শিরোনামঃ-

» লোভাছড়ায় এসেছে পাথরবাহী নৌযান, করোনা রেড জোনের শঙ্কা

প্রকাশিত: ১০. জুন. ২০২০ | বুধবার

মূসলিম উদ্দিন মিলনঃ
সিলেটের কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে কয়েক’শ কোটি টাকার মজুদকৃত পাথর বিক্রির মহা ধুম পড়ছে। এসব মজুদকৃত পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে দেশের বড় বড় পাথর সাপ্লাইয়ার্স প্রতিষ্ঠান।

নদীপথে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট পাথর দেশের বিভিন্ন এলাকায় কার্গো, বলগেট, লঞ্চ যোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি বর্ষার সময়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে লোভা ও সুরমা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনার এ মহাদুর্যোগকালীন সময়ে পাথর ব্যবসায়ীরা নৌকায় পাথর উত্তোলনের জন্য সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের কোয়ারী এলাকায় জড়ো করায় সচেতন মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

স্হানীয় কান্দলা নয়াবাজার ও মূলাগুল বাজার, বাগান বাজার, চিন্তার বাজারে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলছে ব্যবসা বাণিজ্য। বাজারে দিনরাত তিল পরিমাণ ফাঁকা যায়গা থাকেনা শ্রমিকদের চলাচলে কানায় কানায় ভর্তি থাকে।

স্হানীয় অনেকে বলেছেন, পাথর ব্যবসায়ী তো সবাই নয় মাত্র ১৫/২০ জন কোটিপতি ব্যবসায়ীরা পাথর বিক্রি করবেন এতে বাঁধার কিছু নেই। কিন্তু যখন করোনা সারাদেশে মহামারী হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে, সিলেটের মধ্যে কানাইঘাটে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ঠিক সেই মুহূর্তে লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে দেশের বিভিন্ন এলাকা পাথর শ্রমিকদের জড়ো করার কারণে এলাকায় করোনার ঝুঁকি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি এলাকায় করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এর দায়ভার কে নেবে?

এদিকে বড় বড় পাথর ব্যবসায়ীরা সরকারী স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ইতোমধ্যে লঞ্চ, স্টীমার ও কার্গোতে পাথর বোঝাই শুরু করেছেন।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ভোলা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বড় বড় পাথর বহনকারী নৌযান আসতে শুরু করেছে।

এতে করে এলাকার মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সচেতন মহল মনে করেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোয়ারী এলাকা পাথর শ্রমিক জড়ো করা বা পাথর বিক্রি থেকে বিরত থাকা উচিত ব্যবসায়ীদের।

এ ব্যাপারে স্হানীয় জনসাধারণ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩১৪ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930