রী বিমলা পাত্র। সমাবেশে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও নারী নেত্রীরা বলেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও নারীরা এখনো কোন না কোন ভাবে বঞ্চিত ও নির্যাতিত। সমান অধিকার তো দুরের কথা, এখনো মৌলিক মানবাধিকার থেকেও নারীরা বঞ্চিত। শিক্ষা, কর্মক্ষেত্রে, সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার টুকুও পাচ্ছে না। বক্তারা আরো বলেন, যে দেশে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মত নারীরা অধিকারহীন ও নির্যাতনের স্বীকার হয় সেখানে আদিবাসী নারীরা তো আরো বেশি নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। এদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আদিবাসী নারীদের ভূমিকা অপরিসীম। এই ত্যাগ অস্বীকার করার মত নয়। তার পরও নারীর প্রতি নানা ধরনের নির্যাতন ও বঞ্চনা করে থাকে। বর্তমান এই ডিজিটাল যুগেও দেখা যায় চারিদিকে নির্যাতন আর নির্যাতন। এই নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে সমাজের সকলে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সমাজে যারা নষ্ট মনের মানুষ তাদের সংখ্যা কিন্তু খুবই নগণ্য, এদেরকে সমাজ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তবেই সমাজ থেকে সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব। নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতা বন্ধ করে সকর ক্ষেত্রে সমান অধিকার ও সমঅংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে হবে। সমাবেশে নারী অধিকার নিয়ে আরো বক্তব্য প্রদান করেন- পাসকপের প্রকল্প সমন্বয়কারী লাবনী স্বার্তী, কুশাল গ্রামের কুমুদিনী পাত্র, কুশিরগুল নারী সংগঠনের সহ-সভাপতি দ্রৌপদী পাত্র, লাউগোল নারী সংগঠনের সভানেত্রী অনিতা পাত্র, কুশিরগুলের নারী নেত্রী জানতি পাত্র, সেনাপতি গ্রামের সত্যবতি পাত্র ও পঞ্চিতা পাত্র, ভাড়ারহাট-সিদাইরগুল নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি নিবা পাত্র ও রামনগর মিতালী পাত্র উন্নয়ন সংগঠনের সদস্য সুকুরবী পাত্র প্রমূখ। বক্তাদের বক্তব্য প্রদান শেষে ৭ দাবির প্রতি সকলে একাত্মতা ঘোষনা করেন।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- (১) নারী ও কন্যার প্রতি নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে। দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। (২) সম্পদ-সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার ও সমঅংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। (৩) যে কোন নির্যাত বা বৈষম্যের স্বীকার হলে বিলম্ব ছাড়াই তাৎক্ষনিকভাবে থানায় অভিযোগ নিতে হবে। (৪) করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়কে বিবেচনা করে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে জোরদার করতে হবে। (৫) মাদকব্যবসা ও সেবন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। (৬) প্রতিবন্ধী অধিকার আইন ও সুরক্ষা আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে। (৭) নারীদের সকল কাজের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৭১ বার

Share Button

Callender

March 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031