শিরোনামঃ-

» ফেসবুক ও গুগলকে ৯ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে গ্রামীণ, বাংলালিংক ও রবি টেলিকম

প্রকাশিত: ২২. আগস্ট. ২০১৯ | বৃহস্পতিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ

গুগল ও ফেসবুককে ৮ হাজার ৭৪৪ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবি। গত ৫ বছরে এই টাকা দেয়া হয় বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

আদালতে আজ বিটিআরসি’র পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন আইনজীবী এ কে এম আলমগীর পারভেজ। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

শুনানিকালে বিটিআরসি’র সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মো. নাহিদুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

একই বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আরেকটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। কিন্তু এনবিআরের প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। তাই এনবিআরকে পুনরায় প্রতিবেদন দাখিলে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব আদায়ে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাও এনবিআরকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল সার্চ ইঞ্জিন গুগল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সচিব, বিটিআরসর চেয়ারম্যান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া ইন্টারনেট মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি এবং বিভিন্ন প্রকার লাইসেন্স বিক্রির ফিসহ যেকোনো লেনদেনের বিপরীতে যে পরিমাণ টাকা পরিশোধ করা হয় তার থেকে আদায়যোগ্য রাজস্ব সংগ্রহ করতে বলা হয়।

একইসঙ্গে ইন্টারনেটভিত্তিক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় রাজস্ব আদায়ের কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, গুগল ও ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল রিট করেন এক আইনজীবী।

রিটে বলা হয়, ইন্টারনেটভিত্তিক সব প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনা, প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রস্তুত করা, প্রতিষ্ঠানগুলো কী পরিমাণ টাকা নিচ্ছে তার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং সেই কমিটি দিয়ে গত ১০ বছরে কী পরিমাণ অর্থ নেয়া হয়েছে তা নিরূপণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এসএসডিসি/আরডিআর

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৭৯ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930