শিরোনামঃ-

» উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনে থেকে কাজীর পলায়ন

প্রকাশিত: ১৯. আগস্ট. ২০১৬ | শুক্রবার

সিলেট বাংলা নিউজঃ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদ মোস্তফা এক কাজীর বৈধতা বিষয়ে তদন্তে গেলে ঘটনাস্থল থেকে কাজী পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

গত ১৭ আগস্ট বুধবার কাজী মোহাম্মদ আবু বকরের অবৈধ কার্যকলাপ সরেজমিনে তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসর ২৬নং ওয়ার্ডের ভার্থখলার স্টেশন রোড অবস্থিত কাজী টেইলার্সে যান।

এ সময় কাজী মোহাম্মদ আবু বকর ও তার ভাই আলতাফুর রহমান আনছার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিত টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।

তাদের দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখে আশপাশে দোকানের লোকজন কাজী টেইলার্সের সামনে জড় হন। উপস্থিত লোকজনদের কাছ থেকে কাজী মোহাম্মদ আবু বকর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।

পরে লোকজনদের সামনে কিছু কাগজপত্র জব্ধ করে নিয়ে যান। তিনি জানান, কাগজপত্র দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী মোহাম্মদ তৌফিক বকস লিপন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। হাতেনাতে ধরে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য, বরইকান্দির ইউনিয়নে পিরোজপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে গত ৯ আগস্ট এক বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদ মোস্তফা সেন্টারে পৌছার আগেই কাজী সটকে পড়েন।

যে সকল কাজী বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

এরপর গত ১৪ আগস্ট উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় কাজী মোহাম্মদ আবু বকর ২৬নং ওয়ার্ডে অবৈধভাবে কাজী অফিস স্থাপন করে দীর্ঘ দিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমন তথ্য উত্থাপিত হলে এমপি মাহমুদ উস-সামাদ চৌধুরী কয়েছ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মাহমুদ উস-সামাদ চৌধুরী এমপি’র নির্দেশের প্রেক্ষিতে গতকাল ১৭ আগস্ট বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদ মোস্তফা সরেজমিনে ঘটনা তদন্তের জন্য ২৬নং ওয়ার্ডের ভার্থখলার স্টেশন রোড অবস্থিত কাজী টেইলাইস যান।

এ সময় কাজী মোহাম্মদ আবু বকর ও তার ভাই আলতাফুর রহমান দৌড়ে পালিয়ে যায়।

জানা যায়, ২০০৫ সালে কাজী মোহাম্মদ আবু বকর এর লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পরও ভুয়া লাইসেন্স এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডে কাজী অফিস স্থাপন করে ওয়ার্ডের মধ্যে অবস্থিত সেন্টারগুলোতে প্রভাব খাটিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রারীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ অবস্থায় কাজী অফিস সরানোর জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করলে, বিগত ২০০৫ সালে চতুরতার আশ্রয় নিয়ে কাজী অফিসরে নাম কাজী টেইলার্স লিখে এখন কাজী’র কাজ করছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৩৬ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031