শিরোনামঃ-

» রামপালে ৫ লাখ গাছ লাগানো হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৩. অক্টোবর. ২০১৬ | বৃহস্পতিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে ৫ লাখ গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য জানান।
‘দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে হলে, কৌশলসমূহ বলতে হবে’ এই স্লোগান নিয়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৬।
দিবসটি উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশের বিভিন স্থানে নবনির্মিত ১০০ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং ৫৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় নতুন নতুন কৌশল খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থার কারণে বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করে চলতে হয়। শুধু প্রাকৃতিক নয়, মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হয় আমাদের। আর আমরা সেগুলো মোকাবিলা করে যাচ্ছি। সরকার সজাগ থাকলে যেকোনো দুর্যোগ থেকে মানুষকে বাঁচানো সম্ভব।’

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে কোনো সতর্ক দেওয়া হয়নি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তখন এ বিষয়ে কোনো সচেতনতা ছিল না। তখনকার সরকার এ বিষয়ে কিছুই জানত না। আমরা বিরোধী দলে থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। ১৯৯৭ সালেও ঘূর্ণিঝড় হয়। তখন আমরা সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীকে নিয়ে কাজ করি। জনগণকে জোর করে শেল্টারে নিয়ে আসি। মন্ত্রীরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ করেন। ১৯৯৮ সালে আসে বন্যা। প্রায় ৬৯ দিন ৭০ ভাগ এলাকা ডুবে ছিল। তখন আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করেছি। তখন হাতে বানানো রুটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। তখন না খেয়ে কোনো মানুষ মারা যায়নি। তিন মাসে হাজার খানেক মানুষ মারা গেছে। এটাও দুঃখজনক। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আমরা কৃষকদের সাহায্য করি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের সহযোগিতা করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ দূষণে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
সাম্প্রতিককালে বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়ে গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বজ্রপাত মোকাবিলায় আরো বেশি তালগাছ রোপণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সংবাদ সংস্থা বাসসের এক সংবাদে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বিশ্বব্যাপী যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের দুর্যোগ মোকাবিলার পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ঝড়, বন্যা আমাদের দেশে লেগেই থাকে। আমি এটুকু বলব- উত্তরবঙ্গের মঙ্গা আমরা দূর করেছি। এখন নদী ভাঙন ও বন্যা থেকে আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য নির্দেশ হচ্ছে-যেসব ঘরবাড়ি করা হচ্ছে তা একটু উঁচু করে নির্মাণ করতে হবে। মানুষের যেন ক্ষতি না হয় সেটা দেখা হবে।’
প্রত্যেক জেলাতেই আমরা আগাম টিন এবং ত্রাণ সাহায্য জেলা প্রশাসকদের কাছে দিয়ে রেখেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা যেন কোনো আকস্মিক দুর্যোগ এলে তৎক্ষণাৎ তা মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে পারেন। তা ছাড়া এই বন্যা থেকে লোকজনকে রক্ষার জন্য আমরা ভবিষ্যতে পাকা দালান করে দেব। যদিও এখন টিনের ঘরবাড়ি করে দেওয়া হচ্ছে- বাংলাদেশে আর একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না-এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত এবং ইনশাল্লাহ আমরা তা করব।’
তিনি বলেন, এখন আমাদের দুর্যোগে তাৎক্ষণিক সাড়া প্রদানের জন্য ৫৫ হাজার ৬২০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক ও ৩২ হাজার নগর স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা হয়েছে। ভূমিকম্প মোকাবেলাতেও ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আমাদের স্কাউটস্, বিএনসিসি ও রেডক্রস যুব ভলান্টিয়ারদেরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে এবং সর্বদা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৩২ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031