শিরোনামঃ-

» কানাইঘাটের জামাল খুনের ১ বছর না পেরোতেই তাঁর বসতঘরে দুর্বৃত্তদের অগ্নিকান্ড

প্রকাশিত: ২৫. জানুয়ারি. ২০১৭ | বুধবার

কানাইঘাট প্রতিনিধি: কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ীস্থ তিনটি গ্রামের বাবুর্চি জামাল খুনের ঘটনার কোন রকম সুরাহা হওয়ার অাগেই অাবারও দুর্বৃত্তের অাগুনে পোড়লো জামালের বসত ঘর।

মঙ্গলবার আনুমানিক ৩টার দিকে কে বা কারা জামালের বসত ঘরে পেট্রোল দিয়ে অাগুন লাগিয়ে দেয়।

তবে বসত ঘরে কোন মানুষ ছিলেন না। অাগুনে ঘরের প্রয়োজনীয় অাসবাবপত্র ও কাগজপত্র জ্বলে যায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রাত প্রায় ৩টার দিকে বাড়ীর সুলেমান আহমদ এর স্ত্রী তার মেয়ের কান্নার শব্দে ঘুম ভাংলে বাহিরে আগুন দেখতে পান।

তিনি তার স্বামীকে ডেকে বাহিরে আগুন বললে সুলেমান বাহিরে বেড়িয়ে চিৎকার দিলে বাড়ীর লোক ও আশপাশের মানুষ মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনার পর পেট্রোল ভরা একটি বোতল পাওয়া যায়। বাবুর্চি জামালর স্ত্রী সানুরী বেগম বলেন, একদিকে স্বামী হারালাম অন্যদিকে অামার শেষ সম্বল বসত ঘরটিও জ্বালিয়ে দেয়া হলো।

তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, অামার স্বামীকে খুন করার ৩ মাস পূর্বে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের টাকায় এই ঘরটি নির্মাণ করেন।

ঘর বানাতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। বসতঘরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের জিনিস ছিল।

নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়, জামাল খুনের ৬ মাস পর জামালের স্ত্রী সানুরী বেগম জানমালের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে তার বাপের বাড়ি গোলাপগজ্ঞের হেতিমগজ্ঞ চলে যান।

সানুরী বেগম অারো বলেন, মামলা নিয়ে বিভিন্ন মহলের চাপ অার একের পর এক হুমকি পেয়ে অামি বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।

জামালের ভাগ্নে গোলাপগজ্ঞের ধারাবহর গ্রামের কামরুল ইসলাম বলেন, মামার বাড়িতে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে স্থানীয় অনেকের সাথে যোগাযোগ করেছি।

অামাদের ধারণা মামার বাড়ির অাশপাশের লোকজন এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। অামরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ওয়ার্ড সদস্য শামছুল ইসলাম বলেন, আমি বাড়ীতে ছিলাম না, সকাল ৭টায় বাড়ীতে আসলে খবর শুনে চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করি এবং গ্রামের মুরব্বিয়ানদের নিয়ে মসজিদে বৈঠক করেছি।

আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের পর এলাকার মুরব্বিয়ানদের নিয়ে এ বিষয়ে অাবার আলোচনা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের  ১৪ ফেব্রুয়ারি  রবিবার উপজেলার শহর উল্লাহ মার্কেট থেকে নিখোঁজ হন বাবুর্চি জামাল উদ্দিন এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার উপজেলার লামাঝিংগাবাড়ীস্থ  কটালপুর এলাকার খাইছনা বিলের পশ্চিম প্বার্শে  তার গলিত লাশ উদ্ধার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ।

গলা জবাই করে, দুটি চোঁখ  উপড়ে ফেলে,  জিহ্বা কেটে, হাতের ডান অংশ  কেটে, মাথা ফাটিয়ে, পুরুষাঙ্গের আগা কর্তন করে, উরুতে কুপিয়ে কুপিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে খুন করা হয় জামাল উদ্দিন (৪০)-কে।

শুধু তাই নয় খুনের অাগে অথবা পরে লাশকে বিকৃত করার জন্য এসিড দিয়ে জ্বলসে দেওয়া হয় শরীরের বিভিন্ন অংশ। এমন দাবী জামালের পরিবার, অাত্বীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী অনেকের।

গত ১৯ ফেব্রয়ারি ২০১৬ জামাল খুনের ঘটনায় ১৮ জনকে অাসামী ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী শাহিনুর  বেগম ( ছানুরী)। মামলা নং ২৩।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৮০ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031