শিরোনামঃ-

» আগামীকালের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ফের আন্দোলনের ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৯. মে. ২০১৮ | বুধবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে রবিবার থেকে ফের আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা।

বুধবার (৯ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

মানববন্ধনটির ব্যাপ্তি ছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে ভিসি চত্বর পর্যন্ত। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। এর আগে মানববন্ধনে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।

সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা রাজু ভাস্কর্যে আসেন। মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের যে ঘোষণা, তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করার দাবি জানান। প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে কোনো টালবাহানা হলে ছাত্র সমাজ তা মেনে নেবে না বলেও জানান তারা।

মানববন্ধনে আন্দোলনকারীদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে রবিবার থেকে রাজপথে দাবানল সৃষ্টির করা হবে।

তিনি বলেন- প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন বন্ধ করে পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে। তাদেরকে আবার রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না।

বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি প্রজ্ঞাপন জারি করা না হয়, তবে আগামী রবিবার থেকে সারাদেশে ছাত্র সমাজের দাবানল রাজপথ উত্তপ্ত করবে। ছাত্র সমাজ যদি ক্ষেপে যায়, যেকোন অশুভ শক্তিকে দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’

নুর বলেন, ‘সারাদেশের ছাত্র সমাজ ক্ষুব্ধ। ছাত্র সমাজ সব সময় আলোচনার পথ খোলা রেখেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদেরকে যতবার ডাকা হয়েছিল, আমরা গিয়েছি।’

এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক লিখিত বক্তব্যে বলে- ‘প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে কোন টালবাহানা ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

গত ৮ এপ্রিল শাহবাগে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বিনা উসকানিতে পুলিশ রাতভর কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও ছররা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিপেটা করে। এর প্রতিবাদে ৯ এপ্রিল সারা বাংলার ছাত্রসমাজ ফুঁসে ওঠে।

তিনি বলেন- এই অবস্থায় সরকারের পক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ১৮ সদস্যের একটি দল সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করে। সেখানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, ৭ মের মধ্যে কোটাপদ্ধতির সংস্কার করা হবে।

অথচ এখনও তার বাস্তব কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। তাই কোটা সংস্কারের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪১৯ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930