শিরোনামঃ-

» আজ আদালত মা-মেয়ের নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত দেবেন

প্রকাশিত: ০৭. আগস্ট. ২০১৭ | সোমবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ বগুড়ায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রী ও তার নির্যাতিত মা’কে আজ সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দুপুরের দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায়ের আদালতে যাবেন। তাঁদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা।

বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবদুল মোত্তালেব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মা-মেয়ে দুজনই এখন শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ।

এ কারণে দুজনকেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়েছে। এখন তাঁরা হাসপাতাল থেকে কোথায় ফিরবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ও বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রী এবং এ ঘটনায় করা দুটি মামলার বাদী ছাত্রীর মাকে হাসপাতালে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায়ের আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী হাসপাতালে পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেওয়ার পর তাঁরা বাসায় ফিরবেন, নাকি কোন সেফহোমে যাবেন, সেই সিদ্ধান্ত জানতে দুপুরের মধ্যে একই আদালতে মা-মেয়েকে হাজির করা হচ্ছে।

ছাত্রী বলেছেন, আদালত আদেশ দিলে তাঁরা শহরের চকসূত্রাপুর নামাজগড় বেগমবাড়ি লেনের ভাড়া বাসায় ফিরবেন।

ধর্ষণ ও নির্যাতনের ২ মামলায় বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, তাঁর স্ত্রীর বড় বোন পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া আকতার ওরফে রুমকিসহ গ্রেপ্তার ১১ আসামি এখন কারাগারে।

গতকাল রোববার দুই দিনের রিমান্ড শেষে তুফান ও রুমকিকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করে আবার রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত তা নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তুফান নির্যাতিত ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং নারী কাউন্সিলর রুমকি নির্যাতন ও চুল কেটে দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি।

তবে এই মামলায় তুফান সরকারের সহযোগী আতিক, মুন্না ও নাপিত জীবন রবিদাস ইতিমধ্যেই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ১৭ জুলাই বিকেলে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের নেতা তুফান সরকার। পরে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা সরকার এবং তাঁর বড় বোন নারী কাউন্সিলর এবং তুফানের ক্যাডাররা ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ও তার মায়ের ওপর নির্যাতন চালান।

এরপর দু’জনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ২৮ জুলাই রাতে মামলা করেন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত নয়জনসহ মোট ১১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৬৯ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031