শিরোনামঃ-

» শোলাকিয়ায় নিহত হামলাকারীও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র

প্রকাশিত: ০৮. জুলাই. ২০১৬ | শুক্রবার

সিলেট বাংলা নিউজ ক্রাইম ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে হামলার ঘটনায় নিহত হামলাকারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ওই হামলাকারীর নাম আবির রহমান (১৯)।

সে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। নিহত আবির রহমান কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

গত ৮ মাস ধরে আবির রহমান নিখোঁজ ছিল। রাজধানী বসুন্ধরা এলাকায় বসবাস করতো আবির।

এর আগে ১ জুলাই রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলাকারী নিবরাস ইসলামও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবির পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। আবিরের মরদেহ বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শোলাকিয়া মাঠের অদূরে শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে মুফতি মোহাম্মদ আলী জামে মসজিদের মোড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের ওপর বোমা হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

এসময় সন্ত্রাসীদের বোমা বিস্ফোরণ ও চাপাতির আঘাতে ২ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে প্রায় ১৫ জন।

তাদের বেশির ভাগই পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে ঝর্ণা ভৌমিক নামে এক নারী ও হামলাকারী আবির নিহত হন।

আবিরের কুমিল্লার বাড়িতে পুলিশ

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের অদূরে পুলিশের উপর হামলাকারী নিহত আবির রহমানের (১৯) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার থানার ওসি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার ভানী ইউনিয়নের ত্রিবিদ্যা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এসব তথ্য সংগ্রহ করে।

নিহত আবির রহমান ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় পল্লী বিদ্যুতের একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ৪ ভাইয়ের মধ্যে আবির ছিল সবার ছোট। বড় ভাই এবং বাবা ঢাকায় পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারির সঙ্গে জড়িত। অপর মেঝো ও সোঝো ভাই প্রবাসী।

নিহত আবির প্রায় ৮ মাস আগে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা ছেড়ে যায়। আবিরের জন্মও ঢাকার বাসায়। ছোটবেলায় আবির ২/১ বার গ্রামের বাড়িতে আসলেও পরবর্তীতে আর কখনোই আসেনি।

বাবা সিরাজুল ইসলাম কখনো জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি আসলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা কখনোই বাড়ি আসেনি। পুলিশের উপর হামলার পর গুলিতে কুমিল্লার দেবিদ্বারের আবির রহমান নিহত হয়েছে-এমন খবর এলাকাবাসী দেখতে পেলেও কেউ জানতো কে এই আবির।

কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে দেবিদ্বার থানা পুলিশ বাড়িতে যাওয়ার পরই গ্রামের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে।

নিহত আবিরের চাচা সহিদুল ইসলাম জানান, বাড়িতে পুলিশ আসার পরই জানতে পেরেছি আমার ভাতিজা আবির গুলিতে নিহত হয়েছে।

বাড়ির সঙ্গে ওই পরিবারের তেমন কোন যোগাযোগ ছিল না। ভাই সিরাজুল ইসলাম বছরে ২/১ বার গ্রামে আসতেন, বাড়িতে তাদের কোন ঘরও নেই।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিহত আবিরের গ্রামের বাড়ি থেকে মুঠোফোনে দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, বিকেলে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির ফোন পেয়ে আবিরের বাড়িতে ছুটে এসেছি।

কিন্তু নিহত আবিরের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে গ্রামের বাড়ির স্বজনদের কোন যোগাযোগ না থাকায় তারা আবির সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারেনি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৯২ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031