- তাহিরপুর নাগরিক পরিষদ সিলেট এর কমিটি গঠন
- উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সিলেট জেলা যুবদলের কঠোর নির্দেশনা
- ফরিদপুরে দুই ভাই হত্যার প্রতিবাদে সিলেটে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল
- হোটেল শ্রমিকের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও মুক্তরি দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
- সিলেটস্থ বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতি’র সাধারণ সভা শনিবার
- ১ম দিনু স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন
- সিলেট বিভাগীয় নৃত্য উৎসবের উদ্বোধনী
- সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা দেবতোষ চৌধুরীর প্রয়ানে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের শোক সভা
- বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা সম্পন্ন
- মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েলের মৃত্যুতে প্রবীন রাজনীতিবীদ মোঃ আব্দুল ওদুদের শোক
» তোপের মুখে অর্থমন্ত্রী; আপনি কম কথা বলেন, বয়স হয়ে গেছে কখন কী বলে ফেলেন: সেলিম
প্রকাশিত: ১৯. জুন. ২০১৭ | সোমবার
সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রস্তাব, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর ঘোষণা এবং বিভিন্ন সময়ে দেয়া ‘বিতর্কিত’ বক্তব্যের জন্য সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বাজেট আলোচনায় আওয়ামী লীগের একাধিক সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন। বাজেট আলোচনার শুরুতে অর্থমন্ত্রী সংসদে উপস্থিত থাকলেও এক পর্যায়ে তাকে আর সেখানে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন- অর্থমন্ত্রী বাজেট দিয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু জনগণের কষ্ট আওয়ামী লীগ মেনে নিতে পারে না। আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করুন। আপনার কিছু কথাবার্তা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। আপনি কম কথা বলেন। বয়স হয়ে গেছে কখন কী বলে ফেলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাজেটে সমস্যা থাকলে দেখা হবে। আপনি বললেন, এক লাখ টাকা যার আছে সে সম্পদশালী। চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকা না হলে এক লাখ টাকা, টাকা হয়ে গেল?’
তিনি আরো বলেন- আপনি অর্থমন্ত্রী, আপনার কাজ বাজেট পেশ করা। এই সংসদের ৩৫০ জন জনগণের প্রতিনিধি ঠিক করবেন জনগণের কল্যাণে কোন্টা থাকবে, আর কোন্টা থাকবে না। একগুঁয়েমি সিস্টেম বন্ধ করেন।
গত ১ জুন প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের পর থেকে এ নিয়ে আলোচনায় মন্ত্রীসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা সমালোচনা করে আসছেন। সঞ্চয়পত্রের সুদ কমানোর ঘোষণা, ব্যাংক আমানতে বাড়তি আবগারি শুল্ক, ভ্যাট নিয়ে তারা অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন।
শেখ সেলিম বলেন- বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর টাকা নিয়ে গেল। প্রয়োজনে ভ্যাটের আওতা বাড়ান। সব প্রতিষ্ঠানকে ইসিআর মেশিন দেন। যাতে ভ্যাট দিতে বাধ্য থাকেন। ঢালাওভাবে ভ্যাট বিশ্বে কোথাও নেই।
এদিকে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন- বাজেট নিয়ে সারা দেশে আলোচনার ঝড় চলছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন- এটা নির্বাচনী বাজেট নয়। তাহলে অর্থমন্ত্রী কবে নির্বাচনী বাজেট দেবেন? আগামী বাজেট কার্যকর হবে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। তখন বর্ষা শুরু হবে। সেপ্টেম্বরে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় গেলে, অক্টোবরে নির্বাচনের তফসিল। এবারই নির্বাচনমুখী বাজেট করা উচিত ছিল। বলা যায়, অর্থমন্ত্রী এবার নির্বাচনবিরোধী বাজেট করেছেন। অর্থমন্ত্রী কী কারণে কার স্বার্থে ব্যাংক হিসেবে আবগারি শুল্ক করেছেন জানা নেই।
তিনি আরো বলেন- হলমার্কের চার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির পর অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন এ টাকা কিছু নয়। তাহলে কেন সামান্য টাকার জন্য সারা দেশে মানুষের মধ্যে আক্ষেপ তৈরি করলেন। ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রস্তাবের বিরোধিতা করে হানিফ বলেন- অর্থমন্ত্রী ভ্যাট আরোপ করেছেন গণহারে। পৃথিবীর ইতিহাসে এক বছরে ৩০ শতাংশ বাড়তি ভ্যাট নেয়ার নজির নেই। এটা যৌক্তিক নয়।
ব্যাংক খাতে লুটপাটের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন- বেসিক ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকা মূলধন দেয়া হচ্ছে। কার টাকা, কেন দিচ্ছেন? তারা দুর্নীতির জন্য লুটপাট করবে আর মূলধন দিতে হবে জনগণের? সরকারি টাকা এভাবে লুটপাট করতে দেয়া যাবে না।
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন- সামনে নির্বাচন আসছে। অর্থমন্ত্রী তার আগে জনগণকে বিভ্রান্ত করে দিলেন। আগামী নির্বাচনে আল্লাহ তাকে (অর্থমন্ত্রী) সুযোগ দেবে কিনা জানি না। কিন্তু যাদের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেবে তারা যাতে নির্বাচন করতে পারে সেটা খেয়াল করতে হবে। তিনি বলেন- এটা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। সুদ এমনিতেই কম। সঞ্চয়পত্রে সুদের হার যাতে না কমানো হয়। এটা কমালে ঠিক হবে না। ১০ শতাংশ বাড়ালে খরচ হবে এক হাজার কোটি টাকা। কিন্তু উপকার পাবে লাখ লাখ মানুষ। এটা সিনিয়র সিটিজেনরা পান। তারা কোথাও হাত পাততে পারেন না। অনেক শ্রেণির মানুষকে ভর্তুকি দেন। ঋণ খেলাপিদের বিশাল লিস্ট দিছেন। কই তাদের তো ধরতে পারেন না। ব্যাংকের টাকা পাচার বন্ধ করতে পারছেন না। আর নিম্ন মধ্যবিত্তের ওপর কর চাপিয়ে দিচ্ছেন। এটার প্রতিবাদ করছি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য আবুল কালাম অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন- উনি অনেক পরিশ্রম করেছেন। উনার সঙ্গে এনবিআর ও মন্ত্রণালয় পরিশ্রম করেছে। বাজেট বাস্তবায়ন করতে গেলে দক্ষ জনশক্তি থাকা দরকার। খালি কর বাড়ালে হবে না। উপজেলা পর্যায়ে এনবিআরের কর্মকর্তা দেন। এসডিজি পূরণের জন্য আমাদের দক্ষ কর্মকর্তা দরকার। প্রায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রজেক্ট ঠিকমতো করতে পারে না। প্রপোজাল করতে পারে না। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির মিটিংয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে ডাকি। আপনি বিশ্বাস করবেন না মাননীয় স্পিকার, পরিকল্পনা মন্ত্রী সামনে আসছে আমি দেখিয়ে দিয়েছি এরা টাকা ঠিকমতো খরচ করতে পারে না।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের উদ্দেশে তিনি বলেন- বিদ্যুতের উন্নতি হয়েছে ঠিকই, অনেক লাইন হয়েছে। কিন্তু রমজানের সময়, সেহেরির সময় আমার এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। দিনে যদি ১৪-১৫ বার বিদ্যুৎ যায় তাহলে কী অবস্থা হয়। এগুলো ঠিক করার উদ্যোগ নিন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৯৮ বার
সর্বশেষ খবর
- তাহিরপুর নাগরিক পরিষদ সিলেট এর কমিটি গঠন
- উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সিলেট জেলা যুবদলের কঠোর নির্দেশনা
- ফরিদপুরে দুই ভাই হত্যার প্রতিবাদে সিলেটে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল
- হোটেল শ্রমিকের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও মুক্তরি দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
- সিলেটস্থ বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতি’র সাধারণ সভা শনিবার
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক
এই বিভাগের আরো খবর
- ১ম দিনু স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন
- বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা সম্পন্ন
- শ্যামল সিলেট সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে পানি বিতরণ
- কারিগরি শিক্ষায় আলোকিত দেশ গড়ার অঙ্গীকারে শেষ হলো ৪দিন ব্যাপী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ
- হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের শোকসভা শুক্রবার