শিরোনামঃ-

» রোনালদোর পর্তুগাল চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত: ১১. জুলাই. ২০১৬ | সোমবার

সিলেট বাংলা নিউজ স্পোর্টস ডেস্কঃ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব সোয়ানসি সিটির হয়ে ফ্লপ একটি মৌসুম কাটিয়েছেন এডার। ১৩ ম্যাচে মাঠে নেমে একটি গোলও করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ইংলিশ ক্লাবটি দলে রাখেনি তাকে। ধারে দিয়ে দেয় ফরাসি ক্লাব লিলেকে।

পর্তুগালের ইউরো স্কোয়াডে থাকলেও সাইড বেঞ্চেই স্থান হয়েছিল তার। ফাইনালে তিনি খেলতে পারবেন, সেটি হয়তো কল্পনাও করেননি। দুর্ঘটনাবশত রোনালদো ইনজুরিতে পড়ায় সবকিছু নতুন করে ভাবতে হয় পর্তুগালের কোচকে।

সে কারণে ৭৯ মিনিটে সবচেয়ে কম বয়সে ইউরোর ফাইনালে খেলা রেটেনা সানচেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামার সুযোগ হয় এডারের। মাঠে নেমে ২০ মিনিট মাঠ দাবড়িয়ে খেলেন। ১০৯ মিনিটের মাথায় জোয়ার মোতিনহোর কাছ থেকে বল পেয়ে যান এডার।

ফ্রান্সের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি বক্সের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সামনে ফ্রান্সের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে দেখে ২৫ গজ দূর থেকেই ডান পায়ের জোরালো শট নেন। সেটি ফ্রান্সের গোলরক্ষকের নাগালের বাইরে দিয়ে জালে আশ্রয় নেয় (১-০)।

08মাঠে উপস্থিত পর্তুগাল শিবির উল্লাসে ফেটে পড়ে। এডার ভোঁ দৌড় দেন। উল্লাস চলে বেশ কিছুক্ষণ। শেষ পর্যন্ত সাইড বেঞ্চের এডারই নায়ক বনে গেলেন পর্তুগালের ইউরো শিরোপা জয়ের। পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তার নাম। তার হাত ধরেই যে প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল পর্তুগিজরা।

অবশ্য তারা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে শেষ ষোলোতে আসতে পারেনি। গ্রুপ পর্ব থেকে বেস্ট লুজার হিসেবে ৬ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ ১২ দলের সঙ্গে স্থান পায় শেষ ষোলোতে। তারা ইউরো জেতার ক্ষেত্রে ফেভারিটও ছিল না। গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত সাতটি ম্যাচ খেলেছে তারা। তার মধ্যে কেবল একটি ম্যাচ ৯০ মিনিটের মধ্যে জিততে পেরেছে। বাকি ম্যাচগুলোর ৩টি ড্র করেছে, ২টি অতিরিক্ত সময়ে জিতেছে আর একটি জিতেছে টাইব্রেকারে।

তবে দিনশেষে এটাই বলতে হবে- ভাগ্যদ্বেবীর সহায়তাই পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসের শিরোপার খরা ঘুচিয়েছে।

09অবশ্য রোববার রাতে শুরু থেকেই দারুণ খেলছিল ফ্রান্স। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে পর্তুগালের রক্ষণভাগ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা তাদের খেলার ছন্দ হারিয়েছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো একজন খেলোয়াড় মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার সুযোগটুকুও তারা কাজে লাগাতে পারেনি।

পল পোগবা, অ্যান্তোনিও গ্রিজমান, আন্দ্রে পিয়েরে গিগনাকরা একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেছেন। বারের ওপর দিয়ে মেরেছেন। সাইডবার কাঁপিয়েছেন। পর্তুগালের গোলরক্ষের হাতে দিয়েছেন। একের পর এক সুযোগ মিসের মহড়ায় ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও বেশ কিছু সুযোগ মিস করে তারা। কিন্তু ১০৯ মিনিটের মাথায় অবিশ্বাস্য এক শটে অসাধারণ এক গোল করে ফ্রান্সকে পেছনে ফেলেন পর্তুগালের জয়ের নায়ক এডার। তার গোলটি আর শোধ দিতে পারেনি ফ্রান্স। পাশাপাশি শিরোপাও জিততে পারেনি তারা।

ফাইনালে পর্তুগাল ৪-১-৩-২ ফরমেশনে খেলে। আর ফ্রান্স খেলে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে। পর্তুগাল ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। আর ২০০৬ সালে হয় চতুর্থ। ইউরোতে ১৯৮৪, ২০০০ ও ২০১২ সালে সেমিফাইনাল খেলে।

আর ২০০৪ সালে হয় রানার আপ। সব ইতিহাস পেছনে ফেলে ২০১৬ সালে ইউরোর শিরোপা ঘরে তোলে পর্তুগিজরা। যা তাদের ফুটবল ইতিহাসের সবেধন নীলমণি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৬৩ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031