শিরোনামঃ-

» পাকিস্তানি চা-ওয়ালার পর নেপালি তরকারিওয়ালি!

প্রকাশিত: ০১. নভেম্বর. ২০১৬ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ মিডিয়া ডেস্ক:: রূপচন্দ্র মাহারজান নামে এক নেপালি ফটোগ্রাফার শাকসবজির ছবি তুলছিলেন। কীভাবে তাজা শাকসবজি বাজারে আসে এ নিয়ে একটি গ্যালারি করা ছিল উদ্দেশ্য।
ছবিগুলো অনলাইনে ছেড়েও দেন। ব্যাপক জনপ্রিয় হয় ছবিগুলো, কিন্তু শাকসবজির জন্য নয় বরং সবজি বহনকারী এক কিশোরীর জন্য!

মুহূর্তের মধ্যে ওই কিশোরীর ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ছবিগুলোর নাম দেওয়া হচ্ছে ‘তরকারিওয়ালি’। নেপালের অনলাইন পোর্টাল গুনদ্রুক পোস্টের বরাত দিয়ে ভারতের দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ওই ‘তরকারিওয়ালি’ এখন সব ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ছে।
যারা দেখছে তারাই মুগ্ধ হচ্ছে! নাম এখনো জানা যায়নি। তাই ‘হ্যাশট্যাগ তরকারিওয়ালি’ই এখন পর্যন্ত অনুরাগীদের ভরসা। ওই নাম দিয়েই খুঁজে নেওয়া হচ্ছে নেপালি কিশোরীকে।
এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া যায়নি ‘তরকারিওয়ালি’র। ছবিটা তোলা হয়েছে নেপালের গোরখা ও চিতওয়ানের মাঝামাঝি কোনো এলাকা থেকে।
এর কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের এক চা-ওয়ালার চোখ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন তরুণীরা। সবুজ চোখওয়ালা ওই যুবকের নাম আরশাদ খান। ইসলামাবাদের রাস্তায় চা বিক্রি করতেন তিনি।
জিয়া আলী নামে এক পাকিস্তানি ফটোগ্রাফার আরশাদের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়ে দেন। এরপর কেবল পাকিস্তান নয়, ভারতেও তুমুল ঝড় তোলে ছবিটি। বিশেষ করে তরুণীরা ব্যাপকভাবে আগ্রহী হয়।
একটি পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে তাদের পণ্যের মডেল হওয়ার জন্য জন্য আরশাদ খানের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তাদের শার্ট পরা আরশাদ খানের ছবি ইতোমধ্যে অনলাইনে পোষ্ট করা হয়েছে।
১৮ বছর বয়সী আরশাদ খানকে নিয়ে পাকিস্তান আর ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কদিন ধরে মাতামাতি চলছে।
টুইটারে তার এই ছবি শেয়ার করছে এবং মন্তব্য করছে মূলত ভারত এবং পাকিস্তানের হাজার হাজার মেয়ে।
অনেক নারী এমন মন্তব্যও করছেন – এই চা-ওয়ালা তার চায়ের চেয়েও হট অর্থাৎ গরম। অনেকে লিখছেন – আরশাদই পারেন ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা কমাতে।
রশিদ আবুবকর নামে পাকিস্তানের একজন তার টুইটার পাতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং আরশাদ খানের ছবি পাশাপাশি রেখে পোষ্ট করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবির ওপরে লিখেছেন — ভারতের চাই-ওয়ালা এবং আরশাদের ছবির ওপরে লিখেছেন — পাকিস্তানের চাই-ওয়ালা। তার পোষ্টের শিরোনাম ছিল — সার্জিকাল স্ট্রাইক ফ্রম পাকিস্তান।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, আরশাদের ছবি নিয়ে যে কী ধরনের তুলকালাম কাণ্ড হলো তার কোন ধারণাই নেই খোদ আরশাদের। কারণ আরশাদের ফোন নেই। সে পড়ালেখাও জানে না!

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬৮১ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031