শিরোনামঃ-

» রিড প্রকল্পের আওতায় সিলেটে এফআইভিডিবির কর্মশালা

প্রকাশিত: ০৬. এপ্রিল. ২০১৭ | বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ শব্দভান্ডার বাড়াতে চাই, পাঠাগারে তাইতো যাই। বিশেষ করে মুখস্ত করে লেখাপাড়া না করে কিভাবে বুঝে লেখাপড়া করতে হয় সে বিষয়ে শিশুদের শব্দভান্ডার বৃদ্ধি এবং তাদেরকে বাংলা ভাষায় আরো দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে এফআইভিডিবি।

সেভ দ্য চিলড্রেন’র কারিগরি সহায়তা এবং ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহায়তায় এফআইভিডিবির রিডিং এনহান্সমেন্ট ফর এ্যাডভান্সিং ডেভেলপমেন্ট (রিড) প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রকল্পের শিক্ষা উপকরণ পরিচিতিকরণ কর্মশালায় বক্তারা বলেন, আমরা যদি গতানুগতিক ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারি তাহলে উন্নতি করতে পারবনা।

এক্ষেত্রে আমাদের আচরনগত পরিবর্তন আনতে হবে। একটা বা ২টা বিষয় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করলে অবশ্যই উন্নতি করা যাবে। শিক্ষকদের বেশী বেশী জানতে হবে। শিক্ষকরা যত বেশী জানবে শিক্ষার্থীরা তত উপকৃত হবে।

এফআইভিডিবির অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর বজলে মোস্তফা রাজির সভাপতিত্বে এবং রিড প্রকল্পের সমন্নয়ক দেবাশীষ দত্ত প্রবালের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- সিলেটের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তাহ্মিনা খাতুন। শুরুতেই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন এফআইভডিবির মাজেদা আফরিন জুই।

আলোচনায় অংশ নেন সিলেট জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম, পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট শামীম আরা খাতুন, হবিগঞ্জ জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর ইসলাম, পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. নজরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বায়জিদ খান, পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল কাইউম ভূইয়া, সিলেটের বিভাগীয় শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাস, এফআইভিডিবর ফোকাল পয়েন্ট পারসন জিয়াউর রহমান শিপার, শিক্ষাবিদ এনাম উল্লাহ সাইদুল ইসলাম।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাহমিনা খাতুন বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে। আর এর উন্নয়ন ঘটাতে হলে সবার আগে শিক্ষকদের বেশী বেশী করে জানতে হবে। শিক্ষকরা যত জ্ঞান অর্জন করবে শিক্ষার্থীরা তত উপকৃত হবে। তিনি বলেন দেশের শিক্ষার উন্নয়নে সরকার অনেক কিছুই দিয়ে যাচ্ছে।

এখন সময় এসেছে শিক্ষকদের মানসম্মত পাঠদান করা। তিনি বলেন, প্রতি বছর সরকার বই বিতরণ করে। সে বই যদি সংরক্ষনে রাখা যায় তাহলে সরকার অনেকটা উপকৃত হবে, রাষ্টের অনেক টাকা বাঁচবে। তাই প্রতি বছরের বইগুলো সংরক্ষনের আহবান জানান তিনি।

কর্মশালায় জানানো হয় সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট ও বাহুবল উপজেলার ১৩২টি, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ১৪৩টি বিদ্যালয় সহ মোট ২৭৫টি বিদ্যালয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৮৩ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031