শিরোনামঃ-

» কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রীকে স্নাতকোত্তর মর্যাদা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১২. এপ্রিল. ২০১৭ | বুধবার

ডেস্ক সংবাদঃ কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে-ই-হাদিসকে স্নাতকোত্তর স্তরের মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সাক্ষাতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মঙ্গলবার রাতে এ কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এখন নিয়ম-কানুন মেনে এটি করা হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিমও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো সাংবাদিককে জানিয়েছিল সরকারের কোন প্রতিনিধি ছাড়াই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষগুলোর করা কমিটির অধীনে পরীক্ষা নিয়ে এই সনদ দেওয়া হবে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষগুলোর চাওয়া অনুযায়ী এই প্রক্রিয়ায় স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। গত ২৮ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। যা গতকাল ঘোষণা দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক ও ইকরা বাংলাদেশের পরিচালক মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন বিগত সরকারের শেষ দিকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ জন্য ‘বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছিল। প্রস্তাবিত এই কর্তৃপক্ষ গঠন করার ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিনিধি রাখার কথা ছিল।

কর্তৃপক্ষ গঠনের জন্য আইনের খসড়া অর্থ, জনপ্রশাসন ও প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদন শেষে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও উত্থাপন করা হয়। কিন্তু খসড়াটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেরত পাঠানো হয়। মূলত মাদ্রাসাগুলোর সবাই একমত না হওয়ায় এবং রাজনৈতিক কারণে তা পিছিয়ে যায়।

ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার আদলে ১৮০০ সালের শেষের দিকে এ দেশে কওমি মাদ্রাসার গোড়াপত্তন হয়। দেশে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার প্রাক-প্রাথমিক স্তর শুরু হয় শিশুর চার-পাঁচ বছর বয়স থেকে।

সর্বোচ্চ স্তর হলো দাওরায়ে-ই-হাদিস। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা বোর্ড এই স্তরকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমমান বলে।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী সারা দেশে ১৩ হাজার ৯০২টি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। বেশির ভাগ মাদ্রাসাই মফস্বল এলাকায় অবস্থিত।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৭৭ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031