শিরোনামঃ-

» আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০১৮ এর উদ্বোধন

প্রকাশিত: ২৬. জানুয়ারি. ২০১৮ | শুক্রবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ আর্ন্তজাতিক কাস্টমস দিবসে সিলেটের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও ৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বর্হি:বিশ্বের বাংলাদেশের সুনাম বজায় রাখতে আর্ন্তজাতিক চোরাচালান প্রতিরোধে কাস্টমস কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটের হোটেল রোজভিউ-তে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় বর্ণাঢ্য উৎসবের আয়োজন করে সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয় এবং কাস্টমস হাউজসমূহ।

এ বছর দিনটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ’। কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট এর কমিশনার মো শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে নগরীর মেন্দিবাগস্থ কাস্টমস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে রঙিন বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০১৮ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।

উদ্বোধনী ঘোষণার পর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কার্যালয়ে এসে সমাপ্ত হয়।

র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায়ও সভাপতিত্ব করেন- কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট এর কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (বোর্ড প্রশাসন) এস এম আশফাক হোসেন, সিলেট বিজিবির পিএসসি অধিনায়ক-২ নাসির উদ্দিন আহমদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার উত্তর ফয়সাল মাহমুদ, সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন- কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট এর যুগ্ন কমিশনার নেয়ামুল ইসলাম। মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন- কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট এর অতিরিক্ত কমিশনার নিয়াজুর রহমান।

এতে উপস্থিত ছিলেন- কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট এর সহকারী কমিশনার আহমেদুর রেজা, রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট এর কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেটের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কঠোর পরিশ্রম ও দক্ষতার কারণে প্রতিবছর এই কমিশনারেট এর উপর অর্পিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা সাফল্যের সাথে অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে।

এ কমিশনারেটের অন্তর্ভূক্ত ১৩টি স্থল শুল্ক স্টেশন এবং ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এয়ারফ্রেইট বিভাগ আন্তর্জাতিক চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। স্থলশুল্ক স্টেশন দিয়ে প্রধানত কয়লা, বোল্ডার স্টোন, লাইম স্টোন, কমলা, সাতকরা, আদা, শুটকী ইত্যাদি আমদানি হয়।

পক্ষান্তরে সিমেন্ট, খাদ্য সামগ্রী, প্লাষ্টিক সামগ্রী ইত্যাদি রপ্তানি হয়। সম্প্রতি তামাবিল স্থল শুল্ক স্টেশনটিকে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ স্থল বন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে। সিলেট জেলা শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জকিগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশনটি দেশের একমাত্র স্থল শুল্ক স্টেশন যেখানে নৌকায় করে পণ্য ও যাত্রী পারাপার হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৭১ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031