শিরোনামঃ-

» জালালাবাদ থানার মামলার চার্জশিটে নিরীহ লোকদের নাম ঢুকিয়ে হয়রানি

প্রকাশিত: ১৮. ফেব্রুয়ারি. ২০২০ | মঙ্গলবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন একটি চাঁদাবাজি মামলায় নিরীহ লোকদের চার্জশিটে ঢুকিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জালালাবাদের খাশেরগাঁওয়ের মৃত সমাদ আলীর ছেলে ক্বারী মনির উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা জেনে আসছি, পুলিশ জনগণের বন্ধু। কিন্তু জালাবাদ থানার এসআই মতিয়ার রহমানের এই ন্যাক্কারজনক আচরণ পুলিশের সুনাম ক্ষুণœ করেছে।

আশা করি, বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হবে।’

ইতিপূর্বে এ ঘটনায় হয়রানির শিকার চারজন বাদি হয়ে জড়িত চক্র ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসএমপির পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশি হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন, পুরান কালারুকা গ্রামের মৃত হাজী আছলম খাঁনের ছেলে আজমান খাঁন (৪০), মৃত আবদাল খাঁনের ছেলে আব্দুল লতিফ খাঁন (২৭), অপহরণ মামলার বাদি খাশেরগাঁওয়ের আকবর আলীর ছেলে আরশ আলী (৪৫) ও ক্বারী মনির উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১১ জুলাই একটি অপহরণের ঘটনায় ক্বারী মনির উদ্দিনের চাচাতো ভাই জালালাবাদ থানার খাশেরগাঁও গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আরশ আলী বাদি হয়ে মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালতে একটি মামলা (নং-৯৫/২০১৮ইং) দায়ের করেছিলেন। উক্ত মামলাটি আদালত তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পিবিআই এই মামলার ঘটনার সত্যতা পায়।

বিগত ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর পিবিআই অপহরণের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে মর্মে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর থেকে ওই মামলার আসামি জালালাবাদ থানার পুরান কালারুকা গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে জাহেদ আহমদ (২৬), মৃত হুসমত আলীর ছেলে ইলিয়াছ মিয়া (৪০), আয়বর আলীর ছেলে আবুল আলী (৪০), তবারক আলীর ছেলে কাবিল (৩০), আবদুল হকের ছেলে পারভেজ আহমদ মনফর (২৭), খাশেরগাঁওয়ের মৃত ফজর আলীর ছেলে ইন্তাজ আলী পাখি (৫০) ও খোঁয়াজ আলীর ছেলে আজমান (৪০) এলাকায় নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।

লিখিত বক্তব্যে ক্বারী মনির উদ্দিন জানান, গত ২৯ জানুয়ারি আসামিদের প্ররোচনায় জালালাবাদ থানার এসআই মতিয়ার রহমান গোপন আঁতাত করে কোনো তদন্ত ছাড়াই একটি চাঁদাবাজি মামলার ( নং- জিআর ১৫৪/১৯ ইং) চার্জশিটে এই নিরীহ লোকদের নাম অর্ন্তভুক্ত করেন। অথচ মামলার মূল এজাহারে তাদের নাম নেই। এই হয়রানির বিচার দাবি করেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মো. আজমান খাঁন, মো. আব্দুল লতিফ খাঁন, মো. আরশ আলী. বীর মুক্তিযোদ্ধা বোরহান উদ্দিন, মাওলানা এরশাদ খাঁন, আলা উদ্দিন খাঁন, মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, মকবুল খাঁন ও শানুর আলী প্রমুখ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪০৯ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930