শিরোনামঃ-

» জালালাবাদ গ্যাসের ৬ষ্ট দফা উচ্ছেদ অভিযান; ৩৪ কিমি: পাইপ লাইনের ভূমি উদ্ধার

প্রকাশিত: ০২. মার্চ. ২০২২ | বুধবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জালালাবাদ গ্যাসের আওতাধীন উচ্চচাপ বিশিষ্ট সঞ্চালন গ্যাস পাইপ লাইনের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৩৪ কিলোমিটার পাইপ লাইনের ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের ৬ষ্ঠ দফা অভিযানে আজ বুধবার (২ মার্চ) ৮কিমি: অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারসহ ৬দফা অভিযানে মোট ৩৪ কিলোমিটার পাইপ লাইনের ভূমি উদ্ধার করা হয়। বিগত ৫টি অভিযানেও অবৈধভাবে নির্মিত সীমানা প্রাচীর, দোতলা-তিনতলা বিশিষ্ট বাড়ি, টিনসেড ঘর, দোকান কোঠাসহ প্রায় ৬৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

আজ বুধবার (২ মার্চ) সকালে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ রোডের মোগলাবাজার এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড। পরবর্তীতে মোগলাবাজার রোডের খালেরমুখ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। ফেঞ্চুগঞ্জ-দেবপুর উচ্চচাপ বিশিষ্ট ৪০ কি: মি: গ্যাস পাইপ লাইনের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত কয়েক শত একর ভূমি রয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমির ৩৪ কিমি: পাইপ লাইনের উপর অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর, বাড়ি, দোকান কোঠা সহ বিভিন্ন স্থাপনা ছিল। এইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে গত ১৬ মার্চ ২০২১, ২৬ আগস্ট/২০২১, ১৫ই সেপ্টেম্বর/২০২১, ০১ নভেম্বর/২০২১ এবং ০২ নভেম্বর/২০২১ মোট ০৫ দফা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এসকল অভিযানের মাধ্যমে ২৬ কিমি: পাইপলাইনের ভূমি অবৈধ পাইপ লাইন দখলমুক্ত করা হয়। আজ ২ মার্চ/২০২২ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দক্ষিন সুরমা উপজেলা সহকারী কমিমনার ভূমি মাখন চন্দ্র সূত্রধর ও জালালাবাদ গ্যাসের টাস্ক ফোর্স এর সদস্য সচিব মো. আমিরুল ইসলাম। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যসহ জালালাবাদ গ্যাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে স্থাপিত বসত বাড়ি উচ্ছেদ সম্পর্কে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম বলেন, গ্যাস নিরাপত্তা আইনে রয়েছে উচ্চচাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের উভয় পাশে ন্যূনতম ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা বিধিবর্হিভূত। এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আগামীতে দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকায় আরও অভিযান পরিচালিত হবে। এ অভিযানের পূর্বে বছরখানেক সময় ধরে কয়েকবার তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি মৌখিকভাবে অবগত করা হলেও তারা তা আমলে নেননি।

প্রথম দফায় গত ১৬ মার্চ শাহপরাণ থানাধীনইসলামপুরের মোহাম্মদপুর ও নুরপুর আবাসিক এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ আগস্ট বালুচর এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। ৩য় দফা বটেশ^র এলাকায়, ৪র্থ ও ৫ম দফা আখালিয়া করেরপাড়াসহ মোট ০৫ টি অভিযানের পূর্বে অনেকে নিজ উদ্যোগে ১৭৫ টি সীমানা প্রাচীর, দোতলা-তিনতলা বিশিষ্ট দালান, টিনসেড ঘর, দোকান কোঠাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলেন। আমরা ৫টি অভিযানে সীমানা প্রাচীর, দোতলা, তিনতলাবিশিষ্ট বাড়ি, টিনসেড ঘর, দোকান কোঠাসহ প্রায় ৬৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করি। সর্বমোট ২৩৫ টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে ।

উদ্ধার অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে বসতবাড়ী স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য মহাব্যবস্থাপক মন্ধসঢ়;জুর আহমদ চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক এবিএম শরীফ, মহাব্যবস্থাপক মো: শহিদুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক খান মোহাম্মদ জাকির, ডিজিএম মো. আব্দুল মুকিত, ডিজিএম নাজমুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক নিতাই চন্দ্র পাল, ব্যবস্থাপক ফজলুল হক, ব্যবস্থাপক ওয়েছ আহমদ, উপ-ব্যবস্থাপক মোনায়েম সরকার, উপ-ব্যবস্থাপক মো. সুহেদুর রহমান,সহকারী কারিগরী কর্মকর্তা, রেজাউর রহমান চৌধুরী,আইন কর্মকর্তা ছাদেকুন নুর চৌধুরী, সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা সুমন চক্রবর্তী, মো. আ: সহিদ সহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৪৬ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930