শিরোনামঃ-

» শফিউল আলম নাদেলের নামে চাঁদা দাবি; ফাঁদ পেতে প্রতারক আটক

প্রকাশিত: ২৫. এপ্রিল. ২০২০ | শনিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় এক চাঁদাবাজ প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় তাকে মির্জাজাঙ্গালস্থ হোটেল নির্ভানা ইন এর সামনে থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটককৃত চাঁদাবাজ রাজিব রায় নগরীর রামদিঘীরপারের স্বপ্নিল ৩১ এর রাকেশ চন্দ্র রায়ের পুত্র।

জানা যায়- রাজিব রায় আজ সিলেট কমার্স কলেজের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানকে ফোন দিয়ে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের পরিচয় দেয় এবং বলে- করোনায় অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য ৫০ হাজার টাকা লাগবে। চাঁদাবাজির একথা শুনে মুহিবুর রহমান মদন মোহন কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল কাশেমের সাথে যোগাযোগ করেন।

পরে আবুল কাশেম ও যুবলীগ নেতা এহিয়া আহমদ সুমন প্রতারককে আটকের জন্য ফাঁদ পেতেন। তারা চাঁদাবাজ রাজিবকে নগরীর নির্ভানা ইন এ এসে দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য বলেন।

তাদের কথামতো নির্ভানা ইন এ এলে মুহিবুর রহমানের ম্যানেজার রুমেল আহমদ তাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার সময় হাতে নাতে রাজিবকে আটক করেন কাশেম, সুমন ও রুমেল। পরে তাকে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে ছাত্রলীগ নেতা এহিয়া আহমদ সুমন বাদী হয়ে রাজিব রায়ের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সেলিম মিয়া সাংবাদিককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে- গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের নামে জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মনোজ কুমার দাশ চৌধুরীর ব্যক্তিগত মোবাইলে ০১৩০৯-১৬৯৬০৩ নম্বর থেকে কল দিয়ে চাঁদা দাবি করে রাজিব রায়।

এসময় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে খাবারের জন্য খাদ্য কর্মকর্তার কাছে টাকা চাওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় জিডি করেন মহানগর যুবলীগ নেতা এহিয়া আহমদ সুমন (জিডি নম্বর- ১২৮৭)।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৮২ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930