শিরোনামঃ-

» সিলেট মহানগর বিএনপির বিশাল কর্মী সভা

প্রকাশিত: ৩০. ডিসেম্বর. ২০১৭ | শনিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন- আওয়ামী দুঃশাসনে অতীষ্ঠ জাতির মুখে আজ একটাই কথা আমরা ভাল নেই। বিএনপি শতভাগ গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনমুখী দল।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অবশ্যই অংশ নেবে, তবে শেখ হাসিনার অধীনে নয়। তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে কোন নির্বাচন এদেশে হতে দেয়া হবেনা।

নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেই আমরা নির্বাচনে যাবো। আমরা সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বিজয় অতি সন্নিকটে। অবৈধ সরকারের পায়ের তলায় মাঠি নেই।

যতই হুমকী ধামকী এবং ষড়যন্ত্র হোক না কেনো আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেই ছাড়বো। জনগণ প্রস্তুত রয়েছে নেতাকর্মীরা মাঠে নামলেই জনতার বিজয় সুনিশ্চিত।

এদেশ কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়। ভুলে গেলে চলবেনা ২০১৪ সালের বিএনপি এখন আর নেই। আত্মসমর্পন করার চেয়ে পরাজয় বরন করাই শ্রেয়। সুতরাং শেষ যুদ্ধের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। ডাক আসা মাত্রই মাঠে নামতে হবে। মনে রাখতে হবে মাইরের উপর কোন ঔষধ নাই। লড়াই করেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন- শেখ হাসিনা ও গণতন্ত্র পরস্পর সাংঘর্ষিক আর বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপুরক। শেখ মুজিব গণতন্ত্র হত্যা করেছেন- শহীদ জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।

আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে তখনই গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো গণতন্ত্র। আর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ঘোষনা কিন্তু ঢাকা থেকে আসেনি।

এসেছে চট্রগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। আর তাও এসেছে শহীদ জিয়ার ঘোষনার মাধ্যমে। সুতরাং শহীদ জিয়াকে বাদ দিয়ে ইতিহাস হবেনা। বাংলাদেশের ইতিহাস-মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা এবং জিয়া মিলে একাকার।

আওয়ামীলীগ সব সময়ই ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের সুচনা করে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তারা জামায়াতকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলন করেছিল, আমরা সে দাবী মেনে নিয়েছিলাম বলেই তারা দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল।

আজ তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা জানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবেনা।

তাই ৫ জানুয়ারীর মত নির্বাচন দিয়ে গদি দখলে রাখতে চায়। কিন্তু  বাকশালীদের সেই সুযোগ আর দেয়া হবেনা। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া যে কোন নির্বাচন আমরা জীবন দিয়ে প্রতিহত করবই।

তিনি শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সিলেট মহানগর বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা তাহসীনা রুশদীর লুনা, আলহাজ্ব এম এ হক খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী ও সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ।

সিলেট মহানগর ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাসুদ আহমদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সুচীত এবং নগরীর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সুলেমান হলে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় সিলেট জেলার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ, সিলেট জেলার বিএনপি দলীয় সাবেক সকল সংসদ সদস্য ও বিগত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীগণ, বিএনপি সিলেট মহানগর কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যগণ এবং মহানগর এর অর্ন্তগত প্রত্যেকটি থানা ও ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ১নং সহ-সভাপতি, ১নং যুগ্ম-সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ, মহানগর বিএনপি দলীয় মেয়র, কাউন্সিলার বৃন্দ, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের মহানগর শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মী সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট ফয়জুর রহমান জাহেদ, এডভোকেট হাবীবুর রহমান, হুমায়ুন কবির শাহীন, সালেহ আহমদ খসরু,  সিটি কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, জিয়াউল গনি আরেফিন জিল্লুর, প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, আব্দুস সাত্তার, জিয়াউল হক জিয়া, আব্দুর রহিম, মুফতী বদরুন নুর সায়েক, অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, সাব্বির আহমদ বাচ্চু, বাবু নিহার রঞ্জন দে, আব্দুল আলীম দ্বিপক, সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, আব্দুল ফাত্তাহ বকশী, আমির হোসেন, উপদেষ্ঠা কয়সর রশীদ চৌধুরী, এবিএম সাদেক, সরফরাজ আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ বাবুল হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক এডভোকেট শামীম সিদ্দিকী, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, দিনার খান হাসু, আলী হোসেন বাচ্চু, মাহবুব কাদির শাহী, এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু, কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট আবুল ফজল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, মুকুল মোর্শেদ ও মাহবুব চৌধুরী, দফতর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা তাহসীনা রুশদীর লুনা বলেন- শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা। এথেকে জাতিকে মুক্ত করতে আন্দোলনের বিকল্প নেই।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে ২০১৪ সালের মত আর কোন নির্বাচন এদেশে হতে দেয়া হবেনা। এব্যাপারে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

আলহাজ্ব এম এ হক বলেন- অগণতান্ত্রিক সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি দরকার।

আওয়ামীলীগ এবং শেখ হাসিনা যখনই ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্রের উপর খড়গ নেমে এসেছে। তাই অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের কমিটি দিয়ে তাদের রাজপথে আরো বেশী সক্রিয় করার ব্যাপারে কেন্দ্রকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন- আওয়ামীলীগের রাজনীতির কৌশল আর পকেটমারের কৌশল এক। বংশানুক্রমিকভাবেই আওয়ামীলীগের মাঝে গণতন্ত্র তো দুরের কথা গণতন্ত্রের গ-ই নাই।

তারা দেশের কোন প্রতিষ্ঠানকে অক্ষত রাখেনি। ব্যাংক ডাকাতের ভুমিকায় অবতীর্ণ আওয়ামীলীগের কারনে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের পথে।

একদিকে ব্যাংকে লুটপাট কারী সরকার দলীয়রা বহাল তবিয়তে অপর দিকে দুদক ব্যস্ত বিরোধী মতের মানুষের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দিতে। লুটপাটকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নাই।

ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন- সিলেটের কোটি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন জননেতা এম ইলিয়াস আলী সহ গুমকৃতদের ফিরিয়ে দিতে হবে।

সিলেট হলো গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনের অন্যতম সুতিকাগার। এখান থেকেই অবৈধ সরকার পতন ও নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন আরো বেগবান হবে।

এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন- গণতন্ত্র নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবেনা। ইলিয়াস আলীর স্মৃতি বিজড়িত সিলেটবাসীর মাঝে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে জোয়ার এসেছে তা প্রতিটি নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। গণতন্ত্রমুক্তির শেষ লড়াইয়ের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৪৩ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031