শিরোনামঃ-

» বাপু-বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল এক্সিভিউশন আলোকচিত্র প্রদর্শনী শেষ হচ্ছে আজ

প্রকাশিত: ১৫. নভেম্বর. ২০২১ | সোমবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিভিউশন আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখে ৫০ বছর আগের কথা মনে করলেন সিলেট জেলা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল বলেন, প্রদর্শনী ঘুরে ঘুরে দেখে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির কথা মনে পড়ে, যুদ্ধের সময় তারা কি করেছেন, কিভাবে যুদ্ধ করেছেন এবং বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন ইত্যাদি।

প্রদর্শনী দেখে তিনি মুক্তিযুদ্ধের গল্প করছিলেন। এসময় তিনি জানান, এখানে এসে তিনি ভারতের রাষ্ট্রমাতা ও বাংলাদেশের বঙ্গমাতাকে জানতে পারাটাকে তিনি বাড়তি পাওনা বলে মন্তব্য করেন।

সিলেট নগরীর মাছিমপুরস্থ আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর জন্য আসা ভিজুয়্যাল কুইস্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এর প্রোডাকশন ম্যানেজার মো. ইমরান জানান, প্রদর্শনীতে প্রায় ৫’শ টি ছবি, ৩০টি ডিজিটাল, স্কীন ও অডিও ছবি লোড করা আছে। প্রদর্শনীতে আসা শিক্ষার্থীরা মজা করে দেখছে।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় প্রদর্শনী দেখতে নগরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা ভিড় জমান।

এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রদর্শনী দেখতে আসেন। প্রতিদিনের মতো আজকে অসংখ্য দর্শনার্থী। রবিবার বিকেলে বাপু-বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল এক্সিভিউশন প্রদর্শনী পরিদর্শনে আসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।

এদিকে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান কোরোনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল তিনি বলেন, আজকের এই ডিজিটাল প্রদর্শনী দেখে বাংলার ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর ও ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তর জেনেছি।

স্বাধীন বংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর (বাপু) দুজনই একই চরিত্রের বিষয়টি প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেছেন এপার-ওপার আমাদের দুই বাংলার আরও শক্তিশালী হবে।

সুনামগঞ্জের ছতক উপজেলার জাউয়া বাজার ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাহমিসনা আক্তার লুপা জানান, প্রদর্শনী দেখতে এসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, যুদ্ধের সময়ের হত্যা ধর্ষণের চিত্র দেখে গা শিউরে উঠে। আর দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি ভালো লেগেছে।

জিন্দাবাজার সরকারী কিন্ডার গার্ডেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী আকিলা তাবাস্সুম রুহি বলেন, মেলাতে এসে অনেক কিছু জেনেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী।

আনিছা নুসরাত রাহি বলেন, আমি এই ভিডিও প্রদর্শনী দেখে অনেক কিছু জেনেছি।

সিলেটস্থ ভারতীয় সহকারি হাই কমিশন অফিসের সেকেন্ড সেক্রেটারি এন কে গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তার নেতৃত্বে অত্যন্ত সুচারুভাবে প্রদর্শনী সম্পন্ন হয়েছে। সিলেটবাসীর ছাত্রছাত্রীর জন্য আন্তরিক ভালবাসা রইল।

সিলেটস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিস, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ও সিলেট জেলা প্রশাসন এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রদর্শনী দেখতে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অসংখ্যাক ছাত্রছাত্রীদের সমাগম হয়ে থাকে।

সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল ৮ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সিলেটের দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলছেন। প্রদর্শনী নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। মহাত্মা গান্ধী ডিজিটাল জাদুঘরের কিউরেটর বিরাট রাজারাম ইয়াগনিক দ্বারা বিশেষভাবে পরিচালিত এই অনন্য ডিজিটাল প্রদর্শনী চলছে।

প্রদর্শনীতে উপমহাদেশের দুই বরেণ্য নেতা স্বাধীন বংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর (বাপু) জীবনী নির্ভর প্রায় ৫’শ ভ্রাম্যমাণ তথ্যচিত্র সহ দুই নেতার বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য সময়ের বর্ণনা সংবলিত ডিজিটাল উপস্থাপনা রয়েছে।

পরবর্তীতে তিনি বলেন, সিলেটের মেলা প্রদর্শনী শেষ করে খুলনাতে যাবে। ডিসেম্বরে ঢাকাতে, ঢাকার পরে কলকাতা পরে আমেরিকা নিউয়র্কে চিত্রপ্রদর্শনী মেলা শেষ হবে।

পরিশেষে সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল বলেন চিত্র প্রদর্শনী সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে বলে সিলেটবাসীর কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৫৪ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031