শিরোনামঃ-

» সাবেক জেলার সহ ৬ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে জনৈক কয়েদীর মামলা

প্রকাশিত: ২৮. জানুয়ারি. ২০১৭ | শনিবার

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক জেলার মাসুদ পারভেজ মঈন ও ৬ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি প্রমোদ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্প্রতি এ মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

মামলার বাদী প্রমোদ বিগত ২০০৪ সালের ১৯ মে থেকে সিলেট কারাগারে অন্তরীন অবস্থায় আছেন।

মাসুদ পারভেজ ছাড়াও মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন- কারারক্ষী রুহুল আমিন, জাহাঙ্গির, নজরুল, মো. নাজিম, জিয়া উদ্দিন ও মো. জামাল উদ্দিন।

গত ১৯ জানুয়ারি সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা দরখাস্ত মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত বছরের ২৯ অক্টোবর আসামী রুহুল আমীন তাকে কারাগারের ক্যান্টিনে কাজ পাইয়ে দিতে ৬৮ হাজার টাকা নেন। ২ মাস পেরোলেও তাকে কাজ দিতে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন ওই কারারক্ষী।

গত ১ ডিসেম্বর কারাগার পরিদর্শনকালে জেলার মাসুদ পারভেজকে তিনি অবগত করে টাকা ফেরত অথবা ক্যান্টিনে কাজ দেওয়ার কথা বলেন। ওই সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন পক্ষান্তরে কয়েদী প্রমোদের নিকট থেকে টাকা নেয়ার কথাও অস্বীকার করেন।

একপর্যায়ে মাসুদ পারভেজ অন্যান্য কয়েদীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তার টাকা চাওয়ার স্বাদ মিটিয়ে দাও। তখন কয়েদীরা সবাই মিলে তাকে (প্রমোদ)-কে লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে তাদের হাতে থাকা লাঠি ও বন্দুকের বাট ধারা আঘাত করতে থাকে।

পরে তার চিৎকারে অন্যান্য কারারক্ষী ও কয়েদীরা এগিয়ে এসে তাদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করেন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়।

অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ওই দিনের ঘটনায় উল্টো তার নামে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন কারাগারের ডেপুটি জেলার নুর মোহাম্মদ সোহেল। যা কোতোয়ালী থানার জিআর মামলা নং- ৩৭৫/২০১৬ নং-২।

আর্জিতে বাদী আরো উল্লেখ করেন, ঘটনার পরদিন জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে মূল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করা হয়।

এমতাবস্থায় জিআর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে আদালতের নির্দেশে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত ২৩ জানুয়ারি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) মামুনুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে মামলাটির শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় পি ডব্লিউ মূলে বাদীকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত বাদীর বক্তব্য শুনেন এবং বিষয়টির বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১’কে নির্দেশ দেন।

জেলার মাসুদ পারভেজ মঈনকে সম্প্রতি রাঙামাটিতে বদলী করা হয়। তবে, এ আদেশ স্থগিত রয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) হিসেবে আছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৯৮ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031