শিরোনামঃ-

» মুহিবুর রহমানের সংবাদ সম্মেলন; ইয়াহ্ইয়াকে দুর্ণীতিবাজ আখ্যা

প্রকাশিত: ১৮. ডিসেম্বর. ২০১৮ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করতে গিয়ে সিলেট-২ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনিত ও মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন একই আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের নতুন বাজারে তার কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সর্থকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে অদৃশ্য কারণে পরাজিত করা হয়। সেই নির্বাচনে মহাজোট থেকে নির্বাচিত ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরবাসীকে দুর্নীতি ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারেননি। ৫ বছরে তিনি এলাকার উন্নয়নে আসা সরকারী বরাদ্দের শতভাগই আত্মসাৎ করেছেন। ১ কিলোমিটার রাস্তা প্রতি তিনি ও তার এক ভাই ৬ লক্ষ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। অস্বচ্ছল মানুষদের কাছ থেকে ১৫/২০ হাজার টাকা নিয়ে গভীর নলকুপ দিয়েছেন। এমনকি, আমার নিজ এলাকার একটি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে দিতে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষও দাবী করেন এই সংসদ সদস্য।

এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে আওয়ামী লীগের দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মহাজোট থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ২ চৌধুরীতে আওয়ামী লীগ ২ ভাগ থাকলেও এ ব্যাপারে সবাই একমত হন যে, এ আসনে আর লাঙ্গল প্রতিকে ভোট প্রয়োগ করা যাবে না। কারণ, বিগত দশ বছরে এলাকার ভোটার সমর্থকেরা ভুলে যেতে বসেছে যে, এই আসনটি নৌকার ঘাটি। এই নৌকা উদ্ধারে ২ উপজেলাবাসী আমাকে চায় হিসেবেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমাকে মনে করতে পারেন বিদ্রোহী। কিন্তু এ বিদ্রোহ সে রকম বিদ্রোহ নয়। আক্ষরিক অর্থে আমি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে এ আসনে নির্বাচন করছি।

নির্বাচিত হলে সিলেট-২ আসনকে ঘুষ-দুর্নীতি ও দালালমুক্ত করে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাবেন জানিয়ে মুহিবুর রহমান আরও বলেন, জনগন যদি সহযোগিতা করেন আর সরকার থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ মেলে, তাহলে আগামী ৫ বছরে এতদঞ্চলকে উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছানো সম্ভব। যেভাবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা পুরো দেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি পরিকল্পিতভাবে শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করতে চাই। আমার কাছে সর্বাগ্রে গুরুত্ব পাবে শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, খেলাধুলাসহ আর্থসামাজিক উন্নয়ন। প্রচেষ্টা চালাবো ২  উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও ১৬টি ইউনিয়নে ১৬টি খেলার মাঠ নির্মাণ করার।

এছাড়া, মেয়েদেরকে শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে যাতে একটি করে ডিগ্রি কলেজ স্থাপন করা যায়, সে লক্ষ্যেও কাজ করে যাব। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা থানার দালালীসহ নানা ধরণের অপকর্ম করে, তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করব।

বিশ্বনাথ উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের এক প্লাটফর্মে নিয়ে এসে সদরের প্রাণকেন্দ্রে তাদের জন্যে একটি নিজস্ব ভবন নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে আমার। সেই জন্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর আমাকে ডাব প্রতিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্যে ভোটারসহ সর্বস্তরের সকলের সার্বিক সহযোগিতা চাই।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৬৪ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031