শিরোনামঃ-

» প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৫. জুলাই. ২০১৭ | বুধবার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সুহিতপুর (সিঙ্গুয়া) গ্রামের বাসিন্ধা জনৈক প্রবাসীর কেয়ারটেকার “মহিলাকে গণ ধর্ষণ ও লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়।

রবিবার (২ জুলাই) ও মঙ্গলবার (৪ জুলাই) জাতীয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর সহ স্থানীয় পত্রিকা এবং কয়েকটি অনলাইন গণ মাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, সুহিতপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী মনাফ মিয়ার বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ কেয়ারটেকারের কাজ করে আসছে জগন্নাথপুর থানার ঈশাখপুর গ্রামের আলী হোসেন। এ সুবাদে তাঁর স্ত্রী নাজমা আক্তার নাজমীন (৩০)-কে স্থানীয় কিছু লোক অসামাজিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ঐদিন সকাল ১১টায় গোবিন্দগঞ্জ ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে ঘরে প্রবেশ করেন এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুন্দর আলীর নির্দেশে স্থানীয় আবুল ফজল আলিম, ফয়জুল হক, আনকার আলী, তাজুল ইসলাম, শামীম আহমদ, রহমত আলী ফয়ছল আহমদ সহ ১০/১২ জন লোক ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক মহিলাকে গণ ধর্ষণ করে রক্ষিত নগদ ১ লক্ষ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়।

মূলত: এ সংবাদ ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ও সালিশ ব্যক্তিত্ব মসজিদের সাবেক মোতয়াল্লী রইছ আলী, দলিল লেখক ওয়ারিছ আলী, মাষ্টার মনোহর আলী, নুরুজ আলী, মকদ্দছ আলী, মো. আনফর আলী, মো. আরিফ আলী, আব্দুল খালিক আলমাস আলী, হাবিবুর রহমান, তোরাব আলী, আতর আলী, আমীর আলী, কালা মিয়া সহ স্থানীয় মুরব্বিয়ানগণ।

তাঁরা এক প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন- জগন্নাথপুর থানার ঈশাখপুর গ্রামের আলী হোসেন বুলু তার স্ত্রী ও মেয়ে তামান্না নাজমীন ইভাকে নিয়ে ছাতক থানার সহিতপুর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল মনাফের বাড়িতে কেয়াটেকার হিসেবে বসবাস করে আসছেন।

কয়েকদিন যাবৎ এলাকার লোকজনদের সাথে বুলুর স্ত্রী নাজমা বেগম নাজমীন বলে আসছিল যে, উল্লেখিত স্থানীয় লোকদের সমাজে হেয়পতিপন্ন করবে।

এমনকি অর্থের বলে সমাজে গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের মান সম্মান নষ্ট করাবে। এলাকায় প্রচার করে যে, সে সবাইকে জেলের ভাত খাওয়াবে। সে সুবাদে কেয়ারটেকার বুলুর স্ত্রী নাজমা বেগম নাজমীন নানা ফন্দি ফিকির করে আসছিল।

তাঁরা আরো উল্লেখ করেন, গত ২ জুলাই ওই মহিলা মিথ্যা সাজানো ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের সকলের মান সম্মান নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে সবার নাম জড়িয়ে বিভিন্ন অনলাইন সহ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায়। যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আলী হোসেন বুলুর স্ত্রী নাজমা বেগম নাজমীন ও মেয়ে তামান্না নাজমীন একজন দু:শ্চরিত্রা মহিলা। সে যে কোন সময় টাকার বিনিময়ে অন্য লোকদের ফাঁসিয়ে দিতে পারে।

আসলে দীর্ঘদিন যাবৎ ঐ দু:শ্চরিত্রা নাজমা বেগম নাজমীন প্রকৃত রুপ ধরা পড়ায় স্থানীয় তরুণ যুব সমাজ বিভিন্ন সময় অসামাজিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় কতিপয় ইন্ধনদাতার সহযোগীতায় স্থানীয় যুব সমাজকে জড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন করছে, যা রীতিমতো বিভ্রান্তিকর, হাস্যকর ও মান-সম্মান হেয় করার সামীল।

অচিরেই যদি এর বিরুদ্ধে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তবে অদুর ভবিষ্যতে এই নষ্টা মহিলা গোটা এলাকাকে কলুষিত করে ফেলবে আর শান্তিপ্রিয় যুব সমাজকে অশান্ত করে তোলবে।

কথিত মহিলা উল্লেখ করেছে, সকাল ১১টায় একজন জননন্দিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ১০/১২ জন ঘরে ঢুঁকে গণ ধর্ষণ করেছে। সংবাদটি যে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, তার প্রমাণ হলো- দিনে দুপুরে একটি সভ্য সমাজে কোনক্রমেই এ রকম পৈশাচিক কার্যক্রম হতে পারে না। আর এ রকম নিকৃষ্ট কাজের জন্য কারো নির্দেশরও প্রয়োজন পড়ে না।

তাই বিষয়টি অতিব গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে তাগিদ দিয়েছেন এবং ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। তা না হলে নিরপরাধ ব্যক্তিদের এভাবে অসাধু পন্থায় ব্যবহারের হীন উদ্দেশ্যে এর প্রতিকার স্বরুপ মানহানী মামলা করতে বাধ্য হবেন বলে হুশিয়ারি করেছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১২২৬ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031