শিরোনামঃ-

» রাতে ট্রেনে যারা ভ্রমন করেন তাদের জন্য ভয়ংকর তথ্য; সবার জানা দরকার

প্রকাশিত: ০৩. জুন. ২০১৭ | শনিবার

এক্সক্লুসিভ সংবাদঃ যমুনা টিভির ক্রাইম সিন নামক অনুষ্ঠানে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে ঢাকা চিটাগাং ট্রেন লাইন নিয়ে।

গত কয়েক বছরে এই লাইনের কিছু কিছু স্পটে প্রায় দেড়শ মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় আখাউড়া ভৈরব কিশোরগঞ্জ কসবা বি-বাড়িয়া হয়ে নরসিংদী পর্যন্ত।

পুলিশ এই লাশগুলা বেশিরভাগ অজ্ঞাতপরিচয় আত্নহত্যা হিসেবে রেকর্ড করে।তারপর মর্গ হয়ে মাটিচাপা। হিন্দু মুসলিম ব্যাপার নাই, সব মাটিচাপা। ডোম মৃত ব্যাক্তির জামা-কাপড় রেলওয়ে ডোমঘরের সামনে ঝুলায়ে রাখে।

যদি বছর দুয়েকের মধ্যে মা-বাবা এসে জামা-কাপড় দেখে সনাক্ত করতে পারে তাহলে মৃতের কবর দেখিয়ে দেওয়া যাবে জামা-কাপড় রোদে শুকায়ে বৃষ্টিতে ভিজে চেহারা সুরত আস্ত থাকেনা।

এই লাশগুলা বেশিরভাগই মার্ডার কেস। ১০/২০ টাকা, পকেটে থাকা মোবাইল ফোন, এগুলা ছিনতাই করার জন্য মার্ডারগুলা করা হয়।

ছিনতাইয়ের নিয়মটা হচ্ছে ট্রেনের দুই বগির মাঝখানে করিডোরের মত থাকে, দু’পাশে দরজা, বাথরুম। রাতের ট্রেনে এসব জায়গায় সুবিধামত লোক পেলে ছিনতাইকারী চক্রের দুই জন পেছন থেকে আক্রমণ করে।

আক্রমণের নিয়ম হচ্ছে গামছাকে পেঁচিয়ে চিকন করা হয় প্রথমে।তারপর দুই মাথা দুই জন ধরে যাকে আক্রমণ করা হবে, তার গলায় পেছন থেকে এক প্যাঁচ দিয়ে  ‍দু‘পাশ থেকে হেছকা টান। ১৫ সেকেন্ডের ভিতরই ঐলোক মারা যাবে। না মরলেও তার জীবন ঐখানেই শেষ।

এরপর তার পকেট থেকে যা নেওয়ার নিয়ে পাশের দরজা দিয়ে ফেলে দিবে।রাতের ট্রেনে সবাই ঘুমায়। তাছাড়া ট্রেনের আওয়াজ থাকে। কেউ কিচ্ছু টের পাবেনা। পুরো কাজটা করতে সময় লাগে সর্বোচ্চ দেড় মিনিট।

এরা ধরা পড়ে, আবার জামিনে বের হয় আদালতের কাছে এভিডেন্স থাকেনা পর্যাপ্ত। তাই এভিডেন্স না থাকলে বিচারও করা সম্ভব হয় না।

অতএব, সতর্ক থাকুন। নিউজটি সকলে শেয়ার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।

তথ্যদাতা: এসআই ইমরান
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), রংপুর!

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬৮০ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031