শিরোনামঃ-

» বৃহত্তর টুকেরবাজারের টুকেরগাঁও, গৌরীপুর ও হিন্দৃপাড়া নোয়াগাঁও-কে সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভূক্তির দাবি

প্রকাশিত: ০৫. সেপ্টেম্বর. ২০২০ | শনিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী টুকেরবাজার এলাকার টুকেরগাঁও গৌরৗপুর ও হিন্দুপাড়া নোয়াগাঁও কে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানিয়েছেন টুকের গাঁও গৌরীপুর ও হিন্দুপাড়া নোয়াগাঁও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্তি বাস্তবায়ন পরিষদ নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনের ব্যানারে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদস্য সচিব এডভোকেট ফারুক আহমদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন টুকেরবাজার এলাকার ৯টি গ্রাম শেখপাড়া, সাহেবেরগাঁও, চরুগাঁও, খালিগাঁও, হায়দরপুর, পীরপুর, শাহপুর খুরুমখলা, টুকেরগাঁও ও গৌরীপুর নিয়ে একটি পঞ্চায়েত ও সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ। এই এলাকার মানুষ দীর্ঘ দ্ইুশত বৎসর যাবৎ ভ্রাতৃত্ববোধের চেতনায় অত্যন্ত মিলেমিশে একটি শাহী ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করে এবং একটি বাজারে সওদা করে প্রাত্যহিক জীবন যাপন চালিয়ে আসছেন।

বিগত ৯ আগস্ট সিলেটের জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায় উল্লেখিত ৯টি গ্রামের মধ্যে দুটি গ্রাম টুকেরগাঁও ও গৌরীপুরকে সিলেট সিটি অঞ্চলের জুরিসডিকশন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, উপরে বর্ণিত ৯টি গ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ টুকেরগাঁও ও গৌরীপুর গ্রামকে সিলেট মহানগরীর অন্তর্র্ভূক্ত করা হয় নাই। টুকেরগাঁও ও গৌরীপুর গ্রামের মধ্যে কোন প্রকার কৃষি জমি নাই, বরং টুকেরগাঁও গ্রামের মধ্যখানে সিটি কর্ণার নামক একটি বিশাল হাউজিং কোম্পানীর প্রায় ৫৫০টি হাউজিং প্লট রয়েছে। এছাড়া টুকেরগাঁওয়ের মধ্যখানে মেঘনা গ্রুপ কোম্পানীর বিশাল ডিপো রয়েছে, যেখানে সহ¯্রাধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন।

উল্লেখিত দুটি গ্রাম সিলেট সুনামগঞ্জ রোডের উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বে থাকায় এবং টুকেরগাঁও বাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকা হওয়ায় মহানগর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা নীতিগত দিক থেকে মেনে নেওয়া যায় না। উক্ত দুটি গ্রামকে শুধুমাত্র ভিন্ন মৌজার অজুহাত দেখিয়ে সিটি কর্পোরেশরেন অন্তর্ভূক্ত করতে একটি খোঁড়া যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। যা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কেননা, বাংলাদেশের ৮টি সিটি কর্পোরেশনে কোন মৌজারপূর্ণ অংশকে, কোন মৌজার অর্ধেক অংশকে বা কোন মৌজার সামান্য অংশকে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে যা তদন্ত করলে পাওয়া যাবে। অথছ টুকেরগাঁও ও গৌরীপুর সিটি আয়তনের একটি প্রপার অবস্থানে থাকার পরও রহস্যজনক কারণে এসব গ্রামকে সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্ত করা হয় নাই।

এতে এ অঞ্চলের মানুষের সাথে বিমাতাসূলভ আচরণ করা হয়েছে। যে ঘটনাটি ৯টি গ্রামের পঞ্চায়েতকে নৈতিক আঘাত করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয় টুকেরগাঁও, গৌরীপুর ও নোয়াগাঁও হিন্দুপাড়া একই অঞ্চলেই একই আলো বাতাসে একই রাস্তায় চলাফেরা এবং একই বাজারে সওদা করে জীবন যাপন করে আসছেন। অথচ তাদের বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া চলছে। তাদের পার্শ্ববর্তী পাড়ার লোকজন নগর জীবনে জীবন যাপন করবে আর তারা বঞ্চিত এলাকাবাসী হিসেবে নীরবে রয়ে যাবেন তা হতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৭ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করে ন্যায়সঙ্গত দাবি দাওয়া তুলে ধরা হয়েছে। ২৮ আগস্ট সংগঠনের ব্যানারে বিশাল মানববন্ধন কমূসূচী পালন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় এলাকাবাসীর ন্যায্যদাবী টুকেরগাঁও গৌরৗপুর ও হিন্দুপাড়া নোয়াগাঁও কে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। তাছাড়া ঐতিহ্যবাহী টুকেরবাজারে ৯টি গ্রামের সমন্বয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নতুন ওয়ার্ড গঠন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, টুকের গাঁও গৌরীপুর ও হিন্দুপাড়া নোয়াগাঁও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্তি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও নয় গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আবু ঈছা, নয় গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সহ-সভাপতি হাজী জালাল উদ্দিন, অধ্যাপক এম. শফিকুর রহমান, কাজী জুনাইদ আহমদ, বদরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা শাহাব উদ্দিন, মাস্টার আব্দুল করিম, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মাসুম আহমদ সহকারি শিক্ষক শাবিপ্রবি স্কুল, আব্দুস সালাম, আলী আহমদ, শাহিন আহমদ, ডা. এ এম শিহাব উদ্দিন, শিতল চন্দ, ছানা চন্দ, মহি উদ্দিন, কয়েছ আহমদ, আজাদুর রহমান, গোপাল চন্দ, রানা চন্দ, মাসুম আহমদ, আবুজর মো. গউছ, এনামুল হোসেন মেম্বার, আব্দুল মালেক মেম্বার, গিয়াস উদ্দিন মেম্বার, মকবুল হোসেন, শোয়েব আহমদ, মুহিব মিয়া, আবু বক্কর, শাহ জাহান মিয়া, কুটু মিয়া, উজ্জল সেন, মিটন চন্দ, তুষার আহমদ প্রমুখ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৮৭ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930