শিরোনামঃ-

» সিলেটের আবাসন এসোসিয়েট বিচিত্র কোম্পনী,বিস্ময়কর যত কান্ড

প্রকাশিত: ২৮. ডিসেম্বর. ২০২০ | সোমবার

বিশেষ সংবাদদাতাঃ
সিলেটের উল্লেখযোগ্য আবাসন প্রতিস্টান হিসেবে আতœপ্রকাশ হয় আবাসন এসোসিয়েট এবং আবাসন ডেভলাপার্স এর। সিলেট নগরীর আম্বরখানায় কোম্পানী দুটির মূল্যবান ৯ ডেসিমলে জমি রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানী দুটির কর্মকান্ড অনুসন্ধানে জানা গেছে বিস্ময়কর নানা তথ্য। বলা যায় দুটি কোম্পানী বিচিত্র সব কর্মকান্ড করে আসছে।

দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে কোম্পানীর চেয়ারম্যানের পদ আকড়ে আছেন সমালোচিত ব্যবসায়ী মাহবুবুল হক শেরীন। কোম্পানী দুটির কোন অডিট নেই, নেই অর্থ বিবরন, একাউন্ট থাকলেও লেনদেন নেই। সব পরিচালক মোটা অংকের টাকা দিয়ে শেয়ার কিনলেও একটি কোম্পনীর নামে জমি আছে আরেকটি কোম্পানীর নামে কোন জমি নেই। কোম্পানীর বর্তমানে কোন অফিস নেই, নেই কোন ইমেইল আইডি।

কোম্পানীর চেয়ারম্যান কমিশনের মতলবে জমি বিক্রির মিশনে ব্যস্থ কখনো ব্যস্থ ব্যাংকে জমি বন্ধ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার মতলবে। কোম্পানীর একটি পক্ষ জমি ভাগ বাটায়ারা করে নিতে সোচ্চার, আরেকটি পক্ষ নতুন গ্রুপ তৈরী করে প্রবাস থেকে খবরদারী আর হুংকার দিয়ে দেশে আসার জন্য অপেক্ষায়, এই গ্রুপ কিছু তহবিল সংগ্রহ করে বেপরোয়া আচরন আর তৎপরতায় নতুন করে উদ্বেগ এর সৃস্টি হয়েছে আবাসনের অভ্যন্তরে।

এদিকে বেশ কিছু মামলায় জড়িয়ে আছে আবাসনের দুটি কোম্পানী, দখলে থাকা সব জমি রেজিস্ট্রারীর বিষয়টিও ঝুলে আছে দীর্ঘ দিন থেকে।

বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত আবাসনে রয়েছে তহবিলের সংকট। ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে আবাসনের বড় সংকট আভ্যন্তরীন দ্বন্ধ, কোন্দল আর পারস্পরিক অবিশ্বাস।

আবাসনের সামগ্রিক অবস্থা প্রসঙ্গে যুক্তরাস্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক এবং আবাসনের পরিচালক এমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ২০০৪ সালে সাংবাদিকতার পাশাপাশি একটি অত্যাধুনিক মার্কেট নির্মানের জন্য নিজের সঞ্চিত অর্থ, নিকটআত্নীয়ের সহযোগীতা,এবং একজন ব্যাংকার শুভাকাংখীকে শরীক করে আবাসন এসোসিয়েটে যোগ দেই। আমি উদ্যোক্তাদের একজন এবং এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য ছিলাম।

দেশে অবস্থানকালে এবং প্রবাসে এসে (অনলাইনে) আবাসনের সমস্যা সমাধানের জন্য শতাধিক বিভিন্ন ধরনের সভায় অংশ নিয়েছি। আজ চরম হতাশা নিয়ে আপনাদের সাহায্য আশা করছি এবং সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে বিবেকের দায় হিসেবে নিম্নোক্ত দাবী তুলে ধরছি।

আশা করছি এই দাবী বাস্তবায়িত হলে ৬৮ জন পরিচালক এবং ২০/২৫ জন শেয়ার হোল্ডার একধরনের জিম্মী অবস্থা এবং অন্তহীন অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পাবেন।

আবাসনের বর্তমানে কোন বৈধ কমিটি নেই। ৫ বছর আগে এজিএম করে একটি কমিটি ঘোষনা করা হলেও বিস্ময়করভাবে তাদেরকে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয়নি।

পরিচালকদের সম্মতি নেই অথচ কিছুদিন আগেও প্রকল্প এলাকায় শোভা পাচ্ছিল জমি বিক্রির সাইনবোর্ড। জমি বিক্রির সাইনবোর্ড সরিয়ে এখন কোম্পানী দুটির নাম লাগানো হয়েছে। বর্তমানে যিনি এমডি দাবীদার ফতেহ আহমদ চৌধুরী শাহীন, তিনি সীমাহীন দায়িত্বহীনতা, অযোগ্যতা, অদক্ষতা, জবাবদিহীতা ছাড়াই আমেরিকায় অবস্থান করে এমডি দাবী করছেন।

বর্তমানে তিনি দেশে অবস্থান কওে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোম্পানী পরিচালনা করছেন যা বিস্ময়কর এবং বিরল। বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীন ১৩ বছর যাবত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন না, জমি বিক্রির ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন, কোম্পানীকে ব্যক্তিকেন্দ্রীক করেছেন। আবাসন এসোসিয়েট, আবাসন ডেভলাপার্সের ব্যানারে সবকিছু পরিচালিত হলেও ডেভলাপার্স কোম্পানীর নামে কোন জমি নেই।

এ ব্যাপারে উদ্বেগ রয়েছে সংশ্লিস্ট পরিচালকদের মাঝে।আবাসনের সমস্যা, সংকট, আর অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার বিবরন অনেক দীর্ঘ, দাবী বাস্তবায়িত না হলে আগামীতে আরো বিস্তারিত বিবরন তুলে ধরবো।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৫৫ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031