শিরোনামঃ-

» আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের কোটি টাকা আত্মসাতে ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ

প্রকাশিত: ২২. সেপ্টেম্বর. ২০২১ | বুধবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে দুই ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান ও এক শ্রমিকের টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অয়ন্তী এন্টারপ্রাইজের পরিচালক বাদল চন্দ্র দাস, মেসার্স এমবিএম এন্টারপ্রাইজের পরিচালক ফজলুল করিম ফজল ও গৃহ নির্মাণ শ্রমিক আলম মিয়া।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় তারা পৃথক পৃথকভাবে লিখিত এই অভিযোগগুলো দাখিল করেন।

অভিযোগ তারা উল্লেখ করেন, সুনামগঞ্জ জেলা শাল্লা উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন গৃহহীনদের জন্য ১৪৩৫টি গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চলে “আশ্রয়ণ-২” প্রকল্প গৃহ নির্মানের দায়িত্ব পান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল মুক্তাদির।

পরে তিনি গৃহ নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের জন্য মেসার্স অয়ন্তী এন্টার প্রাইজের পরিচালক বাদল চন্দ্র দাস এবং মেসার্স এমবিএম এন্টারপ্রাইজের পরিচালক ফজলুল করিম ফজল-কে ইট, বালু, খোয়া সহ প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহের দায়িত্ব দেন।

এসময় ঠিকাদার বাদল ও ফজল লিখিত চুক্তির মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের অনুরোধ জানালে ইউএনও আল মুক্তাদির লিখিত চুক্তি না করে নানা অজুহাত দেখিয়ে চেয়ারম্যানকে স্বাক্ষী রেখে মালামাল সরবরাহ করার অনুরোধ জানান।

এসময় বাদল আশ্বস্থ হয়ে ইউএনও আল মুক্তাদিরকে ৩ কোটি ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯’শ টাকার গৃহ নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করেন। পরে ইউএনও ক্রস্ড চেকের মাধ্যমে মেসার্স অয়ন্তী এন্টারপ্রাইজকে ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। ৪৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯’শ টাকা পাওনা রয়ে যায়। অপরদিকে আরেক ঠিকাদার ফজল ৩ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার ২’শ ৫০ টাকার মালামাল সরবরাহ করেন এবং ক্রস্ড চেকের মাধ্যম মেসার্স এমবিএম এন্টারপ্রাইজকে ২ কোটি ৭ লাখ পরিশোধ করেন।

একইভাবে এই প্রতিষ্ঠানও ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ২’শ ৫০ টাকা বকেয়া রয়ে যায়। অন্যদিকে গৃহ নির্মাণ শ্রমিক আলম মিয়াকে ১০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা চুক্তিতে ৩৭টি গৃহ নির্মাণের কাজ সমঝিয়ে দেন।

আলম মিয়ার নির্ধারিত ৩৭ গৃহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ইউএনও তাকে বিভিন্ন সময়ে ক্রস্ড চেকের মাধ্যমে ৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল মুক্তাদিরের কাছে বকেয়া টাকার জন্য তারা বার বার যোগাযোগ করলেও টালবাহানা শুরু করে নানা ফন্দিফিকির করতে থাকেন।

পরে তারা বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পারেন শাল্লা উপজেলার ‘আশ্রয়ণ-২’ প্রকল্পের সম্পূর্ণ টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল মুক্তাদির উত্তোলন করে ফেলেছেন। অথচ তাদের বকেয়া টাকা না দিয়ে তা আত্মসাত করেছেন।

বর্তমানে ঠিকাদার বাদল চন্দ্র দাস, ফজলুল করিম ফজল ও গৃহ নির্মাণ শ্রমিক আলম মিয়া অসহায় হয়ে বিচারের আশায় সরকারের বিভিন্ন দফতরে ঘুরছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা তাদের কষ্টার্জিত টাকা উদ্ধার করতে পারেন নি। তারা প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার চান।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৪৬ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930