শিরোনামঃ-

» শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়ান দল

প্রকাশিত: ০৮. আগস্ট. ২০১৭ | মঙ্গলবার

স্পোর্টস ডেস্কঃ অবশেষে বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়া। ১১ বছর পর বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ানদের। প্রতীক্ষিত এই সিরিজটা স্মরণীয় করে রাখতে চেষ্টার কমতি নেই মুশফিকদের। দলের সবার প্রতিজ্ঞা, হারাতে চান স্মিথদের। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তো কদিন আগে বলেই দিয়েছেন, এবার ধবলধোলাই করতে চান অস্ট্রেলিয়াকে!

কাজটা কঠিন হলেও নির্বাচক হাবিবুল বাশার মোটেও অসম্ভব মনে করছেন না, ‘কেন নয়? এখানে দু’টি বিষয় আছে। বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে ভালো দল। আর অস্ট্রেলিয়া দলও আর আগের মতো নেই। অস্ট্রেলিয়ার এই দলের চেয়ে বরং গত বছরের ইংল্যান্ড আরও বেশি শক্তিশালী ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আমরা এখন ভালো খেলছি। তাই মনে করি, অস্ট্রেলিয়াকে হারানো খুব সম্ভব।’

সাবেক ক্রিকেটার আতহার আলী খানও সুর মেলালেন হাবিবুলের সঙ্গে, ‘অবশ্যই সম্ভব। কথা হচ্ছে, কীভাবে সম্ভব? দেশের মাঠে সর্বশেষ সিরিজটা দেখুন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটা জিতেছি, আরেকটা জেতা উচিত ছিল। ওই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারলে বাংলাদেশ এবারও ভালো করবে। তবে মনে রাখতে হবে, অস্ট্রেলিয়াও কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী।’

অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে ২০০৬ সালে। ক্রিকেট বিশ্বে ছড়ি ঘোরানো রিকি পন্টিংয়ের সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা (২ টেস্টে ৬২.৫০ গড়ে ২৫০ রান) বাঁহাতি ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস এ সিরিজকে দেখছেন বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ হিসেবে, ‘অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী দল, ঠিক আছে। এ-ও ঠিক, ১১ বছর আগের অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এখনকার অস্ট্রেলিয়ার অনেক পার্থক্য। কিছুদিন পর পর দলে নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ সেখানে স্থিতিশীল একটা দল। এবার তাই বড় সুযোগ।’

কিন্তু কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে এই সুযোগটা? হাবিবুলের ব্যবস্থাপত্রে জটিল কোনো টোটকা নেই, ‘এটা সম্ভব করতে হলে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। ওরা কী করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা কী করছি আমাদের কাছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

তবে আতহারের আতশ কাচে কিছু সমস্যা ধরা পড়েছে। সাবেক এই ওপেনার মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটা রাঙাতে হলে সেই ধাঁধাগুলো আগে মেলাতে হবে মুশফিকদের, ‘দেশের মাঠে খেলার একটা সুবিধা তো বাংলাদেশ পাবেই। কিছু চিন্তার বিষয়ও আছে। আমরা দীর্ঘ ১১ বছর ওদের বিপক্ষে টেস্ট খেলিনি। সাম্প্রতিক অতীতে খেললে একটা দলের শক্তিশালী-দুর্বল দিকগুলো দ্রুত বোঝা যায়।

নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু প্রায় এক যুগের বিরতি হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ বিষয়গুলো বোঝার উপায় নেই। বর্তমান বাংলাদেশ দলের কোনো খেলোয়াড়ই এই দলের বিপক্ষে একটা টেস্টও খেলেনি।’

আতহার অবশ্য মানছেন, ২০০৬ সালের সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশ দলের ছবি কিছুতেই মেলানো যাবে না। বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া দল। আর গত বছর অস্ট্রেলিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড যেভাবে মুশফিকদের কাছে খাবি খেয়েছে, সেটিও স্মিথদের ভাবনায় থাকবে। আতহার তাই বলছেন, ‘বাংলাদেশে গিয়ে (ইংল্যান্ডের মতো) হারা যাবে না—এমন ভাবনা ওদের থাকবে। যেটা ওদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করবে। এই চাপটা বাংলাদেশকে কাজে লাগাতে হবে।’

সাফল্য পেতে শাহরিয়ারের অভিমত, নিজেদের কন্ডিশন শতভাগ কাজে লাগানোর বিকল্প নেই বাংলাদেশের, ‘ওরা ভালোভাবেই হোম ওয়ার্ক করে আসবে। তবে গত মার্চে ভারত যেটা করেছে, নিজেদের কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে।

বাংলাদেশকেও সেটা করতে হবে। ২০০৬ সালে আমরা ওদের বিপক্ষে প্রায় জিতেই গিয়েছিলাম। ১১ বছর আগে যদি বাংলাদেশ সেটা করতে পারে, এখন তো দাপটের সঙ্গে জেতার সম্ভাবনা আছে।’

মুশফিকদের কাজ একটাই, সম্ভাবনার দুয়ারে পা রেখে সাফল্যটা মুঠোয় পোরা।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৪৬ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031