শিরোনামঃ-

» মন্ত্রীসভায় স্থান পাচ্ছেন নব নির্বাচিত এমপি ড. মোমেন!

প্রকাশিত: ০২. জানুয়ারি. ২০১৯ | বুধবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ সিলেট-১ আসনের নবনির্বচিত সংসদ সদস্য, জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে নিয়ে সিলেট জুড়ে চলছে নানা আলোচনা আর জল্পনা-কল্পনা। দল-মত নির্বিশেষে সিলেটের মানুষ উল্লসিত মোমেনের বিজয়ে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করবেন। এরপর ১০ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে।

সে মন্ত্রীসভায় সিলেটের কারা কারা থাকছেন এ নিয়ে চলছে আলোচনা। বর্তমান মন্ত্রীসভায় সিলেটের ২ জন মন্ত্রী রয়েছেন। তারা হলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। পর্যবেক্ষক মহল বলছেন এই ২ মন্ত্রী সপদে থাকার সম্ভাবনা বেশি।

তার কারণ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে অনুরোধ করেন অর্থমন্ত্রী থাকতে, তাহলে তো আমি না করতে পারব না। সেক্ষেত্রে আরও কিছুদিন আমি দায়িত্ব পালন করে যাব।’

এ থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় অর্থমন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে বর্তমান অর্থমন্ত্রীই থাকছেন। তার পরে টেকনোক্রেট কোটায় মন্ত্রী করা হতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে। এমন মতও রয়েছে সাধারণ মানুষের আলোচনায়।

তা হলে ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে কোন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, ড. মোমেনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।

ড. মোমেন একজন সফল কূটনীতিবিদ। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছিলেন।

২০১৫ তে তিনি জাতিসংঘের এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৬ আগস্ট ২০১৪ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজা বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলি গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের জাতিসংঘের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলি গণহত্যায় মানবিক বিপর্যয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের উদাসীনতার কথা স্পষ্ট করে বলেছিলেন সেদিন।

তিনি বলেছিলেন, ১৮৫০ জন প্যালেস্টাইনি ও ৩ জন ইসরায়েলি সিভিলিয়ান নিহত হওয়ার বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক, অমানবিক এবং যুদ্ধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইন ও জেনেভা কনভেনশন বিরোধী।

এভাবে নির্বিচারে নারী, শিশু ও বেসামরিক সাধারণ মানুষ হত্যা সভ্যতা বিরোধীও বটে। কোনো অজুহাতেই ইসরায়েল গাজায় সুসজ্জিত সামরিক আক্রমণের দায় এড়াতে পারে না।

অন্যদিকে  ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ক্ন্দ্রেকরে দেশে যখন আগুন সন্ত্রাস চলছিলো তখন তিনি সরকারের অবস্থানকে বর্হিবিশ্বে সফলভাবে উপস্থাপন করেছিলেন। সরকারের প্রতি বিভিন্ন দেশের সমর্থন আদায় করেছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাও বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. মোমেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য এক নিবেদিত প্রাণ। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্যে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে বিশ্বাস করতেন।

অন্যদিকে জাতিসংঘে দায়িত্বপালন করায় তাঁর সাথে বিভিন্ন দেশ ও রাষ্ট্রপ্রধানের রয়েছে সুসর্ম্পক। ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক অতি ভদ্র এবং সৎ ব্যক্তি হিসেবেও দেশে-বিদেশে রয়েছে সুখ্যাতি।

এইসব বিষয় বিবেচনা করে সাধারণ মানুষ মনে করছেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ড. এ কে আব্দুল মোমেনই পররাষ্ট্র মন্ত্রী হবার একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি।

তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর। তিনি দেশের কল্যাণে যাকে যেখানে যে দায়িত্ব দেবার চিন্তা করবেন সেটিই চূড়ান্ত হবে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৮৫০ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031