শিরোনামঃ-

» খাদিমপাড়া বিআইডিসি এলাকায় সংঘর্ষে আহত ৭, আটক ২

প্রকাশিত: ২৫. জানুয়ারি. ২০২১ | সোমবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিলেট শহরতলীর খাদিমপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত বিআইডিসি এলাকায় খোকনের লোকজনের সঙ্গে হামলায় মীর মহল্লার ৭ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১২টার সময় স্থানীয় মিরমহল্লার ৬নং রোডের শফিকুর রহমান খোকন তার লোকজন নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিত ভাবে মীর মহল্লাবাসীর ৮/১০ উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীর একটি পক্ষ। স্থানীয় মদিনা মসজিদের সম্মুখের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মীর মহল্লাবাসীর কয়েকজনের উপর খোকনের লোকজন হাতে লাটিসোঠা নিয়ে তাদের উপর এই হামলা চালিয়ে আহত করেন বলে অভিযোগ।

আহতরা হলেন, মীর মহল্লার মৃত আমির উলীর পুত্র বৃদ্ধ বদরুস মেহের (৬০)। ঐ হামলায় তিনির ডান হাত ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে তিনি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর আহতরা হলেন, মীর মহল্লার নুরু মিয়ার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম, তিনির ছোট ছেলে আরমান হোসেন রাজকে ঘটনাস্থলে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন। একই সাথে নুরু মিয়া (৪৫) এবং এলাকার আনছার মিয়ার ছেলে শিমুল আহমদ আহত হন। আহত অপর দুজনের নাম জানা যায়নি।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এলাকার জনসাধারণ মীর মহল্লার রাস্তা দিয়ে চলাচলে দূর্ভোগ পোহান। কারন শুস্ক ও বর্ষা মৌসুমে পাড়ার ড্রেন ভরে গিয়ে নোংরা পানি সড়কের উপর দিয়ে এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ঢুকে যায়। সেজন্য ড্রেন নির্মাণে ২ লক্ষ টাকা খরচ ধার্য্য করা হয়। ঐ খরচ বাবত মীর মহল্লাবাসী দেন ১ লক্ষ টাকা, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া হয় আরো ১ লক্ষ টাকা। এই ২ লক্ষ টাকা দিয়ে এলাকার দেড় কিলোমিটার রাস্তার ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল গত বছর।

খোকন ঐ ড্রেন নির্মাণ কাজের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন। তিনি কাজের জবাবদিহী এলাকাবাসীকে না করায় এবং তার তার কাছে কৈফিয়ত চাওয়ায় গত ২৩ জানুয়ারি মিরমহল্লাবাসী কয়েকজন বাসিন্দাদের সঙ্গের তিনি তর্কাতর্কি হয়। এ জের ধরে গত ২৪ জানুয়ারি সেই কাজের কৈফিয়ত চাওয়া ব্যক্তিদ্বয় খাদিমপাড়া বিআইডিসি এলাকার মদিনা মসজিদের সামনে দাড়িয়ে থাকা মিরমহল্লাবাসীর কয়েকজনের উপর খোকন তার লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে মারপিট করে আহত করেন। হামলা চলাকালে স্থানীয় এলাকার ফটোগ্রাফার মীর মোহাম্মদ সাগর রিয়াজ আহত হন। হামলার সময় এলাকার দোকানপাঠ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে শাহপরান (রহ.) এর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল দ্রুত পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ থানায় মামলা করেনি বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আফসার আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকায় ড্রেন নির্মাণ হয়েছে ৮ মাস আগে। আর যদি কিছু বাকি থাকে তাহলে এলাকাবাসী আমাকে বলতে পারতেন। মারামারির ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন বলে জানান। তবে তিনি খোজ খবর নিচ্ছেন।

ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, ওখানে ড্রেন নিয়ে কোন ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাটি ঘটেছে এলাকায় মাদক বেচা-বিক্রি নিয়ে। তিনি বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে তাজুল ও খালেদ নামক দুব্যক্তি ইয়াবা টেবলেট কিনেন। আর এই বেচা-বিক্রিকালে তাদের দুজনকে এলাকাবাসী আটক করে শাহপরান (রহ.) থানা পুলিশে ধরিয়ে দেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলকায় দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

সিলেট নগর সিটিএসবির এ. এস. আই. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, তিনিও একই ধরনের ঘটনা জানতে পেরেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার এসএমপির একজন সহকারি পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে যাবেন। আর এখনও পুলিশ ঘটনাস্থল এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এলাকার একপক্ষ বলছেন ড্রেনের কাজ নিয়ে মারামারি। আর পুলিশ বলছেন মাদক নিয়ে সেখানে মারামারির ঘটনা ঘটে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২০৯ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930