শিরোনামঃ-

» মসজিদ ভিত্তিক কোরআন শিক্ষার নুরানী মক্তব শিক্ষা ব্যবস্থা বেগবান করার লক্ষ্যে মতবিনিময়

প্রকাশিত: ০৮. এপ্রিল. ২০২১ | বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ
আল-ফুরকান মক্তব শিক্ষা বোর্ড সিলেট বাংলাদেশের মসজিদ ভিত্তিক কোরআন শিক্ষার নুরানী মক্তব শিক্ষা ব্যবস্থা বেগবান করার লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় নগরীর লোহাড়পারাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আল-ফুরকান মক্তব শিক্ষা বোর্ড সিলেট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হাফিজ মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মুফতী ফয়জুল হক্ব জালালাবাদীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, নয়াসড়ক মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা সামছুল ইসলাম, হাফিজ মাওলানা মখলিছুর রহমান, শায়খুল হাদিস মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দিন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, কুরআন শিক্ষার প্রাথমিক পড়ার স্থান ছিল মসজিদের সবাহী মক্তবে বা নুরানী মক্তব শিক্ষালয়ে। কিন্তু কালের বিবর্তনে বর্তমানে মক্তব শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় বিলুপ্তির পথে শিশুদের ক্বোরআন শিক্ষা এবং ইসলাম সম্পর্কে প্রাথমিক মৌলিক জ্ঞান অর্জনের উত্তম শিক্ষা কেন্দ্র হলো এ সকল কোরআন শিক্ষার নুরানী মক্তব প্রাথমিক কোরআন শিক্ষা। এখান থেকে শিশুরা বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত শেখার পাশাপাশি নামাজ, রোজা, পাক, নাপাক, হালাল, হারামের, জরুরী মাসআলা মাসাঈল ও দোয়া-দরুদ ইত্যাদি শিখতে পারে।
সামর্থবান কিছু সংখ্যক শিশুদের নিজ গৃহে কোরআন শিক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও বেশির ভাগ সুবিদা বঞ্চিত অসহায় দরিদ্র গরিব এতিম সন্তানদের নিজ গৃহে প্রাইভেট পড়ার সুযোগ না থাকাতে এরা পবিত্র কুরআন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বর্তমানে নুরানী মক্তবের প্রচলন উঠে যাওয়াতে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন এনজিওরা ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সন্তানদেরকে ইসলাম বিরোধী বিশ্বাস ও চিন্তা চেতনায় গড়ে তুলতেছে।
ক্রমাগত বিলুপ্তির পথ থেকে কোরআনের প্রাথমিক মক্তব শিক্ষার ঐতিহ্যকে ফিরে আনতে হলে আলেম সমাজ ও মুসলিম বুদ্ধিজীবি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ মসজিদের মোতাওয়াল্লী, ইমাম, মোয়াজ্জিন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বৃন্দ সহ সকল স্থরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, সুষ্টভাবে মক্তব শিক্ষার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উলামা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও সকল পেশাজীবি সমন্বয়ে একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে ২৫টি মক্তব নিয়মিত চালু আছে। আরও ৫০০টি মক্তব চালু করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রয়োজন।
জনগণের সার্বিক প্রচেষ্টায় দানবীরদের অব্যাহত দান দেশ বিদেশের বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের চার লক্ষ মসজিদসহ দেশের সকল গ্রামে একটি করে নূরানী মক্তব প্রতিষ্ঠা করলে সমগ্র বাংলাদেশে মসজিদের সর্বমোট পাঁচ লক্ষ নূরানী, মক্তব প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। আমরা পাঁচ লক্ষ মক্তব প্রতিষ্ঠার মহান লক্ষ্যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৫০ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930