শিরোনামঃ-

» সারাদেশে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষকতা করছেন ৬০ হাজার শিক্ষক

প্রকাশিত: ০৮. নভেম্বর. ২০১৭ | বুধবার

এডুকেশন সংবাদঃ সারাদেশে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরের প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক এখন জালসনদে শিক্ষকতা করছেন।

তারা সরকারের ‘মান্থলি পে-অর্ডার’ বা এমপিও পেয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা বেতন-ভাতা তুলে নিচ্ছেন। কেবল চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে ২৬৮ শিক্ষকের সনদ জাল বলে তদন্তকালে ধরা পড়েছে।

ভুয়া সনদধারী শিক্ষকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ডিআইএ।

জাল সনদের এ ব্যবহার শিক্ষকদের ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়। ডিআইএর নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ১৯৮১ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ৩৫ বছরে সারাদেশে ৫১ হাজার ৯৯২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষকের সনদ জাল বলে চিহ্নিত করেছে ডিআইএ। এসব শিক্ষক এই সময়কালে সরকারি কোষাগার থেকে ৪৮২ কোটি ৭৮ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৭ টাকা বেতন-ভাতা তুলেছেন।

ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন আহমদ ভূঁইয়া এ প্রসঙ্গে বলেন- এসব শিক্ষক তদন্তকালে চিহ্নিত হয়েছেন। জনবল সংকট ও সামর্থ্যের কারণে সব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সরেজমিনে তদন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি জানান- তার ধারণা তদন্তের বাইরে থাকা জাল সনদধারী শিক্ষকের প্রকৃত সংখ্যা অন্তত ৪০ গুণ বেশি হবে। সে হিসাবে সারাদেশে এ মুহূর্তে জাল সনদধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি।

অধ্যাপক মো. মফিজ উদ্দিন আহমদ ভূঁইয়া বলেন- চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ মে পর্যন্ত তদন্তকালে ২৬৮ শিক্ষকের সনদ জাল বলে তারা প্রমাণ পেয়েছেন। তাদের কাছ থেকে ৮ কোটি ৫৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩১ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি জানান- এই ২৬৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮২ জন জাল সনদধারী শিক্ষক বেতন-ভাতা তুলেছেন দুই কোটি ২৯ লাখ ২১ হাজার ৬৯৭ টাকা।

এভাবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১১ শিক্ষক ৪৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১০৯ শিক্ষক তিন কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ৬৬ শিক্ষক ২ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া ডিআইএর প্রতিবেদনে দেখা যায়- কেবল এক বছরে (গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত) সারাদেশে ১ হাজার ৫১৮ শিক্ষকের সনদ জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এই এক হাজার ৫১৮ শিক্ষক ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা বাবদ তুলেছেন ৭৩ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৭ টাকা। ডিআইএ এই টাকা ওই শিক্ষকদের কাছ থেকে আদায় করার জন্য সুপারিশ করেছে।

ডিআইএ বলছে- সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে অবৈধ উপায়েও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এসব শিক্ষক সরকারি বেতন তুলেছেন। তাদের কাছ থেকে সমুদয় টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত আনতে হবে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৯০৫ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031