শিরোনামঃ-

» মিরজাজাঙ্গালের ৭ গণকবর সংরক্ষণের আশ্বাস ‘লেখা আছে অশ্রু জলে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ১৬. ডিসেম্বর. ২০২১ | বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ
সকাল ৯টা ৩২ মিনিট। ১৯৭১ সালে বিজয় দিনের সকালে সিলেট নগরের মির্জাজাঙ্গাল মনিপুরী রাজবাড়ীতে ঘটে শেষদিনের শেষ শোক গাঁথা।
সিলেট মিউনিসিপ্যালটির সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দীগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ ও প্রকৌশলী গোপেশ চন্দ্র দাস-এর পরিবারের ৯ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয় মর্টার শেলের আঘাতে। সেই নয় শহীদের সাত জনকে সমাহিত করা হয় মির্জাজাঙ্গালে বিশ্বম্ভর আখড়ার একটি বাড়িতে। যে বাড়িতে ডা. এন্দ ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতেন। সেই বাড়ির পেছনের সামান্য জায়গাতে সমাহিত করা হয় সাত শহীদকে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে যায় সেই ইতিহাস। গণকবর আড়াল করে নির্মাণ করা হয়েছে স্থাপনা। গণকবরের একাংশে নির্মাণ করা হয়েছে গোডাউন।

তবে এবার সাত শহীদের স্মরণে গণকবর সংরক্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন সিলেট সিটি করোপরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে হয় ‘লেখা আছে অশ্রু জলে’ শীর্ষক নয় শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান। এর আগে ৯টা ৩২ মিনিটে সেই গণকবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সকাল ১০টায় গণকবরের নিকটবর্তী মনিপুরী রাজবাড়ী মাঠে  বিশ্ব সিলেট সম্মেলন আয়োজন কমিটির উদ্যোগে ‘লেখা আছে অশ্রু জলে’ শীর্ষক নয় শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, সিলেট অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশন করে শোক সংগীত ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে, কত প্রাণ হলো বলিদান, লেখা আছে অশ্রু জলে’।

সিলেটের নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক ও বিশ্ব সিলেট সম্মেলন আয়োজন কমিটির প্রতিনিধি আব্দুল করিম কিম-এর সঞ্চালনায় ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা বেদানন্দ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শোকের ইতিহাস তুলে ধরেন শহীদ পরিবারের সন্তান  এডভোকেট পরীক্ষিত এন্দ ও তাপস বন্ধু দাস।

বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ গবেষক আল-আজাদ, ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, পূজা উদযাপন পরিষদ, সিলেট মহানগরীর সভাপতি মৃত্যুন্জয় ধর ভোলা, তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরন্জন দে যাদু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক এনামুল মুনির, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সহ-সভাপতি উজ্জল দাস, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি সুদীপ্ত অর্জুন, দুষ্কাল প্রতিরোধ আন্দোলনের দেবাশিষ দেবু।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, শহীদ পরিবারের সন্তান সিলেটের রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী প্রতিক এন্দ, সিলেট বিভাগীয় ষ্টেডিয়ামের ভ্যানু ম্যানেজার জয়দ্বীপ দাস সুজক, কিডনি ফাউন্ডেশন, সিলেট-এর কো-অর্ডিনেটর ফরিদা নাসরিন, সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতির পরিচালক সুকান্ত গুপ্ত, মুক্তিযাদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতা দেবব্রত চৌধুরী লিটন, প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা নিরঞ্জন দাশ, লেখক-গীতিকার আশফাকুর রহমান, শহীদ পরিবারের প্রতিবেশী পরিবারের শাহিনা বেগম প্রমুখ।

শহীদ সমাধিতে বিভিন্ন সংগঠন ও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়।

সংগঠনগুলো হচ্ছে বিশ্ব সিলেট সম্মেলন উদযাপন কমিটি, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা, পুজা উদযাপন পরিষদ, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, বাংলার মুখ, উষা, শিশু কিশোর মেলাসহ কয়েকটি সংগঠন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৫৬ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930